Tranding

03:16 PM - 01 Dec 2025

Home / Article / ভারতে ৭ কোটি শিশু জিরো ফুড, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফ্রিকার নীচে তীব্র নিন্দায় সিপিএম

ভারতে ৭ কোটি শিশু জিরো ফুড, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফ্রিকার নীচে তীব্র নিন্দায় সিপিএম

সিপিআই(এম) নেতা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ''দারিদ্র্য হ্রাসের প্রচার'' করার অভিযোগও তোলেন। ''আমাদের সন্তানদের এমন করুণ হৃদয় বিদারক বাস্তবতা! এটি দারিদ্র্য হ্রাস এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির মোদির প্রচারের মিথ্যাকে উদ্দেশ্য করে," ইয়েচুরি এক্স-এর একটি পোস্টে গবেষণার একটি সংবাদ প্রতিবেদন ভাগ করে বলেছেন। "বিশ্বের মাত্র দুটি দেশের চেয়ে সামান্য উপরে স্থান পাওয়া সত্যিই লজ্জার বিষয় - গিনি এবং মালি। পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ ভারতের উপরে,'' তিনি বলেছেন

ভারতে ৭ কোটি শিশু জিরো ফুড, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফ্রিকার নীচে তীব্র নিন্দায় সিপিএম

ভারতে ৭ কোটি শিশু জিরো ফুড, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফ্রিকার নীচে তীব্র নিন্দায় সিপিএম

10th March 2024

‘জিরো ফুড’। অর্থাৎ সারাদিনে সামান্য খাবার জোটে না। ২৪ ঘণ্টা অভুক্ত থাকতে হয়। বছরে বহুদিন না খেয়ে কাটে, দেশে এমন শিশুর সংখ্যা শুনে অবাক হতে হয়। চারপাশে খাবারের বিপুল আয়োজন আর অপচয়ের সঙ্গে অভুক্তের সংখ্যাকে মেলানো কঠিন। ভারতে এমন শিশুর সংখ্যা প্রায় সাত কোটি। এমন তথ্যই উঠে এসেছে ভারত সরকার প্রকাশিত নানা পরিসংখ্যান রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে এবং নানা এলাকায় সমীক্ষা চালিয়ে।

সংশ্লিষ্ট সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী এই ব্যাপারে প্রতিবেশী বাংলাদেশ এবং আর্থিকভাবে ভঙ্গুর পাকিস্তানের থেকেও ভারতের অবস্থা খারাপ। এমনকী পশ্চিম আফ্রিকার বহু দেশের থেকে পিছিয়ে ভারত। এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে খাবার অবস্থা পশ্চিম আফ্রিকার গিনির, যেখানে ২১.৮ শতাংশ শিশুর দু-বেলা খাওয়া জোটে না। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মালি। ছোট ওই দেশের ২০.৫ শতাংশ শিশু বছরের বহুদিন অনাহারে থাকে। ভারতে জাতীয় পরিবার স্বাস্থ্য নমুনা সমীক্ষার রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, এই দেশে ছয় থেকে দু’ বছর বয়সি ছয় কোটি ৭০ লাখ শিশুর সারাদিনে মায়ের বুকের দুধ ছাড়া আর কোনও খাবার মেলে না। আবার অনাহার, অপুষ্টিতে আক্রান্ত মায়েরা সন্তানকে পর্যাপ্ত বুকের দুধ দিতে পারেন না।

অনাহারে থাকা এমন শিশুর সংখ্যা বাংলাদেশে ৫.৬ শতাংশ এবং পাকিস্তানে ৯.২ শতাংশ। ভারতে তা ১৯.৩ শতাংশ।

স্বল্প ও মধ্য আয়ের ৯২টি দেশে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংখ্যা ও জনস্বাস্থ্য বিষয়ে বিশেষজ্ঞ এসভি সুব্রহ্মণ্যমের নেতৃত্বাধীন গবেষক টিমের এই বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা রিপোর্টটি প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতির খ্যাতি সম্পন্ন বিজ্ঞান জার্নাল জামা নেটওয়ার্ক ওপেন।

বিশ্বের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা এই সমীক্ষায় যুক্ত থেকে বিশ্বে শিশুদের অনাহারের চিত্রটি প্রকাশ করেছেন। ভারতের হয়ে ওই সমীক্ষা দলে ছিলেন বিশিষ্ট শিশু ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বন্দনা প্রসাদ। তিনি অভুক্ত শিশুদের সমস্যার অন্যতম কারণ হিসাবে দারিদ্রকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। তাঁর কথায়, খাবার কিনতে না পারাই একমাত্র সমস্যা নয়। আসলে বাবা-মা’কে রুটিরুজির সন্ধানে সারাদিন বাড়ির বাইরে থাকতে হয়। ফলে শিশুদের খাবার খাওয়ানোর কেউ বাড়িতে না থাকাটাও অভুক্ত থাকার অন্যতম কারণ।

সিপিআই(এম) এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি মঙ্গলবার একটি সমীক্ষায় কেন্দ্রের নিন্দা করেছেন যাতে বলা হয়েছে যে ভারতের "শূন্য-খাদ্য শিশুদের" প্রবণতা যারা ২৪ ঘন্টা সময় ধরে কিছু খায়নি, স্ন্যাপশট সমীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হয়েছে, তা তুলনীয়। কিছু আফ্রিকান দেশের পরিস্থিতি।

সিপিআই(এম) নেতা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ''দারিদ্র্য হ্রাসের প্রচার'' করার অভিযোগও তোলেন।

''আমাদের সন্তানদের এমন করুণ হৃদয় বিদারক বাস্তবতা! এটি দারিদ্র্য হ্রাস এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির মোদির প্রচারের মিথ্যাকে উদ্দেশ্য  করে," ইয়েচুরি এক্স-এর একটি পোস্টে গবেষণার একটি সংবাদ প্রতিবেদন ভাগ করে বলেছেন।

"বিশ্বের মাত্র দুটি দেশের চেয়ে সামান্য উপরে স্থান পাওয়া সত্যিই লজ্জার বিষয় - গিনি এবং মালি। পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ ভারতের উপরে,'' তিনি বলেছিলেন।

একটি সংবাদ প্রতিবেদন অনুসারে, একটি সমীক্ষা যা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ২০১৯-২০২১-এর জাতীয় পারিবারিক স্বাস্থ্য সমীক্ষার ডেটা ব্যবহার করে অনুমান করেছে যে ভারতে ''শূন্য-খাদ্য শিশুদের'' প্রাদুর্ভাব ১৯.৩ শতাংশ - গিনির ২১.৮ শতাংশের পরে তৃতীয় সর্বোচ্চ। এবং মালির ২০.৫ শতাংশ। প্রতিবেদনে পাকিস্তানে ৯.২ শতাংশ এবং বাংলাদেশে ৫.৬ শতাংশে ''শূন্য-খাদ্য শিশু''-এর প্রকোপ দেখানো হয়েছে।
 

Your Opinion

We hate spam as much as you do