Tranding

02:20 PM - 01 Dec 2025

Home / Article / "আমাদের কোনো রাজা নেই" - বিক্ষোভে উত্তাল ট্রাম্প প্রশাসন

"আমাদের কোনো রাজা নেই" - বিক্ষোভে উত্তাল ট্রাম্প প্রশাসন

রিপাবলিকান পার্টি হয়ে নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্পের স্লোগান ছিল "আমেরিকা ফাস্ট" অর্থাৎ আমেরিকার স্বার্থকেই বেশি গুরুত্ব দেবেন, আমেরিকা ফাস্ট স্লোগানটা বহু পুরনো, ১৯৩০ দশকে এক গুরুত্বপূর্ণ মত ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের জড়ানোর বিরুদ্ধে এরা মনে করতেন অন্য দেশের মার্কিন দাদাগিরির জন্য যে বিপুল অর্থ খরচ হয় তা দেশের কল্যাণে কাজে লাগুক। বহু বছর পর ট্রাম্প এই উক্তি ব্যবহার করেন। কিন্তু ক্ষমতা পেয়েই ট্রাম্পের আসল চেহারা দেখা গেল ১৫ই অক্টোবর সিএনএন থেকে এক প্রতিবেদনের শিরোনাম হয়, নিজেকে বিশ্বগুরু প্রমাণ করার জন্য ট্রাম্পের কাছে "আমেরিকা ফাস্ট" এখন "ট্রাম্প ফাস্ট"

"আমাদের কোনো রাজা নেই" - বিক্ষোভে উত্তাল ট্রাম্প প্রশাসন

"আমাদের কোনো রাজা নেই" - বিক্ষোভে উত্তাল ট্রাম্প প্রশাসন

 

চিরন্তন গাঙ্গুলী 

 

"আমি স্বখাত সলিলে ডুবে মরি শ‍্যামা, দোষ কারো নয় গো মা"  দীপাবলিতে এই গানটাই বাজছিল। এই গানটা শুনেই মনে পড়ল মাত্র দুদিন আগে বিশ্বগুরু হওয়ার জন্য চূড়ান্ত মাতব্বরি করে বেড়ানো ট্রাম্প সাহেবের দেশের মধ্যে কি ঘটছে।  গত ১৮ই অক্টোবর সারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভূতপূর্ব গনবিক্ষোভ। নিজের দেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ রাস্তায় নেমে বলছেন "আমাদের কোনো রাজা নেই"  অবশ্যই গণতান্ত্রিক পৃথিবীর কোথাও কোনো রাজা থাকবে না।  কিন্তু কি এমন হলো? এর আগে মার্কিন দেশে ১৪ই জুন প্রেসিডেন্ট এর জন্মদিনে এবং মার্কিন সেনাবাহিনীর ২৫০ বছর উপলক্ষে একটি সামরিক কুচকাওয়াজের দিনেই ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে ২১০০ জায়গায় বিভিন্ন শহরে প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষের সমাবেশ হয়েছিল এবারের দ্বিতীয় দিনের বিক্ষোভ আরো বেশি মোট ২৭০০ জায়গায় প্রায় ৭০ লক্ষ মানুষ নো কিংস সমাবেশে অংশ নিয়েছিল। এই ধরনের বিক্ষোভ যুক্তরাজ্যের মতো সাংবিধানিক রাজতন্ত্র আছে এমন দেশেও "নো টাইরেন্টস" বা "নো ডিরেক্টরস" নামে সংঘটিত হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এর আয়োজক আমেরিকান সিভিল লিবার্টি ইউনিয়ন,  মুভ অন এবং আমেরিকার বিরোধীদলের মতো প্রগতিশীল সংগঠন। 


 শিকাগোতে ৭৫০০০ মানুষ ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তায় ছিল। এর আগে দ্বিতীয় ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে অনেকাংশে বামপন্থী প্রগতিশীল রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে এবছর ৫ই ও ৭ই ফেব্রুয়ারি ৪ঠা এবং উল্লেখযোগ্য ৫ই মার্চ " হাত ওঠাও" আন্দোলন  ৫০-৫০-১ (৫০ প্রতিবাদ ৫০ স্টেটস ১ আন্দোলন)  বিক্ষোভে উত্তাল হয় আমেরিকা। এদের দাবি ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট,  ইলন মাস্কের সর্বব্যাপী হস্তক্ষেপ ও দুর্নীতিতে ট্রাম্পের প্রশ্রয়ের বিরুদ্ধে,  দেশে বৈচিত্র্য সাম্য ও সংযুক্তি এই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে রক্ষা করা,  LGBTQ দের অধিকার রক্ষা,  সংবিধান রক্ষা,  ইউক্রেনে সামরিক সাহায্যের পুনর্বিবেচনা, কানাডা ও মেক্সিকো থেকে কর প্রত্যাহার। এই "নো কিংস"  স্লোগানটা এই প্রগতিশীল ৫০৫০১ আন্দোলনকারীদের তৈরি। এদের মত ৩.৫% জনগণ যদি কোন আন্দোলনে জড়িত থাকে তবে দেশে উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক পরিবর্তন হতে পারে। এই আন্দোলনে দেখা গেছে আমেরিকান পতাকার সাথে ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণতন্ত্রপন্ত্রী পতাকা উড়তে। বিক্ষোভ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শান্তিপূর্ণ ছিল। কিছু ক্ষেত্রে লস এঞ্জেলস ও ও সিয়াটেল এ পুলিশি আগ্রাসনের খবর পাওয়া গেছে। ফেডারেল অভিবাসন অভিযানের প্রতিক্রিয়ায় এখানে ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা যায়। ট্রাম্প গত ৭ জুন ন্যাশনাল গার্ডকে চারিদিকে নজর রেখে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। এই বিক্ষোভ ফেডারেল অভিবাসন নেতাদের বিদ্রোহের সাথে মিলে "নো কিংস" হয়েছে তবে ট্রাম্পের এই অভিবাসন বিরোধী উগ্রতার বিরুদ্ধে ওর প্রথম মেয়াদেও ২০১৭ সালে মহিলা মার্চ সেখানে ৩৩ লক্ষের বেশি বিক্ষোভকারী দেখা দিয়েছিল।  আবার ইউনিভার্সিটিটির ক্রাউড কাউন্টিং কনসোডিয়াম থেকে হিসেব করেছে দ্বিতীয় ট্রাম্প জমানায় প্রথম ফেব্রুয়ারিতেই অনেক বেশি জনবিক্ষোভ দেখা গেছে। যদিও তারপর এই জুন এবং অক্টোবরে যা হলো তা স্পষ্টই ট্রাম্পের উগ্রবাদী নীতির বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী প্রতিবাদ । 


 রিপাবলিকান পার্টি হয়ে নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্পের স্লোগান ছিল "আমেরিকা ফাস্ট" অর্থাৎ আমেরিকার স্বার্থকেই বেশি গুরুত্ব দেবেন, আমেরিকা ফাস্ট স্লোগানটা বহু পুরনো, ১৯৩০ দশকে এক গুরুত্বপূর্ণ মত ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের জড়ানোর বিরুদ্ধে এরা মনে করতেন অন্য দেশের মার্কিন দাদাগিরির জন্য যে বিপুল অর্থ খরচ হয় তা দেশের কল্যাণে কাজে লাগুক। বহু বছর পর ট্রাম্প এই উক্তি ব্যবহার করেন। কিন্তু ক্ষমতা পেয়েই ট্রাম্পের আসল চেহারা দেখা গেল ১৫ই অক্টোবর সিএনএন থেকে এক প্রতিবেদনের শিরোনাম হয়,  নিজেকে বিশ্বগুরু প্রমাণ করার জন্য ট্রাম্পের কাছে "আমেরিকা ফাস্ট" এখন "ট্রাম্প ফাস্ট"। প্রতিবেদন লেখে গাজায় হামাসের অস্ত্র সমর্পণ নিয়ে ট্রাম্পের হুশিয়ারির অর্থ দাঁড়ায় সেখানে মার্কিন সেনা পাঠানোর ইচ্ছা, মাদক ধ্বংসের অজুহাতে ভেনেজুয়েলায় সেনা অভিযান, আর্জেন্টিনায় বিপাকে পড়া বন্ধু প্রেসিডেন্ট কে ২০ মিলিয়ন ডলার নামে ঝুলিয়ে রাখা, ভারত পাকিস্তান অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে পরামর্শের নামে নির্দেশ দেওয়া ইত্যাদি আসলে ট্রাম্পের বিশ্বনেতা হওয়ার বাসনা। 

এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধকে মদত দিচ্ছেন ট্রাম্প সেখানে টমাহোক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর কথা ঘোষণা করেছেন, যার ফলে ইউক্রেন রাশিয়ার ভিতর আক্রমণ করতে পারবে। এটা কি যুদ্ধ থামানোর পরিকল্পনা? নাকি যুদ্ধকে দীর্ঘ করতে চাওয়া। 

তিনি ন্যাটো সদস্যদের চাপ দিচ্ছেন  প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য। অভিযোগ ট্রাম্প রাষ্ট্রীয় নীতিমালা ভেঙে নিজে যা খুশি তাই করছেন।  তিনি কোন রাষ্ট্রের ওপর শুল্ক চাপাবেন বা কোন রাষ্ট্রপ্রধানের সাথে কেমন ব্যবহার করবেন তা তার নিজের খুশি মত হচ্ছে। তার মধ্যে একনায়কত্বের ছায়া দেখা যাচ্ছে। 


বিরোধীদের অভিযোগ তিনি রিপাবলিকান পার্টির নিজস্ব অভিবাসন নীতি কে দেশের নীতি করে দিচ্ছেন তার নীতির বিরোধিতা করলেই তাকে নিউইয়র্কের মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানির সাথে যেরকম আচরণ করা হয়েছে সেই রকমই করবেন।

 এর মধ্যে ওই আন্দোলনের দিন ১৮ই অক্টোবর শনিবার রাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ‍্যালে পোস্ট করা ভিডিও তে দেখা যায় কেনি লগিন্সের জনপ্রিয় গান ডেঞ্জার জোন ব্যাকগ্রাউন্ডে বাঁচতে থাকা এবং ট্রাম্পের জেট প্রতিবাদীদের মাথায় বাদামি তরল মলের মত ঢালছে। শনিবার রাতে হোয়াইট হাউজের অফিশিয়াল একাউন্ট থেকে 
এআই নির্মিত একটি ছবি পোস্ট করা হয়। সেখানে ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যানস রাজার মুকুট পরে আছে, পোস্টে লেখা গুড নাইট। ট্রাম্পের অবশ্যই এরকম পোস্ট করা স্বভাব। এর আগে একটা আফ্রো আমেরিকান ডেমোক্র্যাট নেতা হাতিম জেফ্রিসকে নিয়ে চূড়ান্ত বর্ণবাদী ও ঘৃণাপূর্ণ ছবি নিয়ে যথেষ্ট নিন্দা হয়েছিল। 


 মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অতি দক্ষিণ পন্থার বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদ বিরোধী ধারণার আয়োজনে বেশ কিছু প্রতিবাদী ও প্রতিরোধযুক্ত আন্দোলন সংঘটিত হয়। এদের অ‍্যান্টিফা বলে। এগুলো একটা "ধারনা " কারণ এদের কোন নির্দিষ্ট সংগঠন বা কমিটি অথবা সদস্য পদ এসব নেই। কিন্তু অসম্ভব স্বতঃস্ফূর্ততা আছে। ১৯২০ সালে ইতালিতে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই এই "ধারণা"র উৎপত্তি। ২০১৬ তে প্রথম প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের এই অ‍্যান্টিফা আন্দোলন বিস্তার লাভ করে। গত ২৩শে সেপ্টেম্বর বামপন্থী ধারণার অ‍্যান্টিফা কে আভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসবাদি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এ ধরনের তালিকাভুক্তি বিদেশি সশস্ত্র সংগঠনের ক্ষেত্রেই ঘটে। অথচ চূড়ান্ত অগণতান্ত্রিকভাবে দেশের মধ্যে একটা "ধারণা"কে এইভাবে চিহ্নিত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এর লক্ষ লক্ষ মানুষের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে অংশগ্রহণ,  অ‍্যান্টিফা মূলত এন্টি-ফাসিস্ট বা ফ্যাসিবাদ বিরোধীর সংক্ষিপ্ত রূপ। এরা কালো পোশাকে আসে। যুক্তরাষ্ট্রে এরা বর্ণবাদ ও অতি দক্ষিণ পন্থা বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে।  গত১০ই সেপ্টেম্বর ইউটাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে চার্লি কার্ক খুন হন। সন্দেহজনক হিসেবে দ্রুত টাইলার রবিনসন নামে বাইশ বছরের এক যুবকের বিরুদ্ধে প্রমাণ ছাড়াই হত্যার মামলা দেয়া হয়েছে,  সেই যুবক ও অ‍্যান্টিফার আন্দোলনে থাকে। 


এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন চলছে শাটডাউন। অর্থের অভাবে নিজেরই হাজার হাজার ফেডারেল কর্মীকে ছাটা এর পক্ষে যুক্তি দিচ্ছেন ট্রাম্প। এবারের মার্কিন শাটডাউন ১লা অক্টোবর থেকে এখনো চলছে। এটা মার্কিন ইতিহাসের তৃতীয় বৃহত্তম শাট ডাউন। এ পর্যন্ত কয়েক লাখ সরকারি কর্মচারী কাজ থেকে সাময়িক দরখাস্ত হয়েছে,  বিমান চলাচলে বিলম্ব হচ্ছে। প্রায় প্রতি ৫ জনের একজন বলছেন যে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।  রিপাবলিকানরা কংগ্রেসের উভয় কক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখলেও সরকার ফেল চালু হতে সিলেটে ডেমোক্রেটারদের ভোট দরকার। ডেমোক্র্যাট দের দাবি স্বাস্থ্য বীমা ভর্তুকি নবায়নে রাজি হতে হবে।  দেখা গেছে ৭২ % আমেরিকান চায়  চালু থাকুক। যাইহোক যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা কমছে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস ও এনওআরসির তথ্য সংগ্রহে দেখা গেছে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা ৩৭% নেমে এসেছে। ৬১% মানুষ তার মধ্যে রিপাবলিকানরাও আছে ট্রাম্পের আচরণ সমর্থন করছেন না। এদিকে এই "নো কিংস" বিক্ষোভের ঢেউ আছড়ে পড়ছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। যেমন জার্মানির বার্লিন, স্পেনের মাদ্রিদ এবং ইতালির রোমে বিক্ষোভ সংঘটিত হয়েছে। 


আসলে ট্রাম্পের দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গভীর অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে আছে। তাই মার্কিন মিডিয়াগুলোর মতো এই সংকটে শুধুই ট্রাম্পের মাতব্বরির ফল বলে চালিয়ে দিলে হবে না। তাহলে এত দীর্ঘ সময় শাটডাউন করতে হতো না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণের পরিমাণ আনুমানিক ৩৮ ট্রিলিয়ন ডলার এখন বছরে ১.২ ট্রিলিয়ন ডলারের মত বিশাল অংকের সুদ গুনতে হয়।  মার্কিন দেশের বৃহত্তর বহুজাতিক অর্থনৈতিক সংস্থা জেপি মরগ্যানের শীর্ষ কর্তারা সতর্ক করেছে যে যুক্তরাষ্ট্র তার ঋণের জন‍্য জিডিপি করুণ অবস্থায় যা ধীরে ধীরে ভেঙে পড়বে। সদ্য গ্রাজুয়েট হওয়া যুবদেরও দীর্ঘ সময় বেকারত্বের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে।  শ্রম বাজারের অভূতপূর্ব সংকট।  লে অফ,  ছাঁটাই এখন মার্কিন দেশের নিত্য ঘটনা। একটা অংশের মানুষের রোজগার কমছে।  ফলে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে।  এর মধ্যে বাণিজ্য নীতির পরিবর্তন ও চীনের সাথে বাণিজ্যিক উত্তেজনা বাড়িয়ে এই সংকট সময়ে ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে।

 
এই অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের গণবিক্ষোভ আরো বাড়ার সম্ভাবনা প্রবল। যা দুনিয়ার ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করতে পারে।  ভারতে এই প্রভাব তীব্র হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের বৃহত্তম বিনিয়োগ উৎসগুলোর মধ্যে একটা । এদিকে এই বছর ভারতের অ্যালুমিনিয়াম বস্ত্র ও ওষুধের ৫০% পর্যন্ত শুল্ক চাপানো হয়েছে। ফলে ভারতের রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সেপ্টেম্বর মাসে বিদেশি পোর্টফোলিও বিনিয়োগকারীরা ভারতের বাজার থেকে প্রায় ২.৭ বিলিয়ন ডলার তুলে নিয়েছে। ভারতীয় মুদ্রার মূল্য অনেকটা নিচে ৮৮.৮ টাকা প্রতি ডলার।  আইটি খাতে বিভিন্ন প্রজেক্ট বিলম্বিত হওয়া সম্ভাবনা, ইউএসএ ভারতের বৃহত্তম রপ্তানি বাজার।  তাই যুক্তরাষ্ট্রের চাহিদা সংকট ভারতকেও ক্ষতিগ্রস্ত করবে। 


মার্কিন দেশ জুড়ে এই "নো কিংস"  বিক্ষোভের আঁচ থাকবে যতক্ষণ সংকট থাকবে।  বিক্ষোভের আয়োজক এজরা লেভিন জানিয়েছেন -  "একটি কর্তৃত্ববাদী শাসনের কাছে দেশপ্রেমী মানুষের গণশক্তির চেয়ে বড় চাপ আর কিছু হয় না"

Your Opinion

We hate spam as much as you do