উপস্থিত বিচারকের রক্ষীবাহিনীর গুলি তৎক্ষনাৎ ঝাঁঝরা করে দিলো কানাইলালের দেহ; তাঁর পকেট থেকে পাওয়া গ্যালো এক টুকরো কাগজ যেখানে লেখা ছিলো... "ধ্বংস হও; দীনেশ গুপ্তকে ফাঁসি দেওয়ার পুরস্কার লও.."।
বিপ্লবী কানাইলালের বিস্মৃতপ্রায় শহীদ হওয়ার দিন ২৭শে জুলাই
newscopes.in 27th july
"না..এ আমার কানু নয়"।
মৃতদেহ শনাক্তকরণের সময় চোখের সামনে নিজের ছেলের নিথর দেহকে দেখেও বুকে শোকের জগদ্দল পাথর চেপে রেখে ক'জন মা এমন বলতে পারেন! কাত্যায়ণী দেবী পেরেছিলেন, কারণ তিনি যে কানাইলালের মা।
বিপ্লবী কানাইলাল। ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট পেডির হত্যা মামলায় ব্রিটিশ পুলিশ খুঁজে বেড়াচ্ছিলো বিপ্লবী বিমল দাশগুপ্তকে। সেই বিমল দাশগুপ্তকে পুলিশের হাত থেকে বাঁচানোর লক্ষে নিজের নাম গোপন রেখে বিমল দাশগুপ্ত ছদ্মনাম নাম নিয়ে বিচারপতি গার্লিককে হত্যা করেন কানাইলাল।
বিপ্লবী দীনেশ গুপ্ত এবং রামকৃষ্ণ বিশ্বাসের ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেওয়া বিচারক আর. আর. গার্লিককে গুলি করে হত্যা করেই পকেট থেকে পটাসিয়াম সায়ানাইড বের করে মুখে দিলেন কানাইলাল। দিনটা ছিলো ১৯৩১ সালের ২৭ শে জুলাই।
উপস্থিত বিচারকের রক্ষীবাহিনীর গুলি তৎক্ষনাৎ ঝাঁঝরা করে দিলো কানাইলালের দেহ; তাঁর পকেট থেকে পাওয়া গ্যালো এক টুকরো কাগজ যেখানে লেখা ছিলো...
"ধ্বংস হও; দীনেশ গুপ্তকে ফাঁসি দেওয়ার পুরস্কার লও.."।
আজ যখন ইতিহাস - ভূগোল গুলিয়ে দিয়ে মুচলেকা দেওয়া -ব্রিটিশের পা চাটা কিছু লোককে বীর-বিপ্লবী বানানোর চেষ্টা চলছে খোদ রাষ্ট্রীয় মদতে, সেই সময় বিপ্লবী কানাইলাল ভট্টাচার্যের মতো আত্মত্যাগে মহান জ্যোতির আলোকবর্তিকাকে ছড়িয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নিতে হবে আমাদেরই। না হলে ইতিহাস ক্ষমা করবে না আমাদেরঃ
"এক নামে যেই ডাকলে--- অনেক হলাম যে একজনা |
. ক্ষুদিরামের মা আমার কানাইলালের মা---
. জননী যন্ত্রণা আমার জননী যন্ত্রণা ।। "
We hate spam as much as you do