Tranding

05:56 PM - 01 Dec 2025

Home / Article / একবিংশ শতাব্দীতে আজকের ভারতবর্ষে গান্ধীজীকে কিভাবে মূল্যায়ন করতে হবে।

একবিংশ শতাব্দীতে আজকের ভারতবর্ষে গান্ধীজীকে কিভাবে মূল্যায়ন করতে হবে।

গান্ধী বলেছেন ‘‌হিন্দু–‌মুসলিম ইউনিটি হ্যাজ বিন মাই প্যাশন ফ্রম মাই আর্লি ইয়ুথ। আই মে নট লিভ আ সিঙ্গল স্টোন আনটার্নড টু অ্যাচিভ ইট‌।’‌

একবিংশ শতাব্দীতে আজকের ভারতবর্ষে গান্ধীজীকে কিভাবে মূল্যায়ন করতে হবে।

একবিংশ শতাব্দীতে আজকের ভারতবর্ষে গান্ধীজীকে কিভাবে মূল্যায়ন করতে হবে।


একবিংশ শতাব্দীতে আজকের ভারতবর্ষে গান্ধীজীকে কিভাবে মূল্যায়ন করতে হবে।
একটা নতুন সময়। নতুন করে গান্ধীজী আসছেন নতুন ভাবে প্রাসঙ্গিকতা তৈরী করে । 
স্বাধীনতা ও দেশভাগের অব্যবহিতে সাম্প্রদায়িক অশান্তিতে যখন এলোমেলো গোটা ভারতবর্ষ, তখন ৭৮ বছরের বৃদ্ধ  গাঁধীজি জীবনের  অনশন শুরু করেন। তারিখ ছিল ১৩ জানুয়ারি ১৯৪৮। গাঁধীজি জানিয়েছিলেন, ‘‘মানুষ হিসাবে সকল রকম উদ্যোগের পর আমি যখন আমার অসহায়তা উপলব্ধি করি তখনই আমি ঈশ্বরের কোলে মাথা রাখি।’’
দীর্ঘ দেড় শতক অতিক্রান্ত হতে চলেছে, আজও গাঁধীজি পরিবেশ, সমাজ, রাজনীতি, শিক্ষা, অর্থনীতি— আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই সমান প্রাসঙ্গিক।
‌বর্তমান ভারতে সন্ত্রাস ও ধর্মীয় উত্তেজনার সময় যুক্তির বদলে অবিজ্ঞানের মানসিকতা বেড়ে যাচ্ছে।
বিশ্বের নানা প্রান্তে এই সঙ্কট বাড়ছে। 
মৌলবাদ সমাজের এক গুরুত্বপূর্ণ দখল নিচ্ছে। এই রকম সময় গান্ধীজীর কর্মকান্ড নিঃসন্দেহে সামনে আনতে হবে।
   জীবনের শেষদিন পর্যন্ত প্রতিটি কর্মে, মর্মের প্রতিটি পদক্ষেপে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন মহাত্মা।  ..‌গান্ধী বলেছেন ‘‌হিন্দু–‌মুসলিম ইউনিটি হ্যাজ বিন মাই প্যাশন ফ্রম মাই আর্লি ইয়ুথ। আই মে নট লিভ আ সিঙ্গল স্টোন আনটার্নড টু অ্যাচিভ ইট‌।’‌ 


গান্ধীজি ধর্মকে সঙ্গে নিয়েই   তাঁর অহিংসার তত্ত্ব প্রচার করেছেন, যা তাঁর সমাজনীতি আর রাজনীতিকে সুনির্দিষ্ট লক্ষে পরিচালিত করেছে । 

গান্ধীজি বলেছেন, ‘‌যাঁরা নিজেদের সংখ্যাগুরু মনে করেন এবং ভাবেন ভারত কেবল তাঁদেরই বাসভূমি, তাঁরা ভুল করছেন। যাঁদের জন্ম এই দেশে, যাঁদের জীবিকার উৎস এই দেশ, তাঁদের কেউই বহিরাগত নন। সবাই হিন্দুস্তানের সন্তান‌।’‌


১৯৩৪ থেকে ১৯৪৬ পর্যন্ত ১২ বছরে ছ’‌বার মহাত্মাকে খুন করার চেষ্টা করা হয়। এই অবস্থায় মুসলিম লিগ কিংবা বিভিন্ন উগ্র হিন্দু সংগঠনের চিন্তা চেতনা গান্ধীজিকে চরম শত্রু ভেবেছে। তাকে শেষ করার ছক কষেছে ।  ১৯৪৮–‌এর ৩০ জানুয়ারি সন্ধেয় দিল্লির বিড়লাভবনের প্রার্থনাসভায় যোগ দেওয়ার পথে আরএসএস সদস্য নাথুরাম গডসের গুলিতে খুন হন ।


এই সময় ভারতবর্ষের সংবিধান রক্ষা করার লড়াই, গান্ধীর দেড়শ বছর পর তীব্রতা বাড়াতে হচ্ছে। গান্ধীর মুর্তিতে মাল্যদান বা তার চশমা বিজ্ঞাপন হিসেবে ব্যবহার হলেও গান্ধীর লক্ষ ও উদ্দেশ্য মারাত্বক ভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছে। 
আজকের ভারতবর্ষকে এই মৌলবাদী ধারনা থেকে মুক্ত করার সংগ্রাম যারা করবেন তারাই গান্ধী ভাবনার ভারত গড়তে সক্ষম হবে।

Your Opinion

We hate spam as much as you do