Tranding

01:19 PM - 01 Dec 2025

Home / Article / সশস্ত্র চট্টগ্রাম বিপ্লবী গনেশ ঘোষ কমিউনিস্ট হয়েছিলেন ২২শে জুন তার ১২১ তম জন্মদিন।

সশস্ত্র চট্টগ্রাম বিপ্লবী গনেশ ঘোষ কমিউনিস্ট হয়েছিলেন ২২শে জুন তার ১২১ তম জন্মদিন।

১৯৩২-১৯৩৫ সাল পর্যন্ত তিনি বিপ্লববাদী পথ নিয়েও ভাবতেন। প্রচুর পড়াশোনা করতেন। ১৯৩৫ সালের এপ্রিল মাসে আন্দামান সেলুলার জেলে দুই কমিউনিস্ট নেতা কমরেড আব্দুল হালিম ও সরোজ মুখার্জী রাজবন্দী হয়ে এলেন। এই দুই বিপ্লবী আন্দামানে বন্দীদের রাজনৈতিক পড়াশুনা ও সমাজতন্ত্র-সাম্যবাদ সম্পর্কে ধারণা দিলেন। বন্দীদের মধ্যে প্রতিদিন গোপনে গোপনে বৈঠক হতো। এভাবে তাঁরা গঠন করলেন কমিউনিস্ট গ্রুপ। যে গ্রুপের মধ্যে যুক্ত হলেন গণেশ ঘোষ।

সশস্ত্র চট্টগ্রাম বিপ্লবী গনেশ ঘোষ কমিউনিস্ট হয়েছিলেন ২২শে জুন তার ১২১ তম জন্মদিন।

সশস্ত্র চট্টগ্রাম বিপ্লবী গনেশ ঘোষ কমিউনিস্ট হয়েছিলেন ২২শে জুন তার ১২১ তম জন্মদিন।

বছর কয়েক আগে বেদব্রত পাইন চিটাগাং নামে একটা ছবি তৈরি করেছিলেন। ছবিটা বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। সিপিআইএমের রাজ্য দপ্তরে থাকতেন চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠনের অন্যতম কিশোর বিপ্লবী সুবোধ রায়। তার সাক্ষাতকারকেই সিনেমা তৈরির ক্ষেত্রে উৎস হিসেবে ব্যবহার করেন বেদব্রত।
দেখা যায় ঐ সময় গোটা দেশজুড়ে যখন বিপ্লবী আন্দোলনের আগুন জ্বলছে অর্থাৎ অহিংস অসহযোগ আন্দোলন থেকে ভারতছাড়োর মধ্যবর্তী সময়ে তখন সবচেয়ে বেশি উত্তাল হয়েছিল বাংলা।  এই উত্তাল সময়ে সবচেয়ে বেশি আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠন। আর দেখা গেছে এইসব সশস্ত্র বিপ্লবীরা পরবর্তীকালে বেশিরভাগ বামপন্থী বা কমিউনিস্ট দলে যোগদান করেন। সেই সময় এই অনুপ্রেরণার উৎস ছিল অবশ্যই সোভিয়েত বিপ্লব এবং স্বাধীনতার ঠিক মুহূর্তে  ফ্যাসিবাদের পরাজয়। নিঃসন্দেহে এইসব বিপ্লবীদের মধ্যে প্রথমসারিতে ছিলেন গনেশ ঘোষ।

গ্রামের স্কুলে
-------------------
বিপ্লবী গণেশ ঘোষ জন্মেছিলেন ১৯০০ সালের ২২ জুন। বাংলাদেশের যশোহর জেলার বিনোদপুর গ্রামে। গনেশ ঘোষ অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন।তার স্কুলের দুরন্ত ও চঞ্চল এই বালক পড়াশুনায় মেধাবী হওয়ায় স্কুলের শিক্ষকরা ও সহপাঠীরা তাঁকে খুব পছন্দ করতেন। এই স্কুলের ছাত্র অনন্ত সিং ছিলেন তাঁর অন্যতম বন্ধু । আর এই অনন্ত সিং এর মাধ্যমেই মাস্টারদা সূর্যসেনের সংস্পর্শে আসেন গণেশ ঘোষ।
স্বাধীনতার সশস্ত্র আন্দোলনে সবসময় বন্ধু বিপ্লবী অনন্ত সিং কে পাশে পেয়েছেন তিনি।১৯২১ সালে অসহযোগ আন্দোলনের সময় গান্ধীজীর ডাকে সমগ্র দেশ জুড়ে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বয়কটের ডাক দিলে গণেশ ঘোষ মিউনিসিপ্যাল স্কুল বয়কট সংগঠিত করেন । তাঁর নেতৃত্বে ওই স্কুলের প্রায় সব ছাত্রছাত্রী শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বয়কট করে। এছাড়াও তিনি চট্টগ্রামে বার্মা অয়েল কোম্পানির ধর্মঘট, স্টিমার কোম্পানির ধর্মঘট ও আসাম-বেঙ্গল রেলওয়ে ধর্মঘট প্রভৃতিতেও সক্রিয় অংশ গ্রহণ করে নেতৃত্ব প্রদানে ভূমিকা রাখেন।
তরুন বয়সেই শ্রমিক আন্দোলনে যোগদান গনেশ ঘোষকে পরবর্তীকালে কমিউনিস্ট হতে সাহায্য করেছিল।

যুগান্তর দল
-----------------------------
মাধ্যমিক পাশ করে  মাষ্টারদা সূর্যসেনের পরামর্শ অনুযায়ী ১৯২২ সালে তিনি কলকাতায় বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউশনে (যাদবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ) ভর্তি হন। এখানে এসে তিনি ছাত্রদের বিপ্লবী দল গড়ে তোলেন। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়ার সময় ১৯২৩ সালে মানিকতলা বোমা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিছুদিন জেলে থাকার পর প্রমাণাভাবে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।
এই সময় বিপ্লবী দল অনুশীলন সমিতি তৈরি হয়। আর মাস্টারদা সূর্যসেন ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ‘যুগান্তর’ দল গঠন করেন। এই বিপ্লবী দলের সভাপতি হন সূর্যসেন, সহসভাপতি অম্বিকা চক্রবর্তী, শহর সংগঠক হন গনেশ ঘোষ ও অনন্ত সিং এবং গ্রাম সংগঠক হন নির্মল সেন। এদলে পরবর্তীতে লোকনাথ বলকে যুক্ত করা হয়।ভারত রক্ষা আইন’-এ ১৯২৪ সালের ২৫ অক্টোবর গণেশ ঘোষ, নির্মল সেন, অম্বিকা চক্রবর্তী, অনন্ত সিং সহ আরো কয়েকজন গ্রেফতার হন। এসময় গণেশ ঘোষ চার বছরের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন কারাগারে কারারুদ্ধ থাকেন। ১৯২৮ সালের শেষের দিকে মুক্তিলাভ করেন তিনি।

জাতীয় কংগ্রেস অধিবেশন
---------------------------------------
এরপর ১৯২৮ সালে কলকাতায়  কংগ্রেসের  অধিবেশনে গণেশ ঘোষ প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেন। এই অধিবেশনে সুভাষচন্দ্রের নেতৃত্বে ও পরিচালনায় সামরিক চরিত্রের বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স বাহিনী গঠিত হয়। বেঙ্গল ভলান্টিয়ার বাহিনীতে নারী ও পুরুষ বিপ্লবী ছিল। বেঙ্গল ভলান্টিয়ার বাহিনীকে সামরিক মানসিকতায় শিক্ষা প্রদান করা হয় এবং এ বাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে স্বাধীনতার জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে মানসিক ভাবে প্রস্তুত করা হয় । গণেশ ঘোষ বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স বাহিনীর জি.ও.সি. মনোনীত হন।
১৯২৯ সালে তিনি কলকাতা থেকে চট্টগ্রামে ফিরে এসে বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটিতে নির্বাচিত হন। আর সূর্যসেন চট্টগ্রাম জেলা কংগ্রেসের সম্পাদক নির্বাচিত হন।

ইন্ডিয়ান রিপাবলিকান আর্মি, 
----------------------------------------
অন্যদিকে সূর্য সেন পাঁচজন বিপ্লবীকে (মাস্টারদা নিজে, অম্বিকা চক্রবর্তী, নির্মল সেন, গণেশ ঘোষ ও অনন্ত সিং) নিয়ে বিপ্লবী পরিষদ গঠন করেন। তাঁদের মধ্যে গণেশ ঘোষ ছিলেন অন্যতম। এই পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাস্টারদা সূর্যসেনের দলের নাম রাখা হয় ‘ইন্ডিয়ান রিপাবলিকান আর্মি, চট্টগ্রাম শাখা’। চট্টগ্রামে একটা স্বাধীন সরকার গঠনের পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়। সেই পরিকল্পনা অনুসারে একটি বিপ্লবী বাহিনী গঠন করার কাজ শুরু হয়। ক্রমান্বয়ে এই দলে যুক্ত হন নির্মল সেন, ধীরেন চক্রবর্তী, উপেন চক্রবর্তী, নগেন সেন, বিনয় সেন, মধু দত্ত, রাজেন দে, লোকনাথ বলসহ আরো অনেকে । ওই সময় পর্যন্ত দলে কোনো মেয়ে সদস্য ছিল না। সচ্চরিত্র, স্বাস্থ্যবান, সাহসী যুবক ও স্কুল-কলেজের ছাত্রদেরই নেয়া হতো এই বিপ্লবী দলে। বিপ্লবীদের নানাভাবে যাচাই-বাছাইয়ের পর এই দলে তাঁদেরকে অন্তর্ভূক্ত করা হতো। এর মধ্যে টেগরা বল, সুবোধ রায় ছাত্র ছিলেন। বেদব্রত তার এইসব বিষয়  ছবিতে খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন।

চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠন
---------------------------------
নিয়মিত অস্ত্রচালনা শিক্ষা চলতে থাকে এবং অস্ত্রশস্ত্র, বোমা ইত্যাদিও সংগৃহীত হতে থাকে। প্রায় ৫০ হাজার টাকাও সংগৃহীত হয়ে যায়। সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক সূর্যসেনের নেতৃত্বে ১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল রাত দশটায় চট্টগ্রামে অস্ত্রাগার লুন্ঠনের পরিকল্পনা হয়।
রাত দশটা পনের মিনিটে বিপ্লবীরা সশস্ত্র অভ্যুত্থানের মাধ্যমে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখল করেন। বিপ্লবীরা একের পর এক অতর্কিত আক্রমণ করে সরকারি অস্ত্রাগার, টেলিফোন কেন্দ্র, টেলিগ্রাফ ভবনসহ সকল গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে নেন, যা ছিল দেড়শত বছরের ইতিহাসে ইংরেজদের জন্য খুবই অপমানজনক ঘটনা। সম্ভবত এই প্রথম সশস্ত্র বিপ্লবীদের সংগঠিত আক্রমনে ছিন্নভিন্ন হয় ব্রিটিশ বাহিনী।
সারা দেশজুড়ে শুরু হয় তল্লাশি। কিন্তু গনেশ ঘোষ,অনন্ত সিং কে ধরা যায় না।

১৮ থেকে ২১ এপ্রিল এই চারদিন চট্টগ্রামে ইংরেজ শাসন কার্যত অচল ছিল। বিপ্লবীদের পূর্ণ প্রভাবে তখন প্রায় স্বাধীন চট্টগ্রাম । ২২ এপ্রিল ভোর বেলা সরকার সূর্য সেন, নির্মল সেন, অম্বিকা চক্রবর্তী, গণেশ ঘোষ, অনন্ত সিং ও লোকনাথ বলকে ধরিয়ে দিতে পাঁচ হাজার টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করে। বিপ্লবীরা তখন কলকাতা থেকে আবার চট্টগ্রামের দিকে রওনা হয়েছেন।

জালালাবাদের যুদ্ধ
--------------------------""
এইসময় জালালাবাদের পাহাড়ে বিপ্লবীরা ছিলেন। আর ব্রিটিশ সেনাদের ট্রেন সেখানে এলে গুলি ছোঁড়া শুরু হয়। ইংরেজদের ছিল আধুনিক অস্ত্র। তা সত্ত্বেও বিপ্লবীরা মরণপন যুদ্ধ করেন।তিন প্রধান নেতা সূর্য সেন, নির্মল সেন এবং অম্বিকা চক্রবর্তী সঙ্গে থেকে ঘন ঘন তাঁদের উৎসাহিত করছেন, গুলি এগিয়ে দিচ্ছেন। জীবিত বিপ্লবীরা শহীদদের লাশ পাশাপাশি শুইয়ে রেখে সামরিক কায়দায় শেষ অভিবাদন জানান। পাহাড়ে সুর্যসেনের নেতৃত্বে কয়েকশ পুলিশ আর সেনা বাহিনীর সাথে বিপ্লবীদের সম্মুখযুদ্ধ হয়। যুদ্ধে ব্রিটিশ বাহিনীর ৮০ জন এবং বিপ্লবী বাহিনীর ১২ জন বিপ্লবী শহীদ হন। যুদ্ধের এক পর্যায়ে ব্রিটিশ বাহিনী পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।

গ্রেপ্তার হলেন ও সেলুলার জেলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
---------------------
এইসময় গনেশ ঘোষ ও আরো তিনজন বিপ্লবী চন্দননগরে আশ্রয় নেন। ভেবেছিল ফরাসীদের চন্দননগর খানিকটা নিরাপদ হতে পারে। কিন্তু পুলিশ সেখানে আসে এবং এক তীব্র খন্ডযুদ্ধ হয়। মাখন ঘোষাল পুলিশের গুলিতে নিহত হন। ১৯৩০- ১লা সেপ্টেম্বর  গনেশ ঘোষ ধরা পড়েন। ততদিনে অনন্ত সিং ধরা পড়েন। বিচারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ হয়।১৯৩২ সালে তাঁকে আন্দামান সেলুলার জেলে নির্বাসনে পাঠানো হয়।

জেলে বসে কমিউনিস্ট হওয়া
-----------------------------------------"
১৯৩২-১৯৩৫ সাল পর্যন্ত তিনি বিপ্লববাদী পথ নিয়েও ভাবতেন। প্রচুর পড়াশোনা করতেন। ১৯৩৫ সালের এপ্রিল মাসে আন্দামান সেলুলার জেলে দুই কমিউনিস্ট নেতা কমরেড আব্দুল হালিম ও সরোজ মুখার্জী রাজবন্দী হয়ে এলেন। এই দুই বিপ্লবী আন্দামানে বন্দীদের রাজনৈতিক পড়াশুনা ও সমাজতন্ত্র-সাম্যবাদ সম্পর্কে ধারণা দিলেন। বন্দীদের মধ্যে প্রতিদিন গোপনে গোপনে বৈঠক হতো। এভাবে তাঁরা গঠন করলেন কমিউনিস্ট গ্রুপ। যে গ্রুপের মধ্যে যুক্ত হলেন গণেশ ঘোষ।
জেলবন্দীদের সুস্থ পরিবেশ ও ন্যুনতম বাাঁচার অধিকারের দাবীতে ১৯৩৮ সালের ২৫ জুলাই বন্দীরা আমরণ অনশন শুরু করেন।
অন্যদিকে বিপ্লবীদের মুক্তির দাবীতে প্রতিবাদ শুরু হয়। যুগান্তর দল অনুশীলন ও কমিউনিস্টরা এই আন্দোলন শুরু করেন। চাপে পড়ে ব্রিটিশরা ১৯৩৮ সালের ১৯ জানুয়ারী ব্রিটিশ সরকার চাপের মুখে আন্দামান বন্দীদের দেশে ফিরিয়ে আনতে বাধ্য হয়। কিন্তু গণেশ ঘোষসহ ৩০ জনকে দেশে এনে মুক্তি না দিয়ে আলীপুর, দমদম, প্রেসিডেন্সি ইত্যাদি কারাগারে পাঠানো হয়।

স্বাধীনতার পর কমিউনিস্ট বিধায়ক ও সাংসদ হওয়া
-----------------------------------
১৯৪৬ সালে তিনি মুক্তি পান। মুক্তিলাভের পর তিনি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন।স্বাধীনতার ঠিক পরেই কমিউনিষ্ট পার্টি নিষিদ্ধ হওয়ায় ১৯৪৮ থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত তাঁকে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়। তিনি ১৯৫২, ১৯৫৭ ও ১৯৬২ সালে পরপর তিনবার  বেলগাছিয়া থেকে বিধানসভার  সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬৪ সালে কমিউনিস্ট পার্টি বিভাজনের পর তিনি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) তে যোগ দেন। এরপর তিনি ১৯৬৭ সালে  লোকসভার সদস্য নির্বাচিত হন। শেষ জীবনে মাস্টারদা সূর্য সেন বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহের কাজ করেন।

আজীবন সংগ্রামী গনেশ ঘোষ জীবনের দীর্ঘ পথ পরিক্রমা করে ১৯৯২ সালের ২২ ডিসেম্বর  প্রয়াত হন।
🌈

Your Opinion

We hate spam as much as you do