Tranding

01:40 PM - 01 Dec 2025

Home / Other Districts / 'তৃনমূল নেতা আনারুলের মদতেই বগটুই হত্যাকাণ্ড', চার্জশিটে উল্লেখ সিবিআইয়ের

'তৃনমূল নেতা আনারুলের মদতেই বগটুই হত্যাকাণ্ড', চার্জশিটে উল্লেখ সিবিআইয়ের

বহটুই গ্রামে যখন হামলা চালানো হচ্ছিল তখন গ্রামের বাসিন্দারা আনারুল হোসেনকে ফোন করেছিলেন। আনারুল তখন ফোনে তাঁদের বলেছিল, আমরা ভাদু শেখের খুনের প্রতিশোধ নিচ্ছি বলে জানিয়েছিলেন আনারুল হোসেন। পুলিশ যাবে না বলে জানিয়েছিলেন আনারুল।

'তৃনমূল নেতা আনারুলের মদতেই বগটুই হত্যাকাণ্ড', চার্জশিটে উল্লেখ সিবিআইয়ের

'তৃনমূল নেতা আনারুলের মদতেই বগটুই হত্যাকাণ্ড', চার্জশিটে উল্লেখ সিবিআইয়ের

 

বগটুই কাণ্ডের চার্জশিট জমা দিল সিবিআই। চার্জশিটে আনারুলকেই মূল দোষী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সিবিআই চার্জশিটে উল্লেখ করেছে, আনারুল হোসেনের মদতেই বগটুইয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। ভাদু শেখ মারা যাওয়ার পর হাসপাতালে গিয়ে তিনিই উস্কানি দিয়েছিলেন। তারপরেই বোমা লাঠি নিয়ে জনতা বগটুই গ্রামে তাণ্ডব চালিয়েছিল।

 

অবশেষে বগটুই কাণ্ডের চার্জশিট জমা দিল সিবিআই। কলকাতা হাইকোর্টে বুধবার চার্জশিট জমা দেন সিবিআই আধিকারীকরা। তাঁরা চার্জশিটে আনারুল হোসেনকে দোষী বলে দাবি করেছেন। বগটুই কাণ্ডে হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিলেন আনারুল হোসেন। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। ভাদু শেখের খুন হওয়ার পর হাসপাতালে গিয়ে উস্কানি দিয়েছিলেন। হাসপাতালে গিয়ে আনারুল হোসেন উস্কানি দিয়েছিলেন। তারপরেই বগটুই গ্রামে বোমা, লাঠি নিয়ে চড়াও হয়েছিল। বগটুই গ্রামে গিয়ে পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বাড়ির পর বাড়ি।

 

বহটুই গ্রামে যখন হামলা চালানো হচ্ছিল তখন গ্রামের বাসিন্দারা আনারুল হোসেনকে ফোন করেছিলেন। আনারুল তখন ফোনে তাঁদের বলেছিল, আমরা ভাদু শেখের খুনের প্রতিশোধ নিচ্ছি বলে জানিয়েছিলেন আনারুল হোসেন। পুলিশ যাবে না বলে জানিয়েছিলেন আনারুল। আনারুল পুলিশকে বগটুই গ্রামে যেতে আটকে ছিল বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছিল। তদন্তকারীরা চার্জশিটে লিখেছেন বগটুইয়ে যখন হত্যাকাণ্ড চলছে তখন সোনা শেখের বাড়ি থেকে ফোন করা হয়েছিল রামপুরহাট থানার সাব ইন্সপেক্টর রমেশ সাহাকে। কিন্তু সব শুনেই ফোন কেটে দিয়েছিলেন রমেশ। চার্জশিটে উল্লেখ করেছে সিবিআই।

 

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গ্রেফতার করা হয়েছিল আনারুল হোসেনকে। তারপরে সিবিআই তাকে হেফাজতে নেয়। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আনারুল হোসেন। প্রথমে তাঁকে রামপুরহাট হাসপাতােল ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ভর্তি করা হয় বোলপুর হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসা চলছে আনারুলের। এদিকে বগটুই কাণ্ডে আনারুলের অসুস্থতার মাঝেই কলকাতা হাইকোর্টে চার্জশিট জমা দিয়েছেন সিবিআই আধিকারীকরা। তাতে আনারুলকেই দোষী বলে দাবি করা হয়েছে।

 

 

বগটুই কাণ্ডের পর থেকে আনারুল হোসেনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই প্রথম আনারুলকে গ্রেফতার করা হয়। বগটুই গ্রামে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ভাদু শেখ আনারুলকে পুিলশ পাঠাতে বলেছিল গ্রামে আনারুল কেন সঠিক সময়ে পুলিশে খবর দেয়নি। তাকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তারাপীঠ থেকে গ্রেফতার করা হয় আনারুল হোসেনকে। আনারুল সহ ১২ জনকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। ১২ জনের বিরুদ্ধে কোনও তথ্য প্রমাণ দিতে পারেনি সিবিআই।

 

 

Your Opinion

We hate spam as much as you do