Tranding

04:46 PM - 01 Dec 2025

Home / Others / স্বাস্থ্যসাথীতে চিকিৎসার ২০০কোটি টাকা পাওনা, রাজ‍্যের কাছে বেসরকারী হাসপাতালগুলোর অভিযোগ

স্বাস্থ্যসাথীতে চিকিৎসার ২০০কোটি টাকা পাওনা, রাজ‍্যের কাছে বেসরকারী হাসপাতালগুলোর অভিযোগ

স্বাস্থ্য ভবনে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে। অন্তত ২০টি বেসরকারি হাসপাতালের তরফে স্বাস্থ্য ভবনে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে। যেখানে দ্রুত বকেয়া মেটানোর কথা বলা হয়েছে। হাসপাতালগুলির দাবি, এর আগেও এই বিষয়ে দাবি করা হয়েছিল। সেই সময়ে ২০ দিনের মধ্যে টাকা মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এরপর দিনের পর দিন কেটে গেলেও বকেয়া টাকা মেটানো হয়নি বলেই দাবি বেসরকারি হাসপাতাল সংগঠনগুলির।

স্বাস্থ্যসাথীতে চিকিৎসার ২০০কোটি টাকা পাওনা,  রাজ‍্যের কাছে বেসরকারী হাসপাতালগুলোর অভিযোগ

স্বাস্থ্যসাথীতে চিকিৎসার ২০০কোটি টাকা পাওনা,  রাজ‍্যের কাছে বেসরকারী হাসপাতালগুলোর অভিযোগ   


স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর বিনিময়ে চিকিৎসা করার পর তার টাকা বহুদিন যাবত হাসপাতালগুলোকে রাজ্য সরকার দেয়নি।
মেটানো হয়নি টাকা! এই অবস্থায় নতুন করে আর স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে রোগী ভর্তি সম্ভব নয়। 


আর এহেন দাবি করেই স্বাস্থ্যভবনে চিঠি একাধিক হাসপাতালের। যা নিয়ে চরম অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। পূর্ব ভারতের বেসরকারি হাসপাতালগুলির দাবি, প্রায় ২০০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে।

বিল না মেটানোর অভিযোগ বেসরকারি   হাসপাতালগুলির।  এর উপর কার্যত প্রত্যেকদিনই বোঝা বাড়ছে। আর এভাবে চললে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখা তাঁদের কাছে কঠিন হয়ে পড়ছে বলেই দাবি বেসরকারি হাসপাতালগুলি। যদিও এই বিষয়ে সরকারি ভাবে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


যদিও স্বাস্থ্য ভবনের একাংশ বলছে একগুচ্ছ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। এমনকি প্রত্যেক হাসপাতালকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা মিটিয়েও দেওয়া হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে কি সমস্যা তা খতিয়ে দেখা হবে বলে সূত্রের খবর।

 

রাজ্যে ভোটের আগে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা নিয়ে আসা হয় মানুষের সামনে। মূলত সরকারি হাসপাতালে তো বটেই, বেসরকারি হাসপাতালেও এই কার্ডের মাধ্যমে চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়ার কথা বলা হয়। কার্যত কেন্দ্রের স্বাস্থ্য বিমার পরিষেবাকে চ্যালঞ্জ করেই এই কার্ড নিয়ে আসা হয়। কিন্তু প্রথমদিন থেকেই কার্যত স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলি নানা অভিযোগ সামনে আনছিল। আর সেই বিতর্কের মধ্যেই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ।

 

স্বাস্থ্য ভবনে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে।
অন্তত ২০টি বেসরকারি হাসপাতালের তরফে স্বাস্থ্য ভবনে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে। যেখানে দ্রুত বকেয়া মেটানোর কথা বলা হয়েছে। হাসপাতালগুলির দাবি, এর আগেও এই বিষয়ে দাবি করা হয়েছিল। সেই সময়ে ২০ দিনের মধ্যে টাকা মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এরপর দিনের পর দিন কেটে গেলেও বকেয়া টাকা মেটানো হয়নি বলেই দাবি বেসরকারি হাসপাতাল সংগঠনগুলির। ফলে এই অবস্থায় টাকা মেটানো না হলে এই কার্ড নেওয়া বন্ধ করে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি বেসরকারি হাসপাতালগুলির।


নানা ধরণের প্যাকেজ রয়েছে
অন্যদিকে বিভিন্ন চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে নানা ধরণের প্যাকেজ রয়েছে। সেই প্যাকেজের রেট বাড়ানোর আর্জিও জানানো হয়েছে। বিশেষ করে করোনার সময়ে সরকারের তরফে কিছু ক্ষেত্রে রেট বেঁধে দেওয়া হয়। পরীক্ষা সহ কয়েকটি চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের নির্ধারিত টাকার বাইরে নেওয়া যাবে না বলে জানানো হয়। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতাল সংগঠনের দাবি, সরকারের বেঁধে দেওয়া টাকাতে আর পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয় বলেই দাবি।


হাসপাতালগুলির মিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে
যদিও স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, ঠিক সময়ে হাসপাতালগুলির মিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কোথাও কোনও বকেয়া নেই। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে দাবি স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে।

ছবি - এবিপি বাংলা

 

Your Opinion

We hate spam as much as you do