জানাযায় খুন হয়ে যাওয়া ব্যাক্তি পেশায় কৃষক পুড়শুড়ি গ্রামের বাসিন্দা বটকৃষ্ণ পাল ৫৫ বছর বয়স। তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী এবং প্রাক্তন বুথ সভাপতি। বাসস্থান থেকে সামান্য দূরে নতুন পাকার ঘর তৈরী করেছেন। এখনো কমপ্লিট হয়নি। সেই ঘরে একা তিনি রাতে ঘুমান। শনিবাব সকাল ১০ টা নাগাদ সেই বাড়ি থেকে তার রক্তাক্ত গলা কাটা মৃতদেহ উদ্ধার হয় খাটের গোড়ায় মেজে থেকে।
চন্দ্রকোনাতে তৃণমূলের প্রাক্তন বুথ সভাপতির গলাকাটা দেহ উদ্ধার।
Apr 8, 2023
নিজের বাড়ি থেকেই তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী ও প্রাক্তন বুথ সভাপতি বটকৃষ্ণ পাল এর গলা কাটা দেহ উদ্ধার। তড়িঘড়ি দেহ ময়নাতদন্তের নামে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করায় পরিবার সহ গ্রামবাসীদের প্রতিবাদ। খুনের অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্ত সহ পুলিশ কুকুর নিয়ে এসে আসে তদন্তর দাবীতে সাত ঘন্টা দেহ আটকে রেখে পুলিশ প্রসাশন কে ছুঁতে দিলো না গ্রামবাসী সহ পরিবার।
শনিবারের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের পুড়শুড়ি গ্রামে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ। তড়িঘড়ি দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের চেষ্টা করা হলে মৃত ব্যাক্তির ছেলে গোবিন্দপ্রসাদ পাল সহ পরিবারের লোকজন এবং এলাকার মানুষ বাধা দেন। দাবী জানান পুলিশ কুকুর নিয়ে এসে আগে তদন্ত হোক। সিবিআই এর তদন্তের জরালো দাবী ওঠে। গোষ্টী কন্দলে এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয় মানুষের অভিযোগ। তবে তৃণমূল নেতারা তাদের সক্রিয় কর্মীর দেহ নিজের ঘরে গলাকাটা অবস্থায় উদ্ধার হলেও তেমন জোরালো তদন্তের কোনো দাবী জানায়নি।
পুলিশ কুকুর দিয়ে তদন্তের দাবীতে মৃত দেহ আটক রেখে বিক্ষোভ। জানাযায় খুন হয়ে যাওয়া ব্যাক্তি পেশায় কৃষক পুড়শুড়ি গ্রামের বাসিন্দা বটকৃষ্ণ পাল ৫৫ বছর বয়স। তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী এবং প্রাক্তন বুথ সভাপতি। বাসস্থান থেকে সামান্য দূরে নতুন পাকার ঘর তৈরী করেছেন। এখনো কমপ্লিট হয়নি। সেই ঘরে একা তিনি রাতে ঘুমান। শনিবাব সকাল ১০ টা নাগাদ সেই বাড়ি থেকে তার রক্তাক্ত গলা কাটা মৃতদেহ উদ্ধার হয় খাটের গোড়ায় মেজে থেকে।
এমন ঘটনায় খবর দেওয়া হয় পুলিশে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ।
পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য তড়িঘড়ি দেহ তুলে আনার চেষ্টা করলে পরিবারের লোক জন গ্রামবাসী বাধাদেন। পুলিশ কুকুর দিয়ে তদন্তের দাবীতে বিক্ষোভ হয়। ছুটে আসেন ঘাটাল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অগ্নিশ্বর চৌধুরী থেকে শুরু করে চন্দ্রকোনা থানার, বিশাল পুলিশ বাহিনী। সাত ঘন্টা মৃতদেহ কে স্পর্শ করতে না দিয়ে আটক করে রাখেন গ্রামের মানুষ সহ পরিবার। তার পর বিকালে পুলিশ কুকুর নিয়ে এসে তদন্ত শুরু হলে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য তুলে দেওয়া হয়।
পুলিশ কুকুর দিয়ে দেহ উদ্ধার স্থল থেকে তদন্ত শুরু হয়। বাড়ী থেকে হাফ কিমি দূরে ধান জমির কাছে রাস্তার ঝোপের ধারে গিয়ে কুকুরটি বসে পড়ে। সেই ঝোপের ভেতর থেকে মিলে বেশকিছু এভিডেন্স।যদিও সেই এভিডেন্স সম্পর্কে এখনই প্রকাশ্য আনতে চাইছে না পুলিশ।পুলিশ কুকুরের চিহ্নিত ওই জায়গা এবং ধান জমিতে পুলিশ কর্মী দিয়েও তল্লাশি চালানো হয়। এবিষয়ে ঘাটাল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অগ্নীশ্বর চৌধুরী জানান,বডিতে যা চিহ্ন পাওয়া গেছে খুন বলেই মনে হচ্ছে,আপাতত বডি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হল,ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে বাকি যা যা ফলোআপ অ্যাকশন আছে সেগুলো করা হবে।
এখন দেখার বিষয় এভিডেন্স পাওয়া গেলো, খুনের কিনারা কত দিনে শেষ হয়।
সুত্র - খবরে আমরা পশ্চিম মেদিনীপুর
We hate spam as much as you do