Tranding

03:00 PM - 01 Dec 2025

Home / World / ক্লাস শুরু আফগানিস্তানে একসঙ্গেই বসে ছেলে-মেয়ে, তবে পর্দা দিয়ে - শুরু হল পড়াশোনা

ক্লাস শুরু আফগানিস্তানে একসঙ্গেই বসে ছেলে-মেয়ে, তবে পর্দা দিয়ে - শুরু হল পড়াশোনা

তালেবান সরকার আগেই ঘোষণা করেছিল নারীদের অধিকার ও সম্মান ইসলামি আইন অনুযায়ী রক্ষা করা হবে। সেই কথা অনুযায়ী, ক্লাসরুমে ছেলে ও মেয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে পর্দা দিয়ে বসার জায়গা আলাদা করা হয়েছে।

ক্লাস শুরু আফগানিস্তানে একসঙ্গেই বসে ছেলে-মেয়ে, তবে পর্দা দিয়ে -  শুরু হল পড়াশোনা

 ক্লাস শুরু আফগানিস্তানে একসঙ্গেই বসে ছেলে-মেয়ে, তবে পর্দা দিয়ে -  শুরু হল পড়াশোনা

 

সবাই ভেবেছিল মেয়েরা ঘর থেকেই বেরোতে পারবে না। লেখাপড়াতো দুরের কথা। কিন্তু আধুনিক বিশ্বের চাপে এবং নিজেদের খানিকটা পরিবর্তন করার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তালিবান আফগানিস্তানে স্কুল ও কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় চালু করল। 
 তালেবান সরকার আগেই ঘোষণা করেছিল নারীদের অধিকার ও সম্মান ইসলামি আইন অনুযায়ী রক্ষা করা হবে। সেই কথা অনুযায়ী, ক্লাসরুমে ছেলে ও মেয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে পর্দা দিয়ে বসার জায়গা আলাদা করা হয়েছে।
মাঝে পর্দা দিয়ে আফগান শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু।

 

বিশ্ব যখন দেশটির নারী শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন তখন তালেবানরা নারীদের জন্য পৃথক ও বিশেষ ক্লাসের ব্যবস্থা করেছে। 

 

এই তালেবানরাই তাদের বিগত শাসনামলে (১৯৯৬ থেকে ২০০১) নারী শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা ও কর্মে বিশাল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

 

আফগানিস্তানের কাবুল, কান্দাহার ও হেরাতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানান, নারী শিক্ষার্থীদের একই শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়েছে। তাদেরকে আলাদা করা হয়েছে। এমনকি ক্যাম্পাসের কিছু নির্দিষ্ট স্থানে তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে।

 

২১ বছর বয়সী কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী আনজিলা বলেন, ক্লাসরুমে পর্দা তুলে দেওয়াটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমি ক্লাসে ঢোকার সময় খুবই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ি। আমরা ক্রমাগত ২০ বছর পেছনে ফিরে যাচ্ছি।

 

এদিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাসোসিয়েশনের নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, নারীদের বাধ্যতামূলক হিজাব ও আলাদাভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া নারীদের জন্য নারী শিক্ষকের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর ছোট ক্লাসরুমে নারীরা পর্দার আড়ালে থেকে ক্লাস নিতে পারবেন।

 

ক্লাসরুমে পর্দা থাকবে কিনা এবং বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাসোসিয়েশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলবে কিনা এসব বিষয়ে তালেবানের মুখপাত্র তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেননি।

 

তবে দলটির একজন শীর্ষ নেতা বলেছেন, ক্লাসরুমে পর্দা তুলে দেওয়াটা নিশ্চয়ই গ্রহণযোগ্য। কারণ আফগানিস্তানের বিদ্যমান সম্পদে এটিই সর্বোত্তম ব্যবস্থা। এই উপায়ে নারী-পুরুষ উভয় শিক্ষক ক্লাস নিতে পারেন। শিক্ষার্থীরাও একই ক্লাসরুমে বসতে পারেন।

সূত্র: রয়টার্স।
 

Your Opinion

We hate spam as much as you do