প্রতারণার ফাঁদ পাততে কখনও সে হয়েছে সিবিআই অফিসার। কখনও পুলিশ অফিসার। কখনও আবার হিউম্যান রাইটসের আধিকারিক। কখনও বা নকল প্রেসকার্ড তৈরি করে হয়েছে সাংবাদিক। বিভিন্ন আইকার্ডে সরকারি লোগো ব্যবহার করে জালিয়াতি করে গেছে আসানসোলের চিত্তরঞ্জনের মুন্না ডোম ওরফে এমকে সিং
আবার ভুয়ো -এবার আসানসোল- ম্যাজিস্ট্রেটের পরিচয় দিয়ে লক্ষাধিক টাকার প্রতারণা
newscopes.in 17th july আবার প্রতারণা। প্রতারণার পেছনে লুকিয়ে রয়েছে আবার এক জন ভুয়ো পরিচয়ের ব্যক্তি কিংবা একাধিক মানুষ। এবারের প্রতারণার ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলে।
প্রতারণার ফাঁদ পাততে কখনও সে হয়েছে সিবিআই অফিসার। কখনও পুলিশ অফিসার। কখনও আবার হিউম্যান রাইটসের আধিকারিক। কখনও বা নকল প্রেসকার্ড তৈরি করে হয়েছে সাংবাদিক। বিভিন্ন আইকার্ডে সরকারি লোগো ব্যবহার করে জালিয়াতি করে গেছে আসানসোলের চিত্তরঞ্জনের মুন্না ডোম ওরফে এমকে সিং। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, কাউকে চাকরি দেওয়ার নামে, কাউকে সিবিআই অফিসার সেজে ব্ল্যাকমেলিং করে সে আর্থিক প্রতারণা করে গেছে দিনের পর দিন। চাকরির নামে সে এক এক জনের সঙ্গে ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকার প্রতারণা করেছে। তারপরেই চিত্তরঞ্জন ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল সে। সেই পলাতক মুন্না অবশেষে ধরা পড়ল ঝাড়খণ্ডের দুমকায়। লকডাউনের সময় ম্যাজিস্ট্রেট সেজে সে রাস্তায় তোলাবাজি করছিল। বাইক আরোহী, গাড়ি চালক ও দোকানদারদের ভুয়ো অফিসার সেজে টাকা আদায় করার সময় ধরা পড়ে। স্থানীয়রাই তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। সেই খবর পেয়ে চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশ দুমকা আদালত থেকে ৬ দিনের প্রোডাকশন ওয়ারেন্টে নিয়ে এল অভিযুক্ত মুন্না ডোমকে। পুলিশ তার কাছ থেকে নকল সিবিআই অফিসারের কার্ড, ভুয়ো প্রেস কার্ড, পুলিশের লাঠি, মানবধিকার সংগঠনের কার্ড উদ্ধার করে। প্রতারিতদের দাবি , তার চারচাকা ও দুচাকা গাড়িতে পুলিশ লেখা স্টিকার দেখা যেত। মুন্নার নামে লাখ লাখ টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। চিত্তরঞ্জনে থাকতে থাকতেই সে বারবার নিজের ডেরা বদলেছে। লকডাউন থাকতেই সে পালিয়ে যায়। দুমকাতে গিয়েও সে প্রতারণা শুরু করেছিল। ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে লকডাউনে গাড়ি চেকিং ও দোকানে অভিযান চালিয়ে তোলা আদায় করতে গিয়েই অবশেষে হাতনাতে ধরা পড়ল মুন্না ডোম।
We hate spam as much as you do