আরজি কর হাসপাতাল আসলে যেই তৃণমূলী দুষ্কৃতীরা ভাঙচুর করল, তাদের না ধরে, তিনদিন ধরে ঘোষিত ভাবে হাসপাতালের সামনে অবস্থান করা এসএফআই ডিওয়াইএফআই কর্মীদের হেফাজতে নেওয়া হচ্ছে। কতজনকে আটক করা হয়েছে, সেই সংখ্যাটাও বলছে না। আমাদের আশঙ্কা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দেখেও বামপন্থী কর্মীদের আটক করা হচ্ছে। আমরা দেখতে চাই কলকাতা পুলিশের কতজনকে গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা রয়েছে।"
কিছু কর্মী সহ দুই SFI নেতাকে বেহালা থেকে তুলে নিয়ে গেল লালবাজার
১৮ অগস্ট ২০২৪
আরজি কর-কাণ্ডে উত্তপ্ত বাংলা। এরই মধ্যে শনিবার রাতে দুই SFI ছাত্রনেতাকে বেহালা থেকে তুলে নিয়ে গেল লালবাজার। এক জনের নাম সফিকুল। তিনি এসএফআই কলকাতা জেলা কমিটির সদস্য। অন্য জনের নাম চিরঞ্জিত রায়। ডাক নাম চিরন। এসএফআই বেহালা পূর্বের একটি আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি তিনি। সিপিআইএম নেতৃত্ব জানিয়েছেন, সফিকুলকে গুন্ডাদমন শাখা আটক করে লালবাজারে নিয়ে গিয়েছে। খবর পেয়ে কলকাতা পুলিশের সদর দফতরের সামনে পৌঁছেছেন সিপিআইএম নেতা কৌস্তভ চট্টোপাধ্যায়, সফিকুলের বাবা এবং পরিবারের লোকজন।
সিপিআই(এম) কলকাতা জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য কৌস্তভ চ্যাটার্জি জানিয়েছেন, “অপরাধীর মত বেহালা থেকে এসএফআই কলকাতা জেলা কমিটির সদস্য মহম্মদ সফিউল হককে এরেস্ট মেমো ও ওয়ারেন্ট না দেখিয়ে বাড়ি থেকে লালবাজারে নিয়ে এসেছে। একই কায়দায় ডিওয়াইএফআই'র লোকাল কমিটির প্রেসিডেন্ট চিরঞ্জীৎ রায়কে বেহালা থানা এলাকা থেকে তুলে আনা হয়েছে। একইভাবে কলকাতা ও লাগোয়া অঞ্চলের বহু ছাত্র যুব কর্মীকে নিয়ে আসা হয়েছে লালবাজারে।”
তাঁর ক্ষোভ, "আরজি কর হাসপাতাল আসলে যেই তৃণমূলী দুষ্কৃতীরা ভাঙচুর করল, তাদের না ধরে, তিনদিন ধরে ঘোষিত ভাবে হাসপাতালের সামনে অবস্থান করা এসএফআই ডিওয়াইএফআই কর্মীদের হেফাজতে নেওয়া হচ্ছে। কতজনকে আটক করা হয়েছে, সেই সংখ্যাটাও বলছে না। আমাদের আশঙ্কা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দেখেও বামপন্থী কর্মীদের আটক করা হচ্ছে। আমরা দেখতে চাই কলকাতা পুলিশের কতজনকে গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা রয়েছে।"
পুলিশ সূত্রে খবর, বেহালার পাশাপাশি দমদম সহ কলকাতা লাগোয়া এলাকার ছাত্র যুব কর্মীদের আনা হয়েছে লালবাজারে। স্থানীয় থানাকে অন্ধকারে রেখেই অপারেশন করা হয়েছে। যদিও মোট কতজনকে আনা হয়েছে, কিংবা তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে কিনা, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যেই লালবাজারের বাইরে বামপন্থী কর্মীরা জমায়েত হতে শুরু করেছেন।
সিপিআইএম নেতৃত্ব এবং ধৃত ছাত্রনেতার পরিবারের লোকজনের দাবি, যখন পুলিশের সঙ্গে তাঁরা কথা বলছিলেন, তখনই তাঁরা দেখতে পান চিরঞ্জিতকে নিয়ে কলকাতা পুলিশের পৃথক একটি দল লালবাজারে প্রবেশ করছেন। সূত্রের খবর, দমদমের তরুণ এক সিপিআইএম নেতাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছেন লালবাজারের আধিকারিকেরা।
We hate spam as much as you do