দুদিন ধরে বাঘ ধরতে গিয়ে নাস্তানুবাদ হতে হল বনকর্মীদের। সোমবার রাতে কুলতলির মৈপীঠের বৈকন্ঠপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে আজমল মারি ১২ নম্বর জঙ্গল থেকেই একটি পূর্ণবয়স্ক বাঘ ওরিয়ান নালা সাঁতরে ঢুকে পড়েছিল বৈকুন্ঠপুর ৬ নম্বর গ্রামের ভীম নায়েকের গোয়ালে। শিকার ছেড়ে যেতে না চেয়ে সে চারঘন্টা রাস্তায় বসে ছিল। মঙ্গলবার বেলার দিকে বাঘটি নদী সাঁতরে জঙ্গলে ফেরত গেছে বলে দাবি করে বন দফতর। বুধবার দিন, বন দপ্তরের পাতা খাঁচায় ধরা পড়ল কুলতলির লোকালয়ে চলে আসা বাঘটি। আপাতত নিয়ে গিয়ে রাখা হয়েছে ঝড়খালিতে।
কুলতলির মৈপীঠে লোকালয়ে চলে আসা রয়্যাল বেঙ্গল ধরা পড়ল বন দপ্তরের খাঁচায়। সুন্দরবনের জঙ্গলে ছাড়া হবে আজই
অবশেষে উনি ধরা পড়লেন। গোয়ালে গরু মেরে শেষ পর্যন্ত খাাঁচায়। তবে আর খাঁচা থেকে পালানোর চেষ্টা পর্যন্ত করলেন না। উনি মানে এক রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার
সোমবার রাতভর জাল দিয়ে গ্রাম লাগোয়া নদী সংলগ্ন মানগ্রোভের ঝোপঝাড় ঘিরে রেখে সেখানে লুকিয়ে থাকা বাঘটির ওপর নজরদারি চালান বনকর্মী ও গ্রামবাসীরা। বুধবার দিন, বন দফতরের পাতা খাঁচায় ধরা পড়ল কুলতলির লোকালয়ে চলে আসা বাঘটি। আপাতত নিয়ে গিয়ে রাখা হয়েছে ঝড়খালিতে।
দুদিন ধরে বাঘ ধরতে গিয়ে নাস্তানুবাদ হতে হল বনকর্মীদের। সোমবার রাতে কুলতলির মৈপীঠের বৈকন্ঠপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে আজমল মারি ১২ নম্বর জঙ্গল থেকেই একটি পূর্ণবয়স্ক বাঘ ওরিয়ান নালা সাঁতরে ঢুকে পড়েছিল বৈকুন্ঠপুর ৬ নম্বর গ্রামের ভীম নায়েকের গোয়ালে। শিকার ছেড়ে যেতে না চেয়ে সে চারঘন্টা রাস্তায় বসে ছিল। মঙ্গলবার বেলার দিকে বাঘটি নদী সাঁতরে জঙ্গলে ফেরত গেছে বলে দাবি করে বন দফতর। বুধবার দিন, বন দপ্তরের পাতা খাঁচায় ধরা পড়ল কুলতলির লোকালয়ে চলে আসা বাঘটি। আপাতত নিয়ে গিয়ে রাখা হয়েছে ঝড়খালিতে।
বন দপ্তরের পাতা খাঁচায় ধরা পড়ল কুলতলির লোকালয়ে চলে আসা বাঘটি।
সূত্রের খবর, বাঘটি সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে বলে দাবি করেছে বন দফতর। বাঘটির বয়স প্রায় বছর পাঁচেক। মঙ্গলবার বিকেল থেকে তিনবার জঙ্গল থেকে আবারও লোকালয়ে আসার চেষ্টা চালিয়েছিল সে। কিন্তু নদীতে বন দফতরের পেট্রোলিং থাকায় তা সম্ভব হয়নি। এরপর জঙ্গলের দিকে একটি খাঁচা পাতা হয় । তার মধ্যে খাবারের টোপ হিসাবে একটি ছাগল রাখা হয়। রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ছাগল খেতেই খাঁচায় ঢুকে পড়ে এবং বন্দি হয়ে যায় দক্ষিণারায়। যদিও বন্দি অবস্থায় ছাগলটি খেয়ে ফেলে। এরপর বাঘটিকে খাঁচা সহ ঝড়খালিতে নিয়ে আসা হয়েছে । সেখানে তার শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করেন পশু চিকিৎসক ডক্টর বিশ্বাস । সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে দফতরের অনুমতিতে বুধবারই তাকে সুন্দরবনের জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে ।
নড়ে বসল না বাঘ, তাজ্জব বাদাবন
সোমবার রাতভর জাল দিয়ে গ্রাম লাগোয়া নদী সংলগ্ন মানগ্রোভের ঝোপঝাড় ঘিরে রেখে সেখানে লুকিয়ে থাকা বাঘটির ওপর নজরদারি চালান বনকর্মী ও গ্রামবাসীরা। মঙ্গলবার ভোরেই লাঠিসোটা ও ঘুমপাড়ানি বন্দুক নিয়ে রায়দিঘি ও মাতলা রেঞ্জের ৩২ জন অভিজ্ঞ বনকর্মীকে নিয়ে বনদপ্তরের জেলার এডিএফও অনুরাগ চৌধুরী গ্রাম লাগোয়া নদীর চরে ম্যানগ্রোভের ঝোপঝাড়ে বাঘের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেন। নদীতে চলতে থাকে দশটি স্পিডবোট ও লঞ্চ। ঘটনাস্থলে চলে আসেন ডিএফও মিলন মণ্ডল। এর পরই শুরু হয় ড্রোন ক্যামেরার সাহায্যে বাঘ খোঁজার পর্ব। সুন্দরবনের ক্ষেত্রে এই ঘটনা প্রথম। গ্রামের দিকের জঙ্গল ও উল্টোপাড়ের আজমলমারির জঙ্গলের দিকেও ড্রোনের সাহায্যে আকাশ থেকে নজরদারি চালানো হয়।
গোয়ালে গোরু মেরে রাস্তায় বিশ্রাম বাঘের
শুধু রায়দিঘি রেঞ্জ এলাকাতেই রয়েছে ৪১ কিলোমিটারের বেশি নাইলনের ফেন্সিং। মঙ্গলবার বাঘটি জঙ্গলে ফেরত গেলেও, শিকারের সন্ধানে সে ফের গ্রামে হানা দিতে পারে আশঙ্কায় এ দিন রাতেও নদী বাঁধের উপর রাত প্রহরার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। রাতভর নদীতে টহলদারি করবে বন দপ্তরের বোট। স্থানীয়দের আশঙ্কা ফের বাঘ লোকালয়ে চলে আসতে পারে।
We hate spam as much as you do