আগামী ৫ অক্টোবর সিজিও কমপ্লেক্স অভিযান করা হবে ৷ শুধু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি, গরু-কয়লা পাচার, নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় জড়িত মূল অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবিতেই এই অভিযান ৷ কারণ, সিপিআইএম নেতাদের বক্তব্য, ইডি-সিবিআই অপরাধীদের ধরব ধরব করছে ৷ কিন্তু ধরছে না ৷ তথ্য ধামাচাপা দিয়ে এই টালবাহানা আর বেশিদিন চলতে দেওয়া যাবে না ৷
কেন্দ্র -রাজ্য সেটিং এর বিরুদ্ধে ৫ই অক্টোবর CPIM সিজিও কমপ্লেক্স ঘেরাও করবে
২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩,
সিবিআই কেন মূল অপরাধীদের গ্রেপ্তার করছে না? মুলত অভিষেক ব্যানার্জীর বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তাকে সামান্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
রাজ্যের বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগ তুলে আগামী মাসের ৫ অক্টোবর সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স ঘেরাও করতে চলেছে সিপিআইএম। তবে শুধু এদিন নয়, ইতিপূর্বে একাধিক জেলার নেতৃত্বদের নিয়ে বৈঠক সেরেছেন নেতৃত্ব । রাজ্যের বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগ করেন সেলিম। তবে শুধু রাজ্যে নয়, কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ধরেন। পাশাপাশি দূর্নীতি তদন্তে সিবিআই ,ইডির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলন। অন্যদিকে, রাজ্যপাল একের পর এক মন্তব্য মন্তব্য করায় সিভি আনন্দ বোসকে ‘জোকার’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি। রাজনৈতিক রং না দেখে ,কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে গ্রেফতার করতে হবে বলে দাবি জানান।
বিরোধী জোটের বৈঠকের আগে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধির সঙ্গে দিল্লিতে দেখা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এর পর দিনই কলকাতায় সমাবেশ থেকে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছিলেন, "রাহুল গান্ধি কেন, কেউই ভাইপোকে বাঁচাতে পারবে না ৷ পুজোর আগে তাঁকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ না-করলে আমরা সিজিও কমপ্লেক্স অভিযান করব ৷"
সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠকে সেই দিনক্ষণ ঠিক হয়েছে ৷ আগামী ৫ অক্টোবর সিজিও কমপ্লেক্স অভিযান করা হবে ৷ শুধু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি, গরু-কয়লা পাচার, নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় জড়িত মূল অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবিতেই এই অভিযান ৷ কারণ, সিপিআইএম নেতাদের বক্তব্য, ইডি-সিবিআই অপরাধীদের ধরব ধরব করছে ৷ কিন্তু ধরছে না ৷ তথ্য ধামাচাপা দিয়ে এই টালবাহানা আর বেশিদিন চলতে দেওয়া যাবে না ৷ অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করতে হবে ৷ বিজেপি-তৃণমূলের বিরোধিতা উপর উপর ৷ ভিতরকার বোঝাপড়া বেশি দিন মেনে নেওয়া যাবে না ৷ সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, "ইডি, সিবিআই-এর কাছে যদি সব প্রমাণ থাকে, তাহলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেন ? দিল্লির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী সমঝোতা করে চলেছেন ৷ এতে তৃণমূল-বিজেপি দুই পক্ষেরই লাভ ৷ দুর্নীতিগ্রস্তরা ভাগাভাগি করে দুই দলের মধ্যেই রয়েছে ৷ তাই তথ্য ধামাচাপা দিচ্ছে দু'পক্ষই ৷ নারদ, চিটফান্ড, নিয়োগ দুর্নীতিতে আজ পর্যন্ত কোনও চার্জশিট দেয়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷" তিনি আরও জানান, যাঁদের গ্রেফতার করার কথা, তাঁদের গ্রেফতার না-করে বড় বড় কথা বলে বেড়াচ্ছে ৷ এরই প্রতিবাদে ৫ অক্টোবর বামেরা সিজিও কমপ্লেক্স অভিযান করবে ৷
We hate spam as much as you do