Tranding

03:09 PM - 01 Dec 2025

Home / Others / শিল্প সম্মেলনে শিল্পপতিদের প্রতিশ্রুতির বন্যা, সাফল্য নির্ভর করবে ভবিষ্যতের উপর

শিল্প সম্মেলনে শিল্পপতিদের প্রতিশ্রুতির বন্যা, সাফল্য নির্ভর করবে ভবিষ্যতের উপর

সবকিছুই সময়ের অপেক্ষা প্রতি বছরের মতো এ বছরও বেশ জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত এই শিল্প মহাসম্মেলন বাস্তবে পরিণত হয় তার জন্য অপেক্ষমান পশ্চিম বাংলার জনগণ বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা।

শিল্প সম্মেলনে শিল্পপতিদের প্রতিশ্রুতির বন্যা, সাফল্য নির্ভর করবে ভবিষ্যতের উপর

শিল্প সম্মেলনে শিল্পপতিদের প্রতিশ্রুতির বন্যা, সাফল্য নির্ভর করবে ভবিষ্যতের উপর


শিল্পপতিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মুখ ছিলেন গৌতম আদানি, সজ্জন জিন্দল, সঞ্জীব গোয়েঙ্কার মতো মুখ। এদিন সম্মেলন শুরুর দিকেই বাংলাকে অবশ্য প্রশংসায় ভরিয়ে দেন শিল্পপতি সজ্জন জিন্দল। 
সেই সজ্জন জিন্দাল যার জিন্দাল আয়রন এন্ড স্টিল ফ্যাক্টরি মাওবাদী এবং তৃণমূল কংগ্রেসের যৌথ বিদ্রোহে বাতিল হয়েছে সুতরাং শিল্পপতিদের প্রশংসা তখনই সত্যতা প্রমাণিত হয় যখন তা বাস্তবায়িত হয়।

বুধবার থেকে শুরু হওয়া রাজ্যের শিল্প সম্মেলন (বিজিবিএস) নিয়ে বড় আশা দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ্ববাংলা কনভেনশন কেন্দ্রে ২০ এবং ২১ এপ্রিল বসেছে বিজিবিএসের আসর। আর এই সম্মেলনের প্রথম দিনই একের পর এক শিল্প প্রস্তাব এসেছে রাজ্যে। শিল্প সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা অমিত মিত্র, শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং রাজ্যের মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদীরা। শিল্পপতিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মুখ ছিলেন গৌতম আদানি, সজ্জন জিন্দল, সঞ্জীব গোয়েঙ্কার মতো মুখ। 

বুধবার শিল্প সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে উঠে সজ্জন জিন্দল বলেন, ''পরিকাঠামো ও ভৌগোলিক অবস্থানের জেরে বাংলায় বিনিয়োগ করতে সুবিধা হয় ও এখানে রয়েছে শিল্পের আদর্শ পরিবেশ। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, আমার কাজ করতে কোনও কর্মদিবস নষ্ট হয়নি। আগেকার মতো অবস্থা এই রাজ্যে আর নেই। ৯০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র আমরা গড়ছি।''

এদিন সম্মেলন শুরুর আগেই আদানি গ্রুপের চেয়ারপার্সন গৌতম আদানির সঙ্গেও বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠকের পর সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে উঠে রাজ্যের প্রশংসা করেন আদানিও। সঙ্গে জানান, বাংলায় বিপুল বিনিয়োগ করতে চলেছে আদানিরা। এক্ষেত্রেও পূর্বের শিল্প সম্মেলন গুলোর মত প্রতিশ্রুতি  সর্বস্ব কিনা তা  ভবিষ্যতে বোঝা যাবে।

আদানি বলেন, ''আমাকে নিমন্ত্রণ করার জন্যে ধন্যবাদ। বাংলা নিয়ে আমি বরাবর আগ্রহী৷ আদানি গ্রুপ আরবসাগরের তীর থেকে ব্যবসা শুরু করেছিল। মহিলা ক্ষমতায়ন বাংলার মতো অন্য রাজ্য কেউ ভাবে না। কন্যাশ্রী প্রকল্প যে কারণে এত সফল। তাই ইউনাইটেড নেশনস থেকে পুরষ্কার পেয়েছে এই রাজ্য৷ সবুজ সাথী ও উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পে বহু মানুষ উপকৃত। আমাদের ফোকাস অনেক বড়৷ পরিকাঠামো নিয়ে আমরা আগেই কমিট করেছি। আদানি গ্রুপ ডেটা সেন্টার, আন্ডার সি কেবল, সেন্টার ফর এক্সেলেন্স, লজিস্টিক পার্ক ও ফরচুন প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করছে। ১০ হাজার কোটি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে আমাদের। ২৫০০০ কর্মসংস্থান হবে।''


এদিকে, টাটা স্টিলের এমডি টি ভি নরেন্দ্রণ জানান, দীর্ঘদিন ধরে এখানে বিনিয়োগ করে এসেছে টাটা। ৬০০ কোটি বিনিয়োগ হবে খড়গপুরে৷ ইউনিট আরও বাড়বে। এছাড়া টিসিএস ও হোটেলেও বিনিয়োগ হবে আরও৷'' উইপ্রোর তরফে রিশাদ প্রেমজি বলেন, ''আমাদের পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে এই রাজ্যের যোগাযোগ আছে। রাজারহাটে আমরা কাজ শুরু করছি আগামী কয়েক মাসে।''

যদিও টাটা সিঙ্গুর প্রজেক্ট প্রায় ১০০℅ তৈরি হয়ে যাওয়ার পর বন্ধ হয়ে যায় যা পশ্চিমবাংলার শিল্প মানচিত্রে একটি কালো সময়।

তাই সবকিছুই সময়ের অপেক্ষা প্রতি বছরের মতো এ বছরও বেশ জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত এই শিল্প মহাসম্মেলন বাস্তবে পরিণত হয় তার জন্য অপেক্ষমান পশ্চিম বাংলার জনগণ বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা।

 

 

 

 

Your Opinion

We hate spam as much as you do