গতকালই সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকবার্তা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)।সোশ্যাল মিডিয়ার বার্তায় সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহঃ সেলিম শোক প্রকাশ করেছেন এবং তিনি বলেছেন স্বামী-স্মরনানন্দজীর প্রয়াণে আমি গভীরভাবে শোকস্তব্ধ। তার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।
প্রয়াত স্বামী স্মরণানন্দকে শ্রদ্ধায় মঠে ভক্ত সমাগম, রাতে শেষকৃত্য
March 27, 2024
রামকৃষ্ণ মঠ মিশনের (Ramakrishna Math Ramakrishna Mission) অধ্যক্ষ স্বামী স্মরণানন্দ মহারাজ (Swami Smaranananda Maharaj) প্রয়াত হয়েছেন। মঙ্গলের রাত থেকে এখনও পর্যন্ত বেলুড় মঠে বিপুল ভক্ত সমাগমের ছবি ধরা পড়েছে। অধ্যক্ষ মহারাজকে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করতে সকাল থেকেই মঠের সংস্কৃতি ভবনে লম্বা লাইন ভক্তদের। গতকালই সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকবার্তা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)।সোশ্যাল মিডিয়ার বার্তায় সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহঃ সেলিম শোক প্রকাশ করেছেন এবং তিনি বলেছেন স্বামী-স্মরনানন্দজীর প্রয়াণে আমি গভীরভাবে শোকস্তব্ধ। তার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।
গতকাল সারারাত মঠের দরজা খোলা থাকার পর আজও সকাল থেকে মঠ প্রাঙ্গণে সন্ন্যাসী, সাধারণ ভক্ত ও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মহারাজের কাছে দীক্ষিত মানুষেরা আসছেন। রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের তরফে অফিসিয়াল বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে যে আজ রাত নটায় ষোড়শ অধ্যক্ষ মহারাজের শেষকৃত্য বেলুড় মঠেই সম্পন্ন হবে। দীক্ষিত ভক্তদের কী নিয়ম পালন করতে হবে সে প্রসঙ্গে আজ রাতে আপডেট দেওয়া হবে বলে মঠ সূত্রে খবর।
প্রয়াত রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সভাপতি স্বামী স্মরণানন্দজী মহারাজ। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। বেশ কিছুদিন থেকেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন থেকে ভুগছিলেন বার্ধক্যজনিত সমস্যায়। ভর্তি ছিলেন রামকৃষ্ণ সেবা প্রতিষ্ঠানে। এদিন রাত ৮টা ১৪ মিনিট নাগাদ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। চলতি মাসেই তাঁকে দেখতে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রীও। টানা তেইশ দিন ছিলেন ভেন্টিলেশন সাপোর্টে।
১৯২৯ সালে তামিলনাড়ুর তাঞ্জাভুর জেলার আন্দামি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন স্বামী স্মরণানন্দ। ১৯৯৭ সালে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন তিনি। ২০১৭ সালে স্বামী আত্মস্থানন্দের প্রয়াণের পরে ওই বছরের ১৭ জুলাই মঠ ও মিশনের ষোড়শ অধ্যক্ষ নির্বাচিত হন স্বামী স্মরণানন্দ। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া গোটা মঠেই। রাত ১২ নাগাদ তাঁর মরদেহ বেলুড়ে আসবে বলে জানা যাচ্ছে।
We hate spam as much as you do