Tranding

03:21 PM - 01 Dec 2025

Home / Others / ১৪ দিনের বদলে ৭দিন আইসোলেশন হলেই হবে। করোনা সংক্রমিতদের জন্য নতুন গাইডলাইন জারি

১৪ দিনের বদলে ৭দিন আইসোলেশন হলেই হবে। করোনা সংক্রমিতদের জন্য নতুন গাইডলাইন জারি

আগের মত আর ১৪ দিন করোনা সংক্রমণের জন্য আইসোলেশনে থাকতে হবে না করোনা আক্রান্ত রোগীদের। তাঁদের ৭ দিন আইসোলেশনে থাকলেই হবে। তারপরে করোনা রিপোর্ট যদি নেগেটিভ আসে তাহলে তিনি মুক্ত। এবং খেয়াল রাখতে হবে শেষ তিনদিন যেন তাঁর জ্বর না আসে। ৭ দিন পর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এলেই নিভৃতবাস থেকে মুক্ত হবেন তাঁরা। এবং বাইরে বেরোনোর জন্য দ্বিতীয়বার করোনা পরীক্ষা করতে হবে না।

১৪ দিনের বদলে ৭দিন আইসোলেশন হলেই হবে। করোনা সংক্রমিতদের জন্য নতুন গাইডলাইন জারি

১৪ দিনের বদলে ৭দিন আইসোলেশন হলেই হবে। করোনা সংক্রমিতদের জন্য নতুন গাইডলাইন জারি

 

করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে দেশে। বেশিরভাগ রোগীই মৃদু উপসর্গের। অনেকরই আবার কোনও উপসর্গই দেখা যাচ্ছে না । সেকেন্ড ওয়েভের মত মারাত্মক নয় করোনা সংক্রমণের থার্ড ওয়েভ। হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা খুবই কম বলে জানা যাচ্ছে। হোম আইসোলেশনের সংখ্যা বেশি থাকায় কেন্দ্রের পক্ষ থেকে নতুন গাইডলাইন জারি করা হয়েছে। কীভাবে হোম আইসোলেশনে থাকবেন করোনা আক্রান্ত রোগীরা তা নিয়ে নতুন করে গাইডলাইন জারি করল কেন্দ্র।

 

কেন্দ্রের জারি করা নতুন গাইডলাইনে জানানো হয়েছে, যেসব করোনা আক্রান্ত রোগীর একেবারেই মৃদু উপসর্গের। অথবা উপসর্গ নেই বললেই চলে এমন রোগীরাই হোম আইসোলেশনে থাকতে পারবেন। সেই সঙ্গে তাঁদের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৩ থাকতে হবে। এবং অনলাইনে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে থাকতে হবে। তবে প্রতিনিয়ত রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা পরীক্ষা করতে হবে। এবং আগের মতই পরিবারের থেকে আলাদা ঘরে নিজেদের আটকে রাখতে। অর্থাৎ বাড়িতেই নিজেকে আলাদা করে নিভৃতবাসে থাকতে হবে।


বাংলায় ঝড়ের গতিতে ছড়াচ্ছে করোনা,  আপতকালীন প্রয়োজনে  বিভিন্ন হাসপাতালের ফোন নম্বর বাংলায় ঝড়ের গতিতে ছড়াচ্ছে করোনা, আপতকালীন প্রয়োজনে বিভিন্ন হাসপাতালের ফোন নম্বর


কমল আইসোলেশনের সময়সীমা। আগের মত আর ১৪ দিন করোনা সংক্রমণের জন্য আইসোলেশনে থাকতে হবে না করোনা আক্রান্ত রোগীদের। তাঁদের ৭ দিন আইসোলেশনে থাকলেই হবে। তারপরে করোনা রিপোর্ট যদি নেগেটিভ আসে তাহলে তিনি মুক্ত। এবং খেয়াল রাখতে হবে শেষ তিনদিন যেন তাঁর জ্বর না নআসে। ৭ দিন পর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এলেই নিভৃতবাস থেকে মুক্ত হবেন তাঁরা। এবং বাইরে বেরোনোর জন্য দ্বিতীয়বার করোনা পরীক্ষা করতে হবে না।

 

কারা ভর্তি হবেন হাসপাতালে
যাঁদের আগে থেকেই শ্বাসকষ্টের রোগ রয়েছে, এইচআইভি, হার্টের রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে করোনা আক্রান্ত হলে হাসপাতালে ভর্তি হবেন। সেখানে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনেই তাঁদের চিকিৎসা চলবে। এবং তাঁরা যখন বলবেন তখনই করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। সেই রিপোর্ট নেগেটিভ এলে বাড়ি ফিরতে পারবেন। তবে বাড়িতে ফিরেও তাঁদের চিকিৎসকের পরামর্শ মেনেই চলতে হবে।

 

কীভাবে থাকবেন হোম আইসোলেশনে
কেন্দ্রের জারি করা হোম আইসোলেশনের নতুন বিধিতে একাধিক নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে কীভাবে থাকতে হবে বাড়িতে। মৃদু উপসর্গ হলেও যেঘরটিতে তিনি নিজেকে রাখবেন তাতে যেন পর্যাপ্ত পরিমানে আলো-বাতাস থাকে। একটি মাস্ক পরলে চলবে না তিনটি লেয়ারের মাস্ক পরে থাকতে হবে তাঁদের। এন-৯৫ মাস্ক পরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মাস্ক বদলের পর একটি মুখ বন্ধ প্যাকেটে করে স্যানিটাইজার দিয়ে ফেলতে হবে। এবং ৭২ ঘণ্টা সেই মাস্কটি কাগজের প্যাকেটে রেখে দিতে হবে। তারপরেই সেটা বাইরে ফেলতে হবে।

 


হোম আইসোলেশনে থাকা মানেই কিন্তু ভালমন্দ খাবার নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনেই খাবার খেতে হবে রোগীকে। প্রচুর পরিমানে জলীয় খাবার অর্থাৎ তরল খাবার খেতে হবে। প্রচুর পরিমানে জল, লেবুর রস জাতিয় খাবার খেতে হবে তাঁদের। যে ঘরে তিনি থাকবেন সেই ঘরের সব িজনিস যেন প্রতিনিয়ত মুখে পরিস্কার করা হয়। এবং রোগীর পোশাক যেন প্রতিদিন ভাল করে সাবান দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করা হয়। যদি কেউ রোগীকে পরিষেবা দিয়ে থাকেন তাহলে তাঁকে মুখে মাস্ক এবং পর্যাপ্ত করোনা প্রতিরোধক ব্যবস্থা নিয়েই কাজ করতে হবে।

Your Opinion

We hate spam as much as you do