কনীনিকা ঘোষ জানিয়েছেন আগস্টে দিল্লিতে সর্বভারতীয় স্তরে মাইক্রো ফিনান্স সংক্রান্ত গণশুনানি হবে। সারা দেশে সমীক্ষা করেছে মহিলা সমিতি। কেরালায় ২ হাজার, পশ্চিমবঙ্গে ১২০০, মহারাষ্ট্র, তামিলনাডুর মতো বিভিন্ন রাজ্যে হয়েছে সমীক্ষা। ঘোষ বলেছেন, ‘‘কেউ রেগার টাকা না পেয়ে মাইক্রো ফিনান্সের দ্বারস্থ হয়েছেন। কেউ আগের ঋণ শোধ করতে ফের ধার নিচ্ছেন। একাংশকে আত্মহত্যা করতে হয়েছে। চড়া সুদ আর মাইক্রো ফিনান্স সংস্থার হেনস্তায় সবচেয়ে আক্রান্ত মহিলারা। প্রতিরোধের লড়াই লড়ছে মহিলা সমিতি।’’
মাইক্রো ফিনান্সের দাপট, আগস্টে দিল্লিতে গণশুনানি বাম মহিলা সমিতির
1June 2025
মাইক্রো ফিনান্সের দাপটে ভয়াবহ অবস্থা মহিলাদের। আত্মঘাতী হচ্ছে একাংশ। আরেক অংশ সর্বস্বান্ত প্রায়। এই বিপদের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে আন্দোলনের রূপরেখা স্থির করছে সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি।
জলপাইগুড়িতে মহিলা সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভা হয়েছে । এদিন এক প্রশ্নে সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক কনীনিকা ঘোষ জানিয়েছেন মাইক্রো ফিনান্সের পাশাপাশি সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সংগ্রামের পরিকল্পনাও চূড়ান্ত করা হচ্ছে সভায়।
সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির সভাপতি পিকে শ্রীমতী প্রতিবেদন পেশ করেন। তার ওপর আলোচনা করছেন কেনদ্রীয় কমিটির সদস্যরা। এদিন মালিনী ভট্টাচার্য, মণি থাপা, রাজস্থানের সীমা জৈন, মণিপুরের আশা বালার মতো মহিলা নেতৃবৃন্দ আলোচনায় অংশ নিয়েছেন।
কনীনিকা ঘোষ জানিয়েছেন আগস্টে দিল্লিতে সর্বভারতীয় স্তরে মাইক্রো ফিনান্স সংক্রান্ত গণশুনানি হবে। সারা দেশে সমীক্ষা করেছে মহিলা সমিতি। কেরালায় ২ হাজার, পশ্চিমবঙ্গে ১২০০, মহারাষ্ট্র, তামিলনাডুর মতো বিভিন্ন রাজ্যে হয়েছে সমীক্ষা।
ঘোষ বলেছেন, ‘‘কেউ রেগার টাকা না পেয়ে মাইক্রো ফিনান্সের দ্বারস্থ হয়েছেন। কেউ আগের ঋণ শোধ করতে ফের ধার নিচ্ছেন। একাংশকে আত্মহত্যা করতে হয়েছে। চড়া সুদ আর মাইক্রো ফিনান্স সংস্থার হেনস্তায় সবচেয়ে আক্রান্ত মহিলারা। প্রতিরোধের লড়াই লড়ছে মহিলা সমিতি।’’
গত ২৩ জুলাই ক্যাপ্টেন লক্ষ্মী সায়গল স্মৃতি দিবস পালন করে মহিলা সমিতি। এবার এই দিনে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সংগ্রামের ঐতিহ্য প্রচারে জোর দেওয়া হবে। কনীনিকা ঘোষ বলেছেন, ‘‘মনুবাদী ভাবধারা মোকাবিলায় স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রগতিশীল ঐতিহ্যকে হাজির করব আমরা। সেই সঙ্গে যুদ্ধবিরোধী প্রচার বাড়ানো হবে। গাজা দেখিয়েছে, হামাস নয়, আসলে ভূখণ্ড দখলই আক্রমণের উদ্দেশ্য। আক্রান্ত শিশু-মহিলারা।’’
রাজ্যে স্বনির্ভর গোষ্ঠী উঠে যাওয়া, চা বাগান বন্ধের মতো পরিস্থিতিতে মহিলাদের বিপন্নতা এবং প্রতিরোধ আলোচনা হচ্ছে।
কনীনীকা ঘোষ বলেছেন, ‘‘বামফ্রন্ট সরকারের সময়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠী ছিল। আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করার কাজ চলত। সেই উদ্যোগ তৃণমূলের সময়ে আর নেই। এই গোষ্ঠী কেবল ঋণদান সমিতিতে পরিণত। কাজ হচ্ছে না।’’
AIDWA-এর অবস্থানের আরও বিস্তারিত ব্যাখ্যা এখানে দেওয়া হল:
শোষণ এবং উচ্চ সুদের হার:
AIDWA উল্লেখ করেছে যে MFIগুলি প্রায়শই উচ্চ সুদের হার এবং গোপন ফি চার্জ করে, যার ফলে অনেক মহিলার জন্য ঋণ ক্রয় করা সম্ভব হয় না।
অনৈতিক অনুশীলন:
AIDWA অভিযোগ করেছে যে MFIগুলি ঋণ পরিশোধ নিশ্চিত করার জন্য চাপ কৌশল, ভয় দেখানো এবং গোষ্ঠীগত ঋণের ব্যবহার ইত্যাদি অনৈতিক অনুশীলন ব্যবহার করে, এমনকি ঋণগ্রহীতারা আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হলেও।
নারীর জীবনের উপর প্রভাব:
AIDWA যুক্তি দেয় যে MFI-দের ঋণের বোঝা নারীর জীবনের উপর বিধ্বংসী প্রভাব ফেলে, যার ফলে সামাজিক বিচ্ছিন্নতা, শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা এবং এমনকি কিছু ক্ষেত্রে আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা দেয়।
নিয়ন্ত্রণের আহ্বান:
AIDWA ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্রকে MFI-গুলিকে নিয়ন্ত্রণ করার আহ্বান জানিয়েছে যাতে নারী ঋণগ্রহীতাদের শোষণ থেকে রক্ষা করা যায় এবং ন্যায্য ও স্বচ্ছ ঋণ প্রদানের অনুশীলন নিশ্চিত করা যায়।
সুনির্দিষ্ট উদ্বেগ:
COVID-19 মহামারীর সময় অনেক মহিলা মৌলিক চাহিদার জন্য ঋণ নিতে বাধ্য হলেও চাকরি হারানো এবং অর্থনৈতিক কষ্টের কারণে ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে নারীদের উপর MFI-এর প্রভাব সম্পর্কে AIDWA সুনির্দিষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
We hate spam as much as you do