গত সপ্তাহে সাত বছরের এক শিশু-সহ তিনজন ভিনদেশ থেকে আসা পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা কোভিড পজিটিভ হন। হাসপাতালে তাঁদের ভরতি করা হয়। জিনোম সিকোয়েন্সিং (Genom Sequencing) পরীক্ষা হয়। কিন্তু রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তাঁরা এই মুহূর্তে বাড়িতেই পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের ওমিক্রনের কাঁটা খোঁচা দিল কলকাতায়।
কলকাতায় ওমিক্রন নাইজেরিয়া থেকে ফেরা প্রৌঢ় ভরতি হাসপাতালে
করোনাফের কলকাতায় ওমিক্রন কাঁটা, কোভিড পজিটিভ নাইজেরিয়া থেকে ফেরা প্রৌঢ় ভরতি হাসপাতালে
ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: মাত্র এক সপ্তাহর ব্যবধানে আবার রাজ্যে মাথাচাড়া দিল ওমিক্রনের (Omicron) কাঁটা। এবারও বিদেশ ফেরত এক ভারতীয়কে ঘিরে সংশয়। তবে দমদম বিমানবন্দরে কোভিড নেগেটিভ হলেও, বাড়ি ফিরে কিছু সমস্যা দেখা দেয় তাঁর। কোভিড পরীক্ষার পর রিপোর্ট পজিটিভ। আপাতত শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে তিনি ভরতি।
গত সপ্তাহে সাত বছরের এক শিশু-সহ তিনজন ভিনদেশ থেকে আসা পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা কোভিড পজিটিভ হন। হাসপাতালে তাঁদের ভরতি করা হয়। জিনোম সিকোয়েন্সিং (Genom Sequencing) পরীক্ষা হয়। কিন্তু রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তাঁরা এই মুহূর্তে বাড়িতেই পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের ওমিক্রনের কাঁটা খোঁচা দিল কলকাতায়।
স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, নাইজেরিয়া থেকে ৬৯ বছর বয়সী ব্যক্তি ১৪ তারিখ কলকাতায় আসেন। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রীও। দমদম বিমানবন্দরে কোভিড পরীক্ষার পর নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। বাড়ি ফিরে যান তিনি। কিন্তু স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, শনিবার সকালে স্বেচ্ছায় তিনি ফের করোনা (Coronavirus) পরীক্ষা করান এক বেসরকারি হাসপাতালে। রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরই তিনি ভরতি হন সেখানে। যদিও স্ত্রীর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ। বিষয়টি স্বাস্থ্যভবনকে জানানো হয়েছে। তাঁর লালারস সংগ্রহ করা হয়েছে। কল্যাণীতে পাঠানো হবে জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষা করার জন্য। স্বাস্থ্যভবন থেকে বিষয়টি নজরে রাখা হয়েছে।
ইতিমধ্যে দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। একাধিক রাজ্যে দাপট দেখাতে শুরু করেছে। তবে পশ্চিমবঙ্গে এখনও ওমিক্রন শূন্য। সম্প্রতি যে ব্যক্তি করোনা নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হলেন, তাঁর জিনোম সিকোয়েন্সের ফলাফল হাতে না পেলে বাংলায় ওমিক্রন থাবা বসাল কি না, তা বোঝা সম্ভব নয়। তবে ওমিক্রন রুখতে কড়া রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর।
We hate spam as much as you do