Tranding

12:31 PM - 01 Dec 2025

Home / Other Districts / পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে ফিরছে পাশ-ফেল, ড্রপ আউট বাড়ার সম্ভাবনা

পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে ফিরছে পাশ-ফেল, ড্রপ আউট বাড়ার সম্ভাবনা

শিক্ষাবিদ অভীক মজুমদারের মতে এই বিষয়ে শিক্ষাবিদদের নতুন করে ভাবা দরকার। তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, পড়ুয়ারা অকৃতকার্য হলে শিশু শ্রমিক তৈরি হয়ে যায়। শিক্ষার মূল স্রোত থেকে পড়ুয়াদের সরিয়ে দেওয়া উচিৎ নয় বলে মনে করেন তিনি।

পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে ফিরছে পাশ-ফেল, ড্রপ আউট বাড়ার সম্ভাবনা

পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে ফিরছে পাশ-ফেল, ড্রপ আউট বাড়ার সম্ভাবনা 


Dec 23, 2024 


স্কুল শিক্ষায় ফের আসছে বড় বদল। পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণিতে পাশ-ফেল প্রথা ফেরাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবার সরকারি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই নিয়মের কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, প্রত্যেক পড়ুয়াকে ক্লাস ফাইভ এবং ক্লাস এইটের পরীক্ষায় পাশ করতেই হবে। শিক্ষার অধিকার আইনে সংশোধনী এনে এই প্রথা চালু করতে চলেছে কেন্দ্র।


তবে ফেল করলে সেই পড়ুয়ার জন্য দ্বিতীয় সুযোগ থাকছে। যদি কেউ ফেল করে তাহলে দু’মাসের মধ‍্য সেই পড়ুয়াকে ফের পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে। দ্বিতীয় পরীক্ষাতেও পাশ না করলে সেই পড়ুয়াকে পঞ্চম বা অষ্টম শ্রেণিতেই আরও এক বছর থেকে পড়াশোনা করতে হবে। স্কুলগুলির ওপর দায়িত্ব থাকবে, যাতে ওই পড়ুয়ার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়। তার শিক্ষায় কোথায় ফাঁক থেকে গিয়েছে, তা খুঁজে বের করতে হবে। সম্মানের সঙ্গে তাকে শেখাতে হবে।


কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের এই প্রস্তাব কেন্দ্রীয় সরকারি স্কুলগুলিতে বলবৎ হবে। তবে রাজ্য সরকারি স্কুলগুলি এই প্রস্তাব কার্যকর করবে কি না, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।


শিক্ষাবিদ অভীক মজুমদারের মতে এই বিষয়ে শিক্ষাবিদদের নতুন করে ভাবা দরকার। তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, পড়ুয়ারা অকৃতকার্য হলে শিশু শ্রমিক তৈরি হয়ে যায়। শিক্ষার মূল স্রোত থেকে পড়ুয়াদের সরিয়ে দেওয়া উচিৎ নয় বলে মনে করেন তিনি।

কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের এই বিজ্ঞপ্তির বিরোধিতা করে এদিন এবিটিএ রাজ্য সম্পাদক সুকুমার পাইন বলেন, ‘‘জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়নের যে ধাপ, এটি তারই অংশ। কেন্দ্রীয় সরকার যে শিক্ষানীতি নিয়ে এসেছে, সেই শিক্ষানীতিকেই প্রণয়ন করেছে রাজ্যের সরকার। এই সিদ্ধান্ত যদি কার্যকর হয়, তাহলে পিছিয়ে পড়া ছাত্র-ছাত্রীদের একটা বড় অংশ স্কুলছুট (ড্রপ-আউট) হবে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার চাইছে শিক্ষাক্ষেত্রকে বেসরকারিকরণ করতে। যার ফলে গরিব প্রান্তিক অংশের ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে। শুধুমাত্র শিক্ষার সুযোগ পাবে উচ্চবিত্ত শ্রেণি। শিক্ষার মান এভাবে উন্নত করা যায় না। আমাদের রাজ্যে স্কুলগুলির সঠিক পরিকাঠামো নেই, পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাব রয়েছে। সরকারের সেই দিকে নজর দেওয়া উচিৎ।’’
কেন্দ্রীয় শিক্ষা সচিব এদিন জানিয়েছেন, ‘‘শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই প্রস্তাব কেন্দ্রীয় সরকারি স্কুলগুলিতে কার্যকরী করা হবে।’’
এই বিষয়ে এদিন রাইট টু এডুকেশন ফোরামের কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপিকা ঈশিতা মুখার্জি বলেছেন, ‘‘নয়া জাতীয় শিক্ষানীতির সাথে সংহতি রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। গোটা দেশে এত পরিযায়ী শ্রমিক, তাঁদের পরিবারের ছেলেমেয়েরা, এমনকি প্রাথমিক শিক্ষা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। স্কুলছুটের সংখ্যা বাড়ছে। বকলমে সরকারি শিক্ষাব্যবস্থাকে কর্পোরেটের হাতে তুলে দেওয়া পরিকল্পনা চলছে।’’

Your Opinion

We hate spam as much as you do