সন্দেশখালিকাণ্ডের প্রতিবাদ এবং সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারের গ্রেফতারের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার বসিরহাট এসপি অফিস অভিযানের ডাক দেয় বামেরা। সেইমতো বৃহস্পতিবার বিকেলে পথে নামেন বসিরহাট বামপন্থীদের একটা বড় অংশ। আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী রাজ্য সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য পলাশ দাস।
বসিরহাটে সিপিএমের এসপি অফিস অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার
15 ফেব্রুয়ারি 2024
বামেদের এসপি অফিস অভিযান ঘিরে বৃহস্পতিবার ফের ধুন্ধুমার বসিরহাটে । পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হল পুলিশকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসরে নামেন সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী, পলাশ দাস। তারা হ্যান্ডমাইক নিয়ে বাকি কর্মী-সমর্থকদের শান্ত হওয়ার অনুরোধ করেন। এরপরই পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়। তবে, বসিরহাটের এসপির সঙ্গে দেখা করতে না-পারায় এদিন এসপি অফিস চত্বরেই বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা । চলে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভও । সন্ধ্যার সময় সেই অবস্থান বিক্ষোভ তুলে দেয় পুলিশ ৷
সন্দেশখালিকাণ্ডের প্রতিবাদ এবং সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারের গ্রেফতারের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার বসিরহাট এসপি অফিস অভিযানের ডাক দেয় বামেরা। সেইমতো বৃহস্পতিবার বিকেলে পথে নামেন বসিরহাট বামপন্থীদের একটা বড় অংশ। আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী রাজ্য সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য পলাশ দাস। এদিন টাউন হল ময়দান থেকে মিছিল করে বাম কর্মী-সমর্থকরা বসিরহাট ব্রিজ ধরে এসপি অফিসের দিকে এগোতে থাকেন । পুলিশও এই কর্মসূচি ঠেকাতে জায়গায় জায়গায় ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রাখে।
শুধু তাই নয়, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে প্রস্তুত রাখা হয়েছিল জলকামান, কাঁদানে গ্যাসের শেল-সহ রণসজ্জায় সজ্জিত পুলিশবাহিনী । তবু বিজেপির মতো সিপিএমের এসপি অফিস অভিযান ঘিরে অশান্তি ঠেকানো গেল না । সূত্রের খবর, এদিন প্রথম ব্যারিকেড ভেঙে বাম কর্মী-সমর্থকরা এসপি অফিসের দিকে এগনোর চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয় বলে অভিযোগ । আর তাতেই পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে ওঠে । প্রথমে বচসা-বাদানুবাদ, এরপর পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন সুজন চক্রবর্তীরা । পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের শান্ত করতে হ্যান্ড মাইক ব্যবহার করতে হয় সিপিএম নেতৃত্বকে । সিপিএমের অভিযোগ, "পুলিশই এদিন পরিস্থিতি উত্তপ্ত করেছে । দুর্ব্যবহার এবং লাঠি উঁচিয়ে মারধরও করা হয়েছে কাউকে কাউকে। এই পুলিশ শাহজাহান-শিবুদের খুঁজে পায় না । অথচ যত মাতব্বরি বিরোধীদের উপর ।"
এদিকে, এই ঘটনায় পুলিশকে তীব্র আক্রমণ করেছেন সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী । তাঁর কথায়,"পুলিশ শাহজাহান এবং তাঁর মতো অপরাধীদের আশ্রয় দিয়ে রেখেছে । তাঁদের কাছ থেকে হিস্যা নিচ্ছে। এই পুলিশ নপুংসক । পুলিশকে বলছি ক্ষমতা থাকলে এসপির সঙ্গে দেখা করতে দিক । নইলে কীভাবে দেখা করতে হয় সেটা আমরা জানি। তৃণমূল আমলে অপরাধীদের বাড়বাড়ন্ত এতটাই বেড়েছে যে তারা ভাবতে শুরু করেছে এই সরকারটা তাদের । সেই কারণে কেউই ভয় পাচ্ছে না পুলিশকে। তাঁদের সামনেই তো ঘুরে বেড়াচ্ছে শাহজাহানের মতো নেতারা ।"
We hate spam as much as you do