বুধবার রাতে কেষ্টপুর, শাপুরজি, কসবা এলাকায় হানা দিয়ে মোট ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় বিপুল সামগ্রী। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের অ্যান্টি ব্যাঙ্ক ফ্রড সেকশন জানতে পারে মূলত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর ও ফোন নম্বর যোগাড় করা, এটিএম কার্ডের মাধ্যমে টাকা তোলা, এবং অসদুপায়ে কেনা মালের ডেলিভারি নেওয়া, এই ছিল এদের কারবার।
ভুয়ো জালিয়াতির নজির কলকাতায় জামতারা গ্যাং, এর ১৬ জন পুলিশের জালে
কলকাতা পুলিশের জালে ধরা পড়ল জামতাড়া গ্যাংয়ের (Jamtara Gang) ১৬ জন সদস্য৷ ব্যাঙ্ক কর্মী সেজে এরা শহর এবং শহরতলিতে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল৷
শহরে একাধিক প্রতারণার মূল উৎস জামতারা গ্যাং । অনলাইন প্রতারণা হোক, বা এটিএম কার্ড স্কিমিং, সব সময় তদন্তের শিখরে পৌঁছলেই মিলেছে জামতারা গ্যাং-এর হদিস। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের কাছে অনেকদিন ধরেই খবর ছিল লকডাউনের পরে আটকে থাকা এই দুষ্কৃতী চক্র পাকাপাকি ভাবে কলকাতায় বসে ছক করছে প্রতারণার।
খবর পাওয়া মাত্রই কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ নজরদারি শুরু করে ওদের উপর। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা সত্যি করে জানা যায়, শহরের আশেপাশে কিছু এলাকায় সম্প্রতি বেড়ে চলেছিল জামতারার গতিবিধি। শহরের এক প্রান্তে অর্থাৎ কম জনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলি বেছে জমিয়ে চলছে চক্র। শহরের বিমানবন্দর লাগোয়া কেষ্টপুর বা রাজারহাট এলাকায় বেশ জাঁকিয়ে বসেছিল চোরাই মাল পাচারের কারবার।
গ্রেপ্তার করা হয় তপন দাস (২৪), বিধান দাস (১৯), রাজু দাস (৪২), রঞ্জিত দাস (৩৯) ও বুলেট দাস (২৩) নামের পাঁচ অপরাধীকে। ধৃতদের আদালতে পেশ করলে তাদের ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছেন বিচারক। উল্লেখ্য, এই প্রথমবার নয়। এর আগে একাধিকবার কলকাতায় জামতাড়া গ্যাংয়ের মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হয়েছেন বহু মানুষ।
সূত্র মারফত খবর পেয়ে বুধবার রাতে কেষ্টপুর, শাপুরজি, কসবা এলাকায় হানা দিয়ে মোট ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় বিপুল সামগ্রী। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের অ্যান্টি ব্যাঙ্ক ফ্রড সেকশন জানতে পারে মূলত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর ও ফোন নম্বর যোগাড় করা, এটিএম কার্ডের মাধ্যমে টাকা তোলা, এবং অসদুপায়ে কেনা মালের ডেলিভারি নেওয়া, এই ছিল এদের কারবার।
ধৃতদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় বিভিন্ন ব্যাঙ্কের ১৮৮টি ডেবিট কার্ড, ৭৮টি মোবাইল ফোন এবং ৬ টি ল্যাপটপ । গোয়েন্দা বিভাগের তদন্তকারী দলে ছিলেন সাব ইন্সপেক্টর জিতেন্দ্র প্রসাদ, সাব ইন্সপেক্টর গৌতম লামা, সাব ইন্সপেক্টর অমিত সিং, এবং গোয়েন্দা বিভাগের ব্যাঙ্ক জালিয়াতি দমন শাখার অফিসাররা ।
বৃহস্পতিবার ১৬ জন অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে চায় কলকাতা পুলিশ। বাজেয়াপ্ত বিভিন্ন নথি ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম থেকে তথ্য সংগ্রহ করে আরও তদন্তের গভীরে পৌঁছাতে চায় বলে জানায় পুলিশ। সূত্রের খবর অভিযুক্তদের নিজেদের হেফাজতে পেয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ করে ভবিষ্যতে পরিকল্পনা বানচাল করতে চায় কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। অভিযুক্তদের আগামী ১৫ তারিখ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷
We hate spam as much as you do