একান্ত সাক্ষাৎকারে ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, ইসরাইলকে অবশ্যই গাজায় বোমাবর্ষণ ও বেসামরিক মানুষ হত্যা বন্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, গাজায় বোমা হামলার কোনো যুক্তি নেই এবং সেখানে যুদ্ধবিরতি হলে ইসরাইল উপকৃত হবে।
ছবি - ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, (মাঝখানে বসে), বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৩, প্যারিসের এলিসি প্যালেসে পশ্চিমা এবং আরব দেশ, জাতিসংঘ এবং বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তাদের সাথে একটি বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। ম্যাক্রোঁ একটি আবেদনের সাথে একটি গাজা সহায়তা সম্মেলন চালু করেছেন ইসরায়েলের জন্য বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করার জন্য, এই বলে যে "সকল জীবনের সমান মূল্য আছে" এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা "নিয়ম ছাড়া কখনোই পরিচালিত হতে পারে না।"
ইসরাইলকে গাজায় গনহত্যা বন্ধের আহ্বান জানালেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট
১১ নভেম্বর ২০২৩
এতদিন পশ্চিমের দেশগুলো একতরফা ভাবে মার্কিন পথে ইসরাইলি বাহিনীকে সমর্থন করে গেলেও চাপের মুখে এবার ইসরাইলকে গাজায় বেসামরিক মানুষ হত্যা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ম্যাক্রোঁ এ আহ্বান জানান। শনিবার (১১ নভেম্বর) তার এই সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়।
এলিসি প্রাসাদে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, ইসরাইলকে অবশ্যই গাজায় বোমাবর্ষণ ও বেসামরিক মানুষ হত্যা বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, গাজায় বোমা হামলার কোনো যুক্তি নেই এবং সেখানে যুদ্ধবিরতি হলে ইসরাইল উপকৃত হবে।
ম্যাক্রোঁ আরও বলেন, হামাসের ‘সন্ত্রাসী’ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ‘স্পষ্টভাবে নিন্দা’ করছে ফ্রান্স। ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকারকে স্বীকৃতি দেয়ার পাশাপাশি ‘গাজায় ইসরাইলের এই বোমা হামলা বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি আমরা’।
ইসরাইল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং অন্যান্য পশ্চিমা মিত্রদের মতো ফ্রান্সও হামাসকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে।
যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনসহ অন্যান্য দেশের নেতারা তার এই যুদ্ধবিরতির আহ্বানে যোগ দিক, এটা তিনি চান কিনা জানতে চাইলে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘আমি আশা করি তারা (আমার আহ্বানের সঙ্গে) যোগ দেবে।’
গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর আগ্রাসনের পেরিয়েছে এক মাস। এখন পর্যন্ত নারী শিশুসহ প্রাণ হারিয়েছেন নিরীহ ১১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। তবু থেমে নেই বর্বরতা। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হামলা আরও জোরদার করেছে তেল আবিব।
শুক্রবারও (১০ নভেম্বর) ইসরাইলি বাহিনী গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতালের সামনের গেটে হামলা চালিয়েছে। এছাড়া গাজার আল-কুদস হাসপাতালে আইসিইউতে রোগীদের লক্ষ্য করে ‘ওপেন ফায়ার’ করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। এতে একজন নিহত এবং আরও অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
এর আগে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ডাক্তার আশরাফ আল-কুদরা টেলিফোনে বিবিসিকে জানান, আল-শিফা, রানতিসি ও আল-নাসর হাসপাতাল এখন ইসরাইলের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে।
বিবিসি জানায়, গাজার আল-শিফা হাসপাতালকে চারদিক থেকে ঘিরে রয়েছে ইসরাইলি সেনারা। হাসপাতালটি থেকে তারা মাত্র ২৫০ মিটার দূরে অবস্থান করছে বলেও জানায় সংবাদমাধ্যমটি।
We hate spam as much as you do