স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ৭-১০ দিন আগেও ওই হাতি একজনকে পিষে মেরেছে। বন দফতরের থেকে সেরকম কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি বলে অভিযোগ।
জলপাইগুড়ির মাধ্যমিকের অর্জুন! হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে মৃত্যু,পরীক্ষা দেওয়া হল না
Feb 23, 2023
হাতির পায়ে পিষে মৃত্যু হল এক মাধ্য়মিক পরীক্ষার্থীর। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষার দিনই জীবন চলে গেল এক ছাত্রের। শুক্রবার সকালে বাবার সঙ্গে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার সময় জলপাইগুড়ির বৈকন্ঠপুর জঙ্গল সংলগ্ন টাকি মারি এলাকায় এক দাঁতালের সামনে পড়ে যায় সে। পালানোর আগেই পায়ে পিষে হাতিটি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয়েছে ছাত্রের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রের নাম অর্জুন দাস।
শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। এদিন সকালে বাবার সঙ্গে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিল অর্জুন। বাড়ি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে পরীক্ষাকেন্দ্র কেবলপাড়া জুনিয়র হাইস্কুল। জঙ্গল লাগোয়া রাস্তা উজিয়েই যেতে হয় পরীক্ষাকেন্দ্রে। স্থানীয় বাসিন্দারাই বলছেন, ওই রাস্তায় মাঝেমধ্যে হাতি চলে আসে। জঙ্গল লাগোয়া রাস্তায় হাতির দলের সম্মুখীন হতে হয় অনেককেই।
শুক্রবার সকালে অর্জুন যখন পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিল, তখন বৈকন্ঠপুর জঙ্গল সংলগ্ন টাকি মারি এলাকায় একটি হাতির দলের সামনে পড়ে যায় অর্জুন। বাবার হাত ছেড়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। হাতিটিও পিছনে দৌড়ায়। হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে যায় অর্জুনের শরীর। তার বুকে-পেটে মারাত্মক আঘাত লাগে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। আশঙ্কাজনক ছাত্রটির বাবাও। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ৭-১০ দিন আগেও ওই হাতি একজনকে পিষে মেরেছে। বন দফতরের থেকে সেরকম কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি বলে অভিযোগ।
প্রসঙ্গত, হাতি নিয়ে উদ্বেগে থাকে দক্ষিণবঙ্গের বাঁকুড়া, জঙ্গলমহল এলাকাগুলিও। তাই মাধ্যমিক পরীক্ষার দিনগুলোতে বিশেষ পদক্ষেপ করেছে বনদফতরও। পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে কোনও ধরনের ঝুঁকি নিতে চাইছে না বাঁকুড়ার বনদফতর। গাড়িতে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বড়জোড়া ও বেলিয়াতোড় রেঞ্জের পরীক্ষার্থীদের বিশেষ নম্বরেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। যে কোনও সমস্যায় পড়লে ফোন করতে বলেছে বনদফতর।
বিধায়ক খগেশ্বর রায় বলেন, “মর্মান্তিক ঘটনা।বনদফতরকে বলা হয়েছে। গৌতম দেবকে ফোন করেছি। জেলাশাসককেও জানিয়েছি। প্রতি বছর এরকম মৃত্যু হয়। কীভাবে ঠেকানো যায়, বোঝা যাচ্ছে না। রেঞ্জারকে বলেছি। “
We hate spam as much as you do