দিনহাটার গীতালদহে জারি ধরলা এলাকা সীমান্তবর্তী একটি গ্রাম। যেখানে প্রতিনিয়ত চোরাচালানের কারবার চলে। ওই জায়গায় আমাদের সংগঠন একেবারে নেই বললেই চলে। বর্তমানে কয়েক জন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। বরাবরই ওই এলাকায় তৃণমূলের সংঘর্ষ লেগেই থাকে বলে জানা যায়। খুনের পিছনে হয়ত কোনও চোরাচালান কারবারের যোগ থাকতে পারে বা এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল হতে পারে বলে এলাকার লোকের ধারনা।
দিনহাটায় তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ঢুকে পর পর গুলি, নিহত ১, আহত ৫ গোষ্ঠীদ্বন্দের অভিযোগ
Jun 27, 2023
হিংসা পিছু ছাড়ছে না বাংলার। ভোটের আগে ফের গুলি। মঙ্গলবার সকালে কোচবিহারের দিনহাটা-১ ব্লকের গীতালদহ গ্রামপঞ্চায়েতের জরিধল্লা গ্রাম। সেখানে গুলি চালনার অভিযোগ ওঠে। তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ঢুকে পরপর গুলি করার অভিযোগ ওঠে। পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় বাবু হক নামে একজন নিহত হয়েছেন। জখম হয়েছেন ৫ জন। দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁরা। একেবারে সীমান্তবর্তী গ্রামে এই গুলির ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় দুই তৃণমূল গোষ্ঠীর মধ্যে গন্ডগোলের জেরে গুলি চলেছে। বাংলাদেশের দুষ্কৃতীদের কাজে লাগিয়ে এই ঘটনা ঘটানো হতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান পুলিশের। এদিকে দিনহাটায় গুলি চালানোর ঘটনায় জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে, এই ঘটনায় বিজেপিযোগ রয়েছে। পাল্টা বিজেপির দাবি, এটা রাজনৈতিক সংঘর্ষ নয়।
মাঝে আর এক সপ্তাহ। ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে। ইতিমধ্যেই একাধিক জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পৌঁছেছে। কিন্তু হিংসার ছবিতে বদল নেই। গুলি চলছেই, বোমাও পড়ছে মুড়ি মুড়কির মতো। গীতালদহ সীমান্তবর্তী গ্রাম। গত লোকসভা, বিধানসভা নির্বাচন, এমনকী ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটেও উত্তপ্ত হয় এলাকা। এখানে তৃণমূলের ব্যাপক গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ রয়েছে। মূলত এলাকায় কার রাজত্ব কায়েম থাকবে তা নিয়েই দলাদলি।
যদিও দিনহাটার কিছু লোক বলেন , “আমি শুনেছি যারা এখানে গোলমাল করেছে তারা বাংলাদেশী। ঝামেলার কারণ হল ফেনসিডিল, ট্যাবলেট। এসব পাচারের সঙ্গে এরা যুক্ত। টাকা পয়সার লেনদেন নিয়ে ঝামেলা। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।
দিনহাটার গীতালদহে জারি ধরলা এলাকা সীমান্তবর্তী একটি গ্রাম। যেখানে প্রতিনিয়ত চোরাচালানের কারবার চলে। ওই জায়গায় আমাদের সংগঠন একেবারে নেই বললেই চলে। বর্তমানে কয়েক জন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। বরাবরই ওই এলাকায় তৃণমূলের সংঘর্ষ লেগেই থাকে বলে জানা যায়। খুনের পিছনে হয়ত কোনও চোরাচালান কারবারের যোগ থাকতে পারে বা এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল হতে পারে বলে এলাকার লোকের ধারনা।
We hate spam as much as you do