Tranding

02:33 PM - 01 Dec 2025

Home / World / মুজিবের ধানমন্ডির বাড়িতে উন্মত্ত জনতা আগুন হাসিনার বাসভবনে

মুজিবের ধানমন্ডির বাড়িতে উন্মত্ত জনতা আগুন হাসিনার বাসভবনে

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, বাংলাদেশজুড়ে যেভাবে নৈরাজ্য শুরু হয়েছে, তাতে করে স্পষ্ট যে গোটা বিষয়টি পরিকল্পনা মাফিকই চলছে। একই কারণে মুজিবের বাড়িতে হামলার পাশাপাশি আগুন দেওয়া হয়েছে ধানমন্ডিতে হাসিনার বাসভন সুধা সদনেও। বুধবার রাত সাড়ে ১০টার পর সেখানে আগুন দেওয়া হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। রাত ১২টার সময় ভবনের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ তলার বিভিন্ন কক্ষে আগুন জ্বলতে দেখা গিয়েছে।

মুজিবের ধানমন্ডির বাড়িতে উন্মত্ত জনতা আগুন হাসিনার বাসভবনে

মুজিবের ধানমন্ডির বাড়িতে উন্মত্ত জনতা আগুন হাসিনার বাসভবনে

Feb 06, 2025


 বাঙালির ইতিহাস মুছে ফেলতে তৎপর বাংলাদেশের ‘বিপ্লবী ছাত্র’ দল। বুধবার রাতে তারা হামলা চালায় ধানমন্ডির শেখ মুজিবর রহমানের বাড়িতে। বৃহস্পতিবার সকালেও সেই ধ্বংসযজ্ঞ অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়ির সামনের অনেকটা অংশ। সঙ্গে চলছে উল্লাস--- স্বৈরাচারের কোনও চিহ্ন রাখা যাবে না। এদিকে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও কারমাইকেল কলেজে শেখ মুজিবুরের ম্যুরাল ভাঙচুরেরও খবর মিলেছে। ময়মনসিংহ-সহ বিভিন্ন স্থানে শেখ মুজিবরের মূর্তি ভাঙচুর হয়েছে। ভৈরবে আওয়ামি লিগের কার্যালয় ভাঙচুর চালানোরও খবর মিলছে। রাতেই ধানমন্ডিতে শেখ হাসিনার বাসভবন সুধা সদনেও আগুন দিয়েছে একদল উন্মত্ত জনতা। সব মিলিয়ে গোটা বাংলাদেশ জুড়ে আরও একবার নৈরাজ্যের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।


বুধবার সন্ধ্যা সাতটার কিছু পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘আজ রাতে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমি মুক্ত হবে।’ প্রথমেই মুজিবের স্মৃতিবিজড়িত ওই বাড়ি তথা জাদুঘরে গিয়ে বাইরের ফটক ভেঙে ফেলে বিক্ষোভকারীরা। এরপর বাড়ির ভিতরে ঢুকে শুরু হয় ভাঙচুর। ৯টার একটু আগে থেকেই দেখা যায় তিনতলা জ্বলছে। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকালেও ধ্বংসযজ্ঞ অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম স্মারক মুজিবের বাড়ির বড় অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। বাড়ি ভাঙতে হাতুড়ি, শাবলের পাশাপাশি বিরাট ক্রেন ব্যবহার করা হয়। যদিও ইউনুস প্রশাসন উন্মত্ত ছাত্র-জনতা দলকে আটকায়নি। বরং বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে এই ঘটনায় প্রচ্ছন্ন মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠছে।

 

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, বাংলাদেশজুড়ে যেভাবে নৈরাজ্য শুরু হয়েছে, তাতে করে স্পষ্ট যে গোটা বিষয়টি পরিকল্পনা মাফিকই চলছে। একই কারণে মুজিবের বাড়িতে হামলার পাশাপাশি আগুন দেওয়া হয়েছে ধানমন্ডিতে হাসিনার বাসভন সুধা সদনেও। বুধবার রাত সাড়ে ১০টার পর সেখানে আগুন দেওয়া হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। রাত ১২টার সময় ভবনের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ তলার বিভিন্ন কক্ষে আগুন জ্বলতে দেখা গিয়েছে।

এছাড়াও রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও কারমাইকেল কলেজে শেখ মুজিবুরের ম্যুরাল ভাঙচুর করে একদল জনতা। ময়মনসিংহ-সহ বিভিন্ন স্থানে শেখ মুজিবরের মূর্তি ভাঙচুর হয়েছে বলেও বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে। ভৈরবে আওয়ামি লিগের কার্যালয় ভাঙচুর চালানোরও খবর মিলছে। বুধবার রাত থেকে শুরু হওয়া ধ্বংসযজ্ঞ নিয়ে আওয়ামি লিগের সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, দেশে এবার গৃহযুদ্ধ হবে। অন্যদিকে গতকাল থেকে শুরু হওয়া ঘটনা নয়ে হাসিনার গর্জন, "ইতিহাস প্রতিশোধ নেয়, বঙ্গবন্ধু হৃদয়ে"।

Your Opinion

We hate spam as much as you do