বৃহস্পতিবারই শেষ হয় এই মামলার শুনানি। রায়দান স্থগিত রেখেছিল প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই মামলায় এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল আদালত।
রামপুরহাট হত্যায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের, রাজ্য পুলিশে ভরসাহীন ,
বীরভূমের বগটুইতে যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে রাজ্য পুলিশের ওপর আর ভরসা করা যাবে না। এ কথা জানিয়ে শুক্রবার বগটুই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবারই শেষ হয় এই মামলার শুনানি। রায়দান স্থগিত রেখেছিল প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই মামলায় এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে বীরভূমের বগটুই কান্ডে সিটের প্রাথমিক রিপোর্ট জমা পড়ে। এদিন মামলাকারী আইনজীবীদের তথ্যপূর্ণ সওয়াল-জবাবে নানান প্রসঙ্গ উঠে আসে ।মামলাকারী আইনজীবীদের রাজ্যের তদন্তে বিন্দুমাত্র আস্থা নেই,তা বারবার ফুটে উঠেছে।পাশাপাশি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই তদন্ত দাবিতে জোরালো সওয়াল তাঁরা চালিয়েছেন এদিন। বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই এলাকার ৮ জন গ্রামবাসীর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে তরফে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানি দীর্ঘক্ষণ চলে ঘটনার অমানবিক বিষয়টি গুরত্ব অনুভাব করে ।
এদিন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের বেঞ্চ জানায়, -'হাইকোর্টের কাজের নির্ধারিত সময় শেষ হলেও এই মামলার শুনানি চলবে।কোনও আইনজীবীর অসুবিধা না থাকলে কোর্টের সময় পেরিয়ে গেলেও মামলা শোনা হবে। মামলার গুরুত্ব অনুধাবন করেই এই সিদ্ধান্ত'।এতে বিচারপ্রার্থী আইনজীবীরা খুশি।
রামপুরহাটের বগটুইয়ে ৮ জন গ্রামবাসীর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় গত বুধবার স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করে থাকে কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন দুপুরে কলকাতা হাইকোর্ট এর প্রধান বিচারপতি শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে চলে এই মামলার শুনানি। বৃহস্পতিবার শুরুতেই আদালতে আবেদনকারী পক্ষের অন্যতম আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় জানান , 'বুধবার রাত দশটা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়নি'।গত বুধবারেরই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ জারি করে, -' কেস ডায়েরির রিপোর্ট বৃহস্পতিবার জমা করতে হবে আদালতে। নিশ্চিত করতে হবে, ওই জায়গার কোনও তথ্য নষ্ট হয়নি।
ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা লাগাতে হবে। আদালতের আগামী নির্দেশ ছাড়া সিসি ক্যামেরার রেকর্ড যেন বন্ধ করা না হয়। পূর্ব বর্ধমান জেলা আদালতের বিচারকের নজরদারিতে সিসিটিভি নজরদারি চালানো হবে। পাশাপাশি, ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়ার কথাও বলা হয় আদেশনামায়। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ আরও নির্দেশ দেয়, -' রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং আইজি-কে সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। কোনও ভাবেই তাঁদের হুমকি বা ভয় দেখানো যাবে না'।এদিন আদালতের নির্দেশ মেনে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কেস ডায়রি জমা দেন সিটের তরফে । এজি জানান ,- 'সিসিটিভি ক্যামেরা ইনস্টল করার কথা বলা হয়েছিল।
গত বুধবার হাইকোর্ট সেই নির্দেশ দিয়েছিল। ওইদিন সন্ধ্যাবেলা নির্দেশের প্রতিলিপি হাইকোর্টের সাইটে আসে। এর পর তা জেলায় পাঠানো হয়। জেলা প্রশাসনের তরফে যোগাযোগ করা হয় পূর্ব বর্ধমানের জেলা বিচারককে। এখন সেখানে ৩১টি সিসিটিভি ক্যামরা লাগানো হয়েছে।'যদিও মামলাকারীদের বড় অংশ সিবিআই তদন্তের দাবিতে সওয়াল-জবাব অব্যাহত রেখে চলেছেন ।
We hate spam as much as you do