কয়েকদিন আগেও রাজ্যে যেখানে প্রতিদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজারের গণ্ডি অতিক্রম করেছে সেখানে সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য ভাবে কমলেও উচ্চ মৃত্যুহার নিয়ে চিন্তিত বিশেষজ্ঞ মহল। কলকাতার পাশাপাশি জেলাগুলিতেও পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মৃত্যু। রাজ্যে মৃত্যু হার এখনও ১.০৫ শতাংশ। এদিকে, রাজ্য করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পরেও, বিরোধীরা কম টেস্টের অভিযোগ করেছে।
দেশে করোনা সংক্রমণের দৈনিক হার ৩ লক্ষ ৪৭হাজারের বেশি মৃত বেড়ে ৭০৩
গত একদিনে আরও বেড়েছে দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ। একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৩,৪৭,২৫৪ জন। গতকালের চেয়ে ২৯,৭২২জন বেশি আক্রান্ত হয়েছেন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে মারা গিয়েছেন ৭০৩ জন। গতকাল সংখ্যাটা ৫০০-র কাছাকাছি ছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা সংক্রমণ কাটিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২,৫১,৭৭৭ জন।
এই রাজ্যের রেকর্ড ------ মৃত্যু বাড়ছে।
রাজ্যের দৈনিক সংক্রমণ কম দেখাচ্ছে । স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী বাংলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১০,৯৫৯ জন। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ১১,৪৪৭। সামান্য কমে পজিটিভিটি রেট দাঁড়িয়েছে ১৬. ২৭ শতাংশে। করোনায় দৈনিক মৃত্যু হয়েছে ৩৭ জনের। মৃত্যুর উচ্চ সংখ্যা উদ্বেগের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১০,৯৫৯ জন। পজিটিভিটি রেট দাঁড়িয়েছে ১৬. ২৭ শতাংশে। আগের দিন রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ ঘণ্টায় ছিল ১১,৪৪৭। পজিটিভিটি রেট ছিল ১৬.৯৮ শতাংশ। কয়েকদিন আগেও রাজ্যে যেখানে প্রতিদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজারের গণ্ডি অতিক্রম করেছে সেখানে সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য ভাবে কমলেও উচ্চ মৃত্যুহার নিয়ে চিন্তিত বিশেষজ্ঞ মহল। কলকাতার পাশাপাশি জেলাগুলিতেও পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মৃত্যু। রাজ্যে মৃত্যু হার এখনও ১.০৫ শতাংশ। এদিকে, রাজ্য করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পরেও, বিরোধীরা কম টেস্টের অভিযোগ করেছে।
১২ জানুয়ারি, রাজ্য ৭১,৭৯২ টি নমুনা পরীক্ষা করে যা ১৮ জানুয়ারিতে তা নেমে আসে ৫৩,৮২৪-এ। ১৯ জানুয়ারিতে তা কিছুটা বেড়ে ৬৭,৪০৪-এ দাঁড়িয়েছে। আবার গতকাল তা সামান্য কমে হয়েছে ৬৭,৩৬৭। রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯,৩৯, ৯২০। প্রাণ গিয়েছে মোট ২০,৩৩০ জনের। রাজ্যে সুস্থতার হার সামান্য বেড়ে হয়েছে ৯১.৪৯ শতাংশ। দৈনিক আক্রান্তের নিরিখে রাজ্যে শীর্ষে কলকাতা। তিলোত্তমায় একদিনে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ১,৭৫৯ জন। তবে এই হার গত দিনের তুলায় কম। আগের দিন কলকাতায় কোভিড পজিটিভ হয়েছিলেন ২,১৫৪ জন। সেই সঙ্গে একদিনে ৩৭ জনের মৃত্যু চিন্তা বাড়িয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের।
কেরল থার্ড ওয়েভে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। ২০২০ সালের পর রেকর্ড সংক্রমণ কেরলে। দেশের ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৯,৬৯২-এ পৌঁছে গিয়েছে। গতকালের চেয়ে ৪.৩৬ শতাংশ বেড়েছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। দৈনিক পজিটিভি রেট ১৭.৯৪ শতাংশ হয়ে গিয়েছে। দেশে এখন অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ২০,১৮,৮২৫ জন। এদিকে করোনা সংক্রমণের মধ্যেই সোমবার থেকে মহারাষ্ট্রের সব স্কুল খুলে যাচ্ছে। মহারাষ্ট্র সরকার গতকালই এই এই নির্দেশিকা জারি করেছিল। মহারাষ্ট্রে এদিকে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৬,১৯৭ জন। তারমধ্যে একদিনে আবার ওমিক্রন সংক্রমিত হয়েছেন ১২৫ জন। ৩৭ জন করোনা সংক্রমণে মারা গিয়েছেন। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫২ হাজার জন।
গোয়াতে পজিটিভিটি রেট ৪১শতাংশ হয়ে গিয়েছে। নতুন করে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমিত হয়েছেন ৩৩৯০ জন। রাজস্থানে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতের সংখ্যা বেধে দেওয়া হয়েছে। আগে ৫০ জন আমন্ত্রিতের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। সেটা বাড়িয়ে ১০০ করা হয়েছে। সপ্তাহান্তের কার্ফ এখন কেবল মাত্র পুরসভা এলাকাগুলিতে করা হচ্ছে। রাত ১১টা থেকে ভোট ৫ টা পর্যন্ত করে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ছত্তিশগড়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৬৪৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে মারা গিয়েছেন ১৫ জন। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত করোনা বিধি কড়া করেছে তেলঙ্গানা সরকার।
এদিকে ব্রিটেন সরকার গোটা দেশে মাস্ক পরার বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে। ব্রিটেনে এখন মাস্ক ছাড়াই ঘুরবেন সকলে। এবং সবরকম কার্ফুও তুলে নেওয়া হয়েছে। করোনা নিয়েই চলবে দেশ। জানিয়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ভারত যদিও এখনও সেই সাহসী পদক্ষেপ করতে পারেনি। সেকারণে করোনা বিধিনিষেধ বাড়িয়ে চলেছে। তবে করোনা টিকাকরণ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করে চলেছে। বিহার সরকার ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত করোনা বিধিনিষেধ বহাল রেখেছে। দক্ষিণের অভিনেতা দুলকার সলমানও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
We hate spam as much as you do