প্রথম দিনের বৈঠকে এমনই মত দিয়েছে বিশেষজ্ঞ কমিটি। বৈঠকের পর তাঁদের মত, ৩ বছরের ডিগ্রি কোর্সে ডাক্তার নয়, তাঁর সহায়ক তৈরি করা যেতে পারে। তবে তাঁরা কোনও ওষুধ প্রেসক্রাইব করতে পারবেন না। পাশাপাশি প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় প্রাথমিক চিকিৎসায় সহায়তা করতে পারবেন। প্রথম দিনের বৈঠকে একতম বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যরা, এমনটাই সূত্রের খবর। বিশেষজ্ঞ কমিটির মতামত ৩০ দিনে রিপোর্টের আকারে জানানো হবে মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
মমতার ‘ডিপ্লোমা ডাক্তার’ প্রস্তাবে সায় নেই সরকারি বিশেষজ্ঞ কমিটির
May 16, 2023
শূন্যপদে নিয়োগ করতে এবং ঘাটতি মেটাতে পাঁচ বছরের বদলে তিন বছরের ডিপ্লোমা ডাক্তারের প্রস্তাব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ে সেই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করারও প্রস্তাব দেন মমতা। কিন্তু রাজ্যেরই বিশেষজ্ঞ কমিটির সায় নেই ডিপ্লোমা ডাক্তারে। বৈঠকের পর সব পক্ষের মত, ৩ বছরের ডিগ্রি কোর্সে ডাক্তার তৈরি করা সম্ভব নয়। তাঁদের মতে, ৩ বছরে চিকিৎসকের সহায়ক তৈরি করা যেতে পারে। তবে ডাক্তার নয়।
প্রথম দিনের বৈঠকে এমনই মত দিয়েছে বিশেষজ্ঞ কমিটি। বৈঠকের পর তাঁদের মত, ৩ বছরের ডিগ্রি কোর্সে ডাক্তার নয়, তাঁর সহায়ক তৈরি করা যেতে পারে। তবে তাঁরা কোনও ওষুধ প্রেসক্রাইব করতে পারবেন না। পাশাপাশি প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় প্রাথমিক চিকিৎসায় সহায়তা করতে পারবেন। প্রথম দিনের বৈঠকে একতম বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যরা, এমনটাই সূত্রের খবর। বিশেষজ্ঞ কমিটির মতামত ৩০ দিনে রিপোর্টের আকারে জানানো হবে মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে ডাক্তারের ঘাটতি রয়েছে। এ জন্য জেলা হাসপাতালগুলিকেই ভুগতে হয় বেশি। প্রায়ই এই অভাবের কথা তুলে ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘাটতি পূরণে বাড়ানো হয়েছে ডাক্তারি পাঠের আসন সংখ্যা। কিন্তু, অনেকেই পাস করার পর এ রাজ্যে থাকছেন না। ফলে লাভের লাভ হচ্ছে না। এ নিয়ে কথা বলতে গিয়েই নিজের ভাবনার কথা তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৈঠকে উপস্থিত আমলাদের উদ্দেশে মমতা বলেন,’অনেক হাসপাতাল হচ্ছে, যেখানে ডাক্তার নেই, নার্স নেই। ইঞ্জিনিয়ারদের মতো ডাক্তারদের একটা ডিপ্লোমা কোর্স চালু করা যায় কি না দেখো। তাহলে অনেক ছেলে-মেয়ে ডাক্তারি ডিপ্লোমা কোর্সের সুযোগ পাবে।’
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ‘এতে পাঁচ বছর ধরে প্রশিক্ষণে আমরা যে অরিজিনাল ডাক্তার পাচ্ছি, তাদের অনেকটা সময় যাচ্ছে… পড়াশোনা করতে হচ্ছে, পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। কিন্তু যেহেতু হাসপাতাল বাড়ছে, লোকসংখ্যা বাড়ছে, বেড বাড়ছে… যদি সমান্তরালভাবে একটি ডিপ্লোমা কোর্স করে অন্তত প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে কাজে লাগানো যায়, তাহলে মনে হল ভাল রেজাল্ট দেবে।’ তবে বিশেষজ্ঞ কমিটিই মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবে সায় দিচ্ছে না।
We hate spam as much as you do