শেষ ট্রেনের সময়সীমা যদি সেক্ষেত্রে ৭টা হয়, তাঁরা কীভাবে বাড়ি ফিরবেন সেটা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কারণ, অফিসের সময়সীমা কমিয়ে দেওয়ার কোনও নির্দেশিকা নবান্ন জারি করেনি। পূর্ব রেলের তরফেও জানানো হয়েছিল ৭টার সময় তারা শেষ লোকাল ট্রেন ছাড়বে। দক্ষিণ পূর্ব রেল জানিয়েছিল, ৭টার মধ্যে তারা লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ করে দেবে।
যাত্রীদের চরম বিক্ষোভে লোকাল ট্রেনের সময়সীমা ৭টা নয় ১০টা
(Local Train) সন্ধে ৭টার বদলে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে লোকাল ট্রেন। তবে হাওড়া স্টেশনে এই খবর এখনও এসে পৌছোয়নি। এখনও পর্যন্ত যাত্রীদের মধ্যে দুর্ভোগের ছবি অব্যাহত। ট্রেন না পাওয়ায় দুর্ভোগে যাত্রীদের একাংশ। হাওড়া নিউ কমপ্লক্সের আধিকারীরদের ঘরের সামনে হয়েছে যাত্রীদের বিক্ষোভ
শেষ ট্রেনের সময়সীমা যদি সেক্ষেত্রে ৭টা হয়, তাঁরা কীভাবে বাড়ি ফিরবেন সেটা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কারণ, অফিসের সময়সীমা কমিয়ে দেওয়ার কোনও নির্দেশিকা নবান্ন জারি করেনি। পূর্ব রেলের তরফেও জানানো হয়েছিল ৭টার সময় তারা শেষ লোকাল ট্রেন ছাড়বে। দক্ষিণ পূর্ব রেল জানিয়েছিল, ৭টার মধ্যে তারা লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ করে দেবে।
কিন্তু সোমবার রাজ্যের তরফে নতুন করে সময়সীমা বদলে নির্দেশিকা জারি করা হয়। তবে রেলের তরফে সোমবার থেকেই রাত ১০টা অবধি পরিষেবা দেওয়া সম্ভব কি না তা নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ আছে। কারণ, কর্মী বহালের একটা বিষয় রয়েছে। রেক ম্যানেজমেন্টও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেই সমস্ত বিষয় বিবেচনা করেই পূর্ব রেল বা দক্ষিণ পূর্ব রেলের পক্ষে রাত ১০টা অবধি ট্রেন চালানো সম্ভব।
রেল আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, অফিশিয়াল আপডেট এখনও তাঁদের কাছে এসে পৌঁছয়নি। তা এসে পৌঁছনোর পর সোমবারই রাত ১০টা অবধি ট্রেন চালানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। তবে এদিন রাজ্য সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নিঃসন্দেহে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। কারণ, বহু দূর থেকে মানুষ শহরে কাজে আসেন। বহু যাত্রী রয়েছেন যাঁদের কাজের জায়গা থেকে ৭টার মধ্যে হাওড়া কিংবা শিয়ালদহে এসে পৌঁছনোই দুষ্কর।
এদিন বিকেল পাঁচটা থেকে কার্যত স্টেশনে স্টেশনে অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়। ১০টা অবধি শপিংমল, রেস্তোরাঁ, হোটেল, পানশালা খুলে রেখে সরকার কীভাবে সাত তাড়াতাড়ি ট্রেন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল তা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সাধারণ মানুষ। সাড়ে ৫টার পর থেকে ট্রেন কমতে শুরু করে বলেও অভিযোগ তোলেন হাওড়া, শিয়ালদহ, বিধাননগর, দমদম স্টেশনের যাত্রীরা। স্টেশনগুলিতে থিক থিক করছে মানুষের মাথা। অভিযোগ, ভিড়ে পড়ি কী মরি করে ট্রেন ধরতে গিয়ে দমদম স্টেশনে পড়েও যান একজন।
যা ভিড় হচ্ছে স্টেশনে এভাবে সংক্রমণ রোখা তো কোনওভাবেই সম্ভব নয়। উল্টে বাড়বে ক্ষোভ-বিক্ষোভ, দুর্ঘটনা। এরইমধ্যে নবান্ন থেকে নির্দেশ আসে, শেষ ট্রেনের সময় ৭টা নয়, আরও তিন ঘণ্টা বাড়িয়ে দেওয়া হল।
We hate spam as much as you do