Tranding

03:16 PM - 01 Dec 2025

Home / Others / সংক্রমণে দৌড়চ্ছে রাজ্যে, রাজনৈতিক জমায়েতে কেন ৫০০ জনের অনুমতি কেন? হচ্ছে টা কি?

সংক্রমণে দৌড়চ্ছে রাজ্যে, রাজনৈতিক জমায়েতে কেন ৫০০ জনের অনুমতি কেন? হচ্ছে টা কি?

অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টর্স’র সাধারণ সম্পাদক, মানস গুমটা এই নিয়ে বলেন, ‘মেলা খেলা ভোট সবই চলছে রমরমিয়ে, শুধু লোক দেখানো করোনা বিধি জারি করা হয়েছে’। সেই সঙ্গে ‘রাজ্যের তরফে জারি করা কোভিড বিধিকে তিনি এককথায় বিজ্ঞানের বিপরীত বলেও দাবি করেছেন’। তার কথায় ‘রাজ্যের এমন পরিস্থিতিতে ভোটের নামে অবৈধ জমায়েত অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত’।

সংক্রমণে দৌড়চ্ছে রাজ্যে, রাজনৈতিক জমায়েতে কেন ৫০০ জনের অনুমতি কেন? হচ্ছে টা কি?

সংক্রমণে দৌড়চ্ছে রাজ্যে, রাজনৈতিক জমায়েতে কেন ৫০০ জনের অনুমতি কেন? হচ্ছে টা কি? 

 

বিয়েবাড়িতে ৫০ জন। শেষকৃত্যে সর্বোচ্চ ২০ জনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সেখানে ভোট প্রচারের জন্য কেন ৫০০ জনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ মানুষ থেকে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।


 ইতিমধ্যেই দেশে আছড়ে পড়েছে তৃতীয় ঢেউ। বিদ্যুৎ গতিতে ছড়িয়েছে সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে দেশে ৩৭ হাজারের বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। পাল্লা দিয়ে দেশে বেড়েছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও।


দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭ হাজার ৩৭৯ জন। এর মধ্যেই আসন্ন পুরভোটে প্রচারের জন্য সর্বোচ্চ ৫০০ জনের অনুমতি দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন আর তাকে ঘিরেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। যেখানে রাজ্যে করোনার বাড়বাড়ন্ত, বিয়েবাড়িতে ৫০ জন শেষকৃত্যে সর্বোচ্চ ২০ জনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে সেখানে ভোট প্রচারের জন্য কেন ৫০০ জনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ মানুষ থেকে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

সোমবার কমিশন জানিয়েছে, খোলা ও বড় জায়গার সভায় কোভিড বিধি মেনে, সর্বাধিক ৫০০ জনের উপস্থিতিতে কোন বাঁধা থাকবে না। এদিন রাজ্যসরকারের শীর্ষ মহলের সঙ্গে আলোচনার পরই এই ঘোষণা করা করা হয় কমিশনের তরফে। এই নিয়ে রাজ্য সরকার এবং কমিশনকে কার্যত একহাত নিয়েছেন চিকিৎসক সংগঠনের তরফে।

অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টর্স’র সাধারণ সম্পাদক, মানস গুমটা এই নিয়ে বলেন, ‘মেলা খেলা ভোট সবই চলছে রমরমিয়ে, শুধু লোক দেখানো করোনা বিধি জারি করা হয়েছে’। সেই সঙ্গে ‘রাজ্যের তরফে জারি করা কোভিড বিধিকে তিনি এককথায় বিজ্ঞানের বিপরীত বলেও দাবি করেছেন’। তার কথায় ‘রাজ্যের এমন পরিস্থিতিতে ভোটের নামে অবৈধ জমায়েত অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত’।

প্রসঙ্গত ২২ জানুয়ারি, চারটি পুরনিগমে ভোট হওয়ার কথা। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনকে কঠোর ভাবে কোভিড বিধি মেনে চলার কথা বলা হয়েছে কমিশনের তরফে। বিধি ভাঙলে অতিমারি আইন অনুসারে পদক্ষেপের হুশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতেও বরফ গলছে না।

Your Opinion

We hate spam as much as you do