Tranding

02:52 PM - 01 Dec 2025

Home / Other Districts / পানাগড়ে ইভটিজিংএর বলি তরুণীর মা বললেন, ‘প্রশাসন বলে কিছু নেই’

পানাগড়ে ইভটিজিংএর বলি তরুণীর মা বললেন, ‘প্রশাসন বলে কিছু নেই’

রবিবার গভীর রাতে পানাগড়ের রাস্তায় গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে চন্দননগরের বাসিন্দা সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের। অভিযোগ, কয়েক জন মত্ত যুবক গাড়ি নিয়ে এসে তরুণীর গাড়িতে বার বার ধাক্কা দেন। তাঁদের হাত থেকে বাঁচতেই দ্রুত গতিতে চালাতে গিয়ে উল্টে যায় তরুণীর গাড়ি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সুতন্দ্রার। গাড়িতে থাকা তাঁর দুই সহকর্মীও হাসপাতালে ভর্তি।

পানাগড়ে ইভটিজিংএর বলি তরুণীর মা বললেন, ‘প্রশাসন বলে কিছু নেই’

পানাগড়ে ইভটিজিংএর বলি তরুণীর মা বললেন, ‘প্রশাসন বলে কিছু নেই’

২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

জাতীয় সড়কে বেলাগাম দুষ্কৃতীরাজ! পানাগড়ে প্রায় ২০ কিমি ধাওয়া করে তরুণীকে কটূক্তি, অশালীন ইঙ্গিত, বারবার ধাক্কা মারা হয় গাড়িতে। পালাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় গাড়ি। মৃত্য়ু হয় তরুণীর।  কোথায় পুলিশ? কোথায় নজরদারি? ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে।

এক দিনের বেশি এখনও অধরা পানাগড়কাণ্ডের পাঁচ ‘ইভটিজ়ার’। রবিবার মধ্যরাতে ওই ঘটনার পর এখনও কেন তাঁদের গ্রেফতার করতে পারল না পুলিশ, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মৃতার মা। ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘যা দেখা যাচ্ছে, প্রশাসন বলে কিছু নেই!’’

 

রবিবার গভীর রাতে পানাগড়ের রাস্তায় গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে চন্দননগরের বাসিন্দা সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের। অভিযোগ, কয়েক জন মত্ত যুবক গাড়ি নিয়ে এসে তরুণীর গাড়িতে বার বার ধাক্কা দেন। তাঁদের হাত থেকে বাঁচতেই দ্রুত গতিতে চালাতে গিয়ে উল্টে যায় তরুণীর গাড়ি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সুতন্দ্রার। গাড়িতে থাকা তাঁর দুই সহকর্মীও হাসপাতালে ভর্তি।

পুলিশ সূত্রে খবর, দুর্ঘটনার পর অভিযুক্তেরা ঘটনাস্থলেই গাড়ি রেখে চম্পট দিয়েছেন। তরুণীর গাড়ির পাশাপাশি অভিযুক্তদের গাড়িটিও আটক করা হয়েছে। তাঁদের গাড়ির নম্বর ‘ডব্লিউবি ৪০ এটি১৯৭৪’। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, গাড়িটি জনৈক বাবলু যাদবের নামে রয়েছে। গাড়ির মালিকের পরিচয় জানার পরেও কেন কাউকেই ধরা গেল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।

 

সুতন্দ্রা চন্দননগরের বাসিন্দা। মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়েই সেখান থেকে আসানসোলে এসেছেন মা তনুশ্রী চট্টোপাধ্যায়। আসানসোল জেলা হাসপাতালে তাঁর মেয়ের দেহের ময়নাতদন্ত হবে। তার আগে থানায় যাওয়ায় সময় তনুশ্রী বলেন, ‘‘আমি দোষীদের কঠোর শাস্তি চাইছি। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে, পুলিশ কিছু আড়াল করার চেষ্টা করছে। না হলে এতটা সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও কেন কাউকে ধরতে পারল না? প্রশাসন বলে কিছু নেই।’’

তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের এসিপি সুমন জয়সওয়ালকে। তাঁর বক্তব্য, ‘‘সিসিটিভি সংগ্রহ করার কাজ চলছে। এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। তদন্ত হোক, তার পরেই গোটা বিষয়টি জানানো হবে।’’

Your Opinion

We hate spam as much as you do