Tranding

03:30 PM - 01 Dec 2025

Home / Others / বিজেপি বিরোধী কোনো শিবিরেই মমতা থাকবেন না, সেলিম বললেন ২৪ এর ভোট নিয়ে

বিজেপি বিরোধী কোনো শিবিরেই মমতা থাকবেন না, সেলিম বললেন ২৪ এর ভোট নিয়ে

তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য চ্যালেঞ্জও ছুড়ে দেন। বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস পারলে চ্যালেঞ্জ নাও এবং নির্বাচনের ডাক দাও। তাঁর কথায়, অ্যাসেম্বলিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যে যে বৈঠক হয়েছিল, তাতে ঠিক হয়েছিল ২০২৪ এ লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি ও তৃণমূল যাচাই করতে চায় না নিজেদের।

বিজেপি বিরোধী কোনো শিবিরেই মমতা থাকবেন না, সেলিম বললেন ২৪ এর ভোট নিয়ে

 বিজেপি বিরোধী কোনো শিবিরেই মমতা থাকবেন না, সেলিম বললেন ২৪ এর ভোট নিয়ে

 
Friday, March 31, 2023, 


রামনবমীর  শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে হাওড়ায় যে হিংসার ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই পুলিশি গাফিলতির কথা স্বীকার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সেইসঙ্গে মমতা এও বলেছেন, দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার বিকেলে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে সিপিআইএম (CPIM) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম  বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী নিজেই তো পুলিশমন্ত্রী। তিনি এখন নিচুতলার পুলিশকর্মীদের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছেন। তাঁর নিজের দায় নেই?’

সেলিম এও প্রশ্ন তোলেন, ওখানে গন্ডগোলের আবহ থাকা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী রামনবমীর দু’দিন আগে থেকে নবান্ন ছেড়ে গঙ্গার উল্টো পাড়ে এসে বসেছিলেন। আসলে মুখ্যমন্ত্রী সেফ খেলতে চাইছেন।

রাজ্য সম্পাদক বলেন, আসন্ন ২০২৪ নির্বাচনের আগে বিরোধী মহাজোট নিয়ে যত কথাই বলুন না কেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি-বিরোধী কোনো শিবিরেই থাকবেন না।  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এবং আরএসএস এর যোগসাজশের অভিযোগ ফের করেন ।


২০২৪-এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থান নিয়ে একপ্রকার ভবিষ্যদ্বাণী করে দিলেন মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি কেন ইউনেস্কো গেলেও তাঁর সঙ্গে থাকবেন না। বিজেপি বিরোধী কোনও শিবিরেই উনি থাকবেন না। তাঁর কারণ তিনি চান না বিজেপি হারুক।


মহম্মদ সেলিম বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এর আগেও একবার ধরনা দিয়েছিলেন। ২০১৯ সালে ৩-৫ ফেব্রুয়ারি ধর্মতলায় তাঁর ধরনা মঞ্চে চলে এসেছিলেন বিভিন্ন রাজ্যের নেতারাও। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুদিনের তামাশা ধরনা মঞ্চে কোনো নেতা এল না। কোনো চুনোপুঁটি নেতা ফোনও করল না!

২০২৪-এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বিজেপি বিরোধী জোটে শামিল হবেন না, তার আভাস বহুদিন ধরেই মিলতে শুরু করেছে। সম্প্রতি বিভিন্ন রাজ্যের নির্বাচনে তিনি সুবিধা করে দিয়েছেন বিজেপির। তৃণমূলের জন্য অন্তত দুটি রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখতে সমর্থ হয়েছে বিজেপি।


সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধী জোটে শামিল হবেন, সেটা ভাবা সঠিক হবে না বলেই মনে করেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক। কেননা বিজেপির সঙ্গে বারবার সখ্যতা রেখে চলতেই ভালোবাসেন মমতা। বাইরে বিরোধিতা দেখান শুধু। এবারও সেই খেলা শুরু করেছেন।

সেলিম বলেন, পালে বাঘ পড়েছে বলে বারবার চিৎকার করলে কোনও না কোনও সময় ধরা পড়বেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই দুর্গতি হয়েছে এবার ধরনা মঞ্চে। তাই এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি যাবেন বলে যত লাফান না কেন, কোনো লাভ হবে না। চোরেদের সঙ্গে কেউ নেই।


সেলিম বলেন, চোর তাড়ানোর জন্য আমরা গ্রাম-শহর জাগাচ্ছি। আগেও বলেছিল আমার নামে মামলা করবে। কিন্তু মামলা করার আর সাহস পায়নি। তৃণমূল কংগ্রেসের সাহস নেই মানুষের দুয়ারে যাওয়ারও। এরা শুধু সরকারি কর্মসূচি এবং সরকারি ব্যবস্থাকে ব্যবহার করে চলতে জানে।

তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য চ্যালেঞ্জও ছুড়ে দেন। বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস পারলে চ্যালেঞ্জ নাও এবং নির্বাচনের ডাক দাও। তাঁর কথায়, অ্যাসেম্বলিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যে যে বৈঠক হয়েছিল, তাতে ঠিক হয়েছিল ২০২৪ এ লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি ও তৃণমূল যাচাই করতে চায় না নিজেদের।
মহম্মদ সেলিম বলেন, এই কারণে পঞ্চায়েত এবং উপনির্বাচনগুলি করতে চায় না তৃণমূল কংগ্রেস। এখন নির্বাচন করলে সাগরদিঘি হবে, তা তৃণমূল ভালো মতোই জানে। আমরা চাই সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হোক। আর এই নির্বাচন হোক রাজ্য নির্বাচন কমিশন আইন মেনে, সংবিধান মেনে।

নিজের অতীত এমন কী ভাইপোকেও ভয় পাচ্ছেন! সাধারণ মানুষের সমস্যা তুলে ধরে মমতাকে নিশানা সেলিমের


 রামনবমীর  শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে হাওড়ায় যে হিংসার ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই পুলিশি গাফিলতির কথা স্বীকার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেইসঙ্গে মমতা এও বলেছেন, দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার বিকেলে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে সিপিএম (CPM) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম  বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী নিজেই তো পুলিশমন্ত্রী। তিনি এখন নিচুতলার পুলিশকর্মীদের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছেন। তাঁর নিজের দায় নেই?’

সেলিম এও প্রশ্ন তোলেন, ওখানে গন্ডগোলের আবহ থাকা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী রামনবমীর দু’দিন আগে থেকে নবান্ন ছেড়ে গঙ্গার উল্টো পাড়ে এসে বসেছিলেন। আসলে মুখ্যমন্ত্রী সেফ খেলতে চাইছেন।

মূখ‍্যমন্ত্রী  এদিন  বলেছেন, ‘হিন্দুরা নন। হাওড়ায় হাঙ্গামা করেছে বিজেপি, বজরং দল, বিশ্বহিন্দু পরিষদের সমাজবিরোধীরা।’ এমনকী ধর্মীয় শোভাযাত্রায় কীভাবে বন্দুক নিয়ে আস্ফালন দেখানো হল সেই প্রশ্নও তুলেছেন মমতা।

পাল্টা সেলিম বলেন, তাই যদি হয় তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন নিজের দলের নেতা, জনপ্রতিনিধিদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেন না? তাঁরাই তো দুবরাজুপুর থেকে উত্তর ২৪ পরগনা, ইসলামপুরে বিএইচপি, আরএসএসের সঙ্গে মিলেমিশে এই উন্মাদনা ছড়িয়েছেন।

তিনি এও বলেছেন, ‘বাংলায় ১২ মাসে ১৩ পার্বণ হয়। তারমধ্যে ধর্মীয় উৎসবও আছে। কিন্তু তা হয় উপাসনাস্থলে। আর এই নয়া সংযোজিত রামনবমীর মিছিল ধেয়ে যায় মসজিদ, মাজারের দিকে। দেশের সর্বত্র এটা পরিকল্পনা করে করা হয় সঙ্ঘ পরিবার ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলির নামে। সেই পরিকল্পনায় এখানে তৃণমূলও মিশে গিয়েছিল।’

সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদকের বক্তব্য, পঞ্চায়েত ভোটের আগে পুরনো কায়দায় মেরুকরণের রাজনীতি শুরু হচ্ছে। আগামী ২ এপ্রিল হাওড়ার ওই জায়গাতেই শান্তি মিছিলের ডাক দিয়েছে সিপিআইএম। 

 

Your Opinion

We hate spam as much as you do