সেলিম বলেছেন, ক্ষমতায় আসার পর থেকে মমতা ব্যানার্জি ওবিসি সংরক্ষণকে তছনছ করে দিয়েছেন। প্রতিটি সরকারি নিয়োগে, শিক্ষায়, বিজ্ঞাপন থেকে নিয়োগ কোথাও মমতা ব্যানার্জির সরকার সংরক্ষণের এই আইনকে মানেনি। সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া অংশকে সামনে আনতে যে উদ্দেশ্যে বামফ্রন্ট সরকার ওবিসি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছিল, ‘জনপ্রিয়’ হওয়ার মোহে সেটাকে ভেঙে ফেলার উদ্দেশ্যে একদিকে খোলামকুচির মতো শংসাপত্র বিলি করে যেমন দুর্নীতি করেছে, তেমনই কমিশন ও সংবিধানের নির্দেশকে তোয়াক্কা না করে রাজনৈতিক স্বার্থে যা করেছেন, তার ফলশ্রুতিতেই হাইকোর্টের এই রায়।
OBC সংরক্ষণ দুর্নীতিতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে পথে নামার হুঁশিয়ারি সেলিমের
23 মে 2024
২০১০ সালের পর থেকে ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিলের হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে তুলধোনা করলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। পাশাপশি তিনি জানান, পিছিয়ে পড়া মানুষের স্বার্থহানি কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। তাঁর স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, সরকার তাদের স্বার্থ রক্ষা না-করলে এই পিছিয়ে পড়া মানুষগুলোকে নিয়েই সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামবে সিপিএম। বিবৃতি দিয়ে এই কথা জানান সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।আরএসএস করা মামলার ভিত্তিতে বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট রায় দেয়, ২০১০ সালের পর থেকে ওবিসি সার্টিফিকেট নিয়ম মাফিক না দেওয়ায় গোটাটাই বাতিল করা হয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে চাকরি বা পড়াশুনায় তার কোনও প্রভাব পড়বে না বলেও জানিয়েছে হাইকোর্ট। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, রাজ্যে ২০১০ সাল পর্যন্ত ছিল বামফ্রন্ট সরকার। ২০১১ সালে বামেদের সরিয়ে রাজ্যের লালবাড়ির দখল নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেই প্রসঙ্গ টেনেই এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও আরএসএসকে তীব্র আক্রমণ করল সিপিএম।সেলিম বিবৃতিতে দাবি, বামফ্রন্ট সরকার এ রাজ্যে রঙ্গনাথ মিশ্র কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে গোটা দেশে সর্বপ্রথম ওবিসি সংরক্ষণকে ১৭ শতাংশ করে। সমাজের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও শিক্ষাগত দিক থেকে যাঁরা পিছিয়ে পড়া শ্রেণিদের শিক্ষা এবং চাকরিতে সংরক্ষণের অধিকার নিশ্চিত করেছিল।
প্রয়াত সিপিআই(এম) সাংসদ মাসুদাল হাসান ও তৎকালীন ওবিসি কমিশনের উদ্যোগে নিষ্ঠা ও পরিশ্রমের সঙ্গে ‘এ’ এবং ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ভাগ করে তালিকা করা হয়েছিল। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশান বেঞ্চের রায়ে ২০১০ সাল পর্যন্ত ওবিসি সংরক্ষণের যে তালিকা করা হয়েছিল বামফ্রন্ট সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
সেলিম বলেছেন, ক্ষমতায় আসার পর থেকে মমতা ব্যানার্জি ওবিসি সংরক্ষণকে তছনছ করে দিয়েছেন। প্রতিটি সরকারি নিয়োগে, শিক্ষায়, বিজ্ঞাপন থেকে নিয়োগ কোথাও মমতা ব্যানার্জির সরকার সংরক্ষণের এই আইনকে মানেনি। সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া অংশকে সামনে আনতে যে উদ্দেশ্যে বামফ্রন্ট সরকার ওবিসি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছিল, ‘জনপ্রিয়’ হওয়ার মোহে সেটাকে ভেঙে ফেলার উদ্দেশ্যে একদিকে খোলামকুচির মতো শংসাপত্র বিলি করে যেমন দুর্নীতি করেছে, তেমনই কমিশন ও সংবিধানের নির্দেশকে তোয়াক্কা না করে রাজনৈতিক স্বার্থে যা করেছেন, তার ফলশ্রুতিতেই হাইকোর্টের এই রায়।
বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশান বেঞ্চের রায়ে ওবিসি সংরক্ষণের যে তালিকা করা হয়েছিল বামফ্রন্ট সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বীকৃতি দিয়েছে ।
তাঁর আরও অভিযোগ, নিয়মের তোয়াক্কা না-করে খোলামকুচির মতো শংসাপত্র বিলি করে যেমন দুর্নীতি করেছে ৷ কমিশন ও সংবিধানের নির্দেশকে তোয়াক্কা না-করে রাজনৈতিক স্বার্থে যা করেছে বর্তমান সরকার, তার ফলশ্রুতিই হাইকোর্টের এই রায়। কিছুতেই পিছিয়ে মানুষের স্বার্থহানি আমরা মানবো না। তাঁদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে হবে। দরকার পড়লে পিছিয়ে পড়া মানুষ রাস্তায় নেমে এই সরকারকে উচিত শিক্ষা দেবে। কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকার কেউই সংবিধানের নির্দেশিত আইন অনুযায়ী সংরক্ষণ পাওয়ার যোগ্য তাঁদের দিকে ফিরেও তাকাচ্ছে না। লক্ষাধিক পদে তফসিলি জাতি, আদিবাসী ও ওবিসিদের জন্য সংরক্ষিত তা পূরণ করা হচ্ছে না। দুই সরকার মিলে সংরক্ষিত পদকে সামনে রেখে একদিকে মেরুকরণের রাজনীতি করছে । অন্যদিকে, সংরক্ষণ যাঁদের অধিকার তাঁদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে চলেছে। আরএসএস সব সময় তফসিলি জাতি ও আদিবাসীদের সংরক্ষণের বিরোধিতা করে এসেছে।
We hate spam as much as you do