এ রাজ্যে বেশিরভাগ মানুষ দু’বেলাই ভাত খান। সবজি, মাছের দাম বেড়েছে। ফলে নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোর ভরসা এই ভাত। অন্য কিছু খাওয়ার সামর্থ্য তাদের নেই। এর মধ্যে চালের দুম করে এতটা দাম বাড়ায় কপালে ভাঁজ পড়ল সাধারণ মানুষের।
চালের দাম বাড়ল এর মধ্যে অনেকটাই - মধ্যবিত্তের নাগাল ছাড়াবে এবার?
মহামারীতে কারোর পৌষমাস কারোর সর্বনাশ। গুদামে জমানো চালের দাম বাড়ানো হচ্ছে অস্বাভাবিক গতিতে। কেজি প্রতি ১০থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেল।
গোটা দেশে আজ, শুক্রবার দৈনিক সংক্রমণ এক লাখ ছাড়িয়েছে। বাংলায় ১৬ হাজারের গণ্ডি পেরিয়েছে। কড়া কোভিড বিধি জারি করেছে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার। তার জেরে বন্ধ পর্যটন কেন্দ্র। কোপ পড়েছে রেস্তোরাঁ, পানশালার গ্রাহক থেকে এমনকী ট্রেন, বাসের যাত্রী সংখ্যায়। ব্যবসা যে এর ফলে অনেকটাই বিপর্যস্ত বোঝাই যাচ্ছে। এর মধ্যে হু হু করে বাড়ছে জিনিসের দাম।
যন্ত্রণা বাড়াল চালের দাম। আগের তুলনায় অনেকটাই বাড়ল চালের দাম। ব্যবসায়ীদের দাবি, গত কয়েক মাসে অনেকটাই বেড়েছে সব রকম চালের দাম। চালের খুচরো বাজারের দর বলছে, মিনিকেট চালের একমাস আগে দাম ছিল ৩৪ থেকে ৩৫ টাকা কেজি। এখন ৪৫ -৫০ টাকা কেজি। বাঁশকাঠি চালের দাম ছিল ৪২ থেকে ৪৫ টাকা কেজি। এখন ৫০ -৫৫ টাকা কেজি। দুধের সর চাল ৪২ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল। এখন তার দাম কেজি প্রতি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। বাসমতি চালের দাম ছিল ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা কেজি। এখন ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা। ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছিল গোবিন্দভোগ। এখন ৯০ থেকে ১০০ টাকা।
এ রাজ্যে বেশিরভাগ মানুষ দু’বেলাই ভাত খান। সবজি, মাছের দাম বেড়েছে। ফলে নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোর ভরসা এই ভাত। অন্য কিছু খাওয়ার সামর্থ্য তাদের নেই। এর মধ্যে চালের দুম করে এতটা দাম বাড়ায় কপালে ভাঁজ পড়ল সাধারণ মানুষের। কেন বাড়ল এই চালের দাম? ব্যবসায়ীরা জানালেন, মূলত মিনিকেট চালের দামই বেশি বেড়েছে। কারণ বাংলাদেশে বেশি পরিমাণ ওই চাল রপ্তানি হচ্ছে। বাকি ধরনের চাল অন্ধ্রে রপ্তানি হচ্ছে। আসল কথা, চাহিদা বেড়েছে ভিন রাজ্যে। ফলে এ রাজ্যে দাম বেড়ে গিয়েছে। ব্যবসায়ীদের মতে, আগামী এক–দু’মাসে কমবে না চালের দাম। তাই আম–আদমির ভোগান্তি যে বাড়বে, বলাই বাহুল্য। তবে সরকারের ব্যবস্থা গ্রহণ যথেষ্ট প্রয়োজনীয় এই সময়ে।
We hate spam as much as you do