শুক্রবারের দুর্ঘটনার পর দেখা যায় সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল অভিশপ্ত করমণ্ডলের অসংরক্ষিত কামরাগুলি। এই কামরায় থাকা যাত্রীদেরই সবথেকে বেশি প্রাণহানি হয়। এদিন ফের শালিমার থেকে করমণ্ডলের যাত্রা শুরুর আগে দেখা গেল সেই অসংরক্ষিত কামরার সামনে ভিড় পরিযায়ী শ্রমিকদের। যাঁরা এ রাজ্যে কোনও কাজ না পেয়ে ছুটে যাচ্ছেন অন্য রাজ্যে
‘এখানে কাজ নেই, পেটের দায়ে করমন্ডলেই যেতে হচ্ছে ভিন রাজ্যে’, বলছেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা
Jun 07, 2023
বিপর্যয়ের পর ফের পথচলা শুরু করেছে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এদিন বিকালেই শালিমার থেকে ছুটতে চলেছে শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস । আবার চেন্নাই থেকে একটি করমণ্ডল এক্সপ্রেস আসে শালিমারে। অনেকেই ঘরে ফেরেন ভিন রাজ্য থেকে। আবার ভিন রাজ্যের অনেকই আসেন এই রাজ্যে। গত শুক্রবার শেষবার শালিমার থেকে ছুটেছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। সন্ধ্যাতেই বালেশ্বরে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে ট্রেনটি। তার ৫ দিন পর এবার ফের গড়াতে চলেছে করমণ্ডলের চাকা। ভয় কাটিয়ে করমণ্ডলে ভিড় করেছেন অনেক যাত্রী। কেউ চেন্নাই যাচ্ছেন কাজের খোঁজে, কেউ যাচ্ছেন চিকিৎসা করাতে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবারের দুর্ঘটনার পর দেখা যায় সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল অভিশপ্ত করমণ্ডলের অসংরক্ষিত কামরাগুলি। এই কামরায় থাকা যাত্রীদেরই সবথেকে বেশি প্রাণহানি হয়। এদিন ফের শালিমার থেকে করমণ্ডলের যাত্রা শুরুর আগে দেখা গেল সেই অসংরক্ষিত কামরার সামনে ভিড় পরিযায়ী শ্রমিকদের। যাঁরা এ রাজ্যে কোনও কাজ না পেয়ে ছুটে যাচ্ছেন অন্য রাজ্যে। কেউ যাচ্ছেন চেন্নাই, কেউ মাইসুরু। ট্রেনে উঠতে উঠতেই একজন বললেন, “এখানে কাজের পরিশ্রমিক কোথায়! দিন পিছু আড়াইশো টাকা করে পাই। কিন্তু যদি ওড়িশা যাই বা চেন্নাই যাই, তাহলে ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা করে পাব দিন পিছু। কাজ নেই এখানে। তাই চিন্তা থাকলেও পেটের দায়ে ছুটে যেতে হচ্ছে ওখানে।”
শুক্রবারের কথা ভেবে এখনও শিউরে উঠছেন কেউ কেউ। কিন্তু, অনেকেরই টিকিট অনেক আগে থেকে কাটা। এদিকে দুর্ঘটনার দিন সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছিল এস-১ কামরার। এদিন শালিমার থেকে ছাড়তে চলা এস-১ কামরা থেকে বসে এক যাত্রী বললেন, “কেরলে যাচ্ছি কাজের খোঁজে। এখানে কাজ আছে। কিন্তু খুবই কম। তবে ট্রেনে উঠতেই ভয় তো লাগছে অবশ্যই। বাড়ির লোকেরাও চিন্তায় আছে। তারপরও যেতে হচ্ছে। কাজ তো করতে হবে।”
We hate spam as much as you do