কলকাতাতেও কোভিড সংক্রমণে কপালে পড়ছে চিন্তার ভাঁজ। কলকাতায় ডবল সেঞ্চুরি পার করল করোনা। কলকাতায় এক দিনেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০৩। মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। উত্তর ২৪ পরগনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১২৮। মৃত্যু হয়েছে চার জনের।
পুজোর মাস্ক বিহীন ভিড়ে বেড়ে চলেছে
পজিটিভিটি রেট, সপ্তমী পর্যন্ত লাফিয়ে বাড়ল আর অষ্টমীতে সীমা ছাড়ানোর খবর
১ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ অক্টোবরের মধ্যে করোনার গ্রাফচিত্রের উর্ধ্বমুখী হার দেখে শঙ্কিত বিশেষজ্ঞরাও।
পুজোতেই বিপজ্জনক বৃদ্ধির খবর। বারবার সতর্ক করেছিল প্রশাসন। কড়া নির্দেশিকা জারি করেছিল হাইকোর্টও। কিন্তু কাজে এল না কিছুই। ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনা। বাড়ছে পজিটিভিটি রেট। বাংলায় এক দিনে করোনা আক্রান্ত ৭৭১ জন। রাজ্যে এক দিনে করোনায় মৃত ১১ জন।
কলকাতাতেও কোভিড সংক্রমণে কপালে পড়ছে চিন্তার ভাঁজ। কলকাতায় ডবল সেঞ্চুরি পার করল করোনা। কলকাতায় এক দিনেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০৩। মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। উত্তর ২৪ পরগনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১২৮। মৃত্যু হয়েছে চার জনের।
জয়েন্ট ডক্টরস ফোরামের তরফে ইতিমধ্যেই একটি গ্রাফ দেখানো হয়েছে। কীভাবে গত কয়েকদিনে করোনায় পজিটিভিটি রেট বাড়ছে, তা রাজ্য সরকারের সর্বশেষ বুলেটিনেই স্পষ্ট। চতুর্থীর দিন রাজ্যে একদিনে করোনার এই পজিটিভিটি রেট ছিল ২.১৩%। পঞ্চমীতে তা বেড়ে হয় ২.১৫%। ষষ্ঠীর দিন পজিটিভিটি রেট আরও বেড়ে পৌঁছয় ২.৩২ শতাংশে। সপ্তমীতে তা আরও বেশ কিছুটাই বাড়ে। তবে অষ্টমী যে আরো বাড়ল , তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
১ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ অক্টোবরের মধ্যে করোনার এই উর্ধ্বমুখী গ্রাফ দেখে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন, গত ৪ দিনে ১.২ শতাংশ থেকে বেড়েছে। পুজোর আগে থেকেই বিশেষজ্ঞরা সাবধান করে এসেছিলেন, বাংলা তৃতীয় ঢেউয়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। যেভাবে পুজোয় আনন্দে মাতলেন জনতা, তাতে আরও একবার সিঁদুরে মেঘ দেখছেন চিকিত্সকরা।
অক্টোবরের শুরুর দিক থেকেও পজিটিভিটি রেট তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে, বাংলায় তা ১.৭৮ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে। জেলার ক্ষেত্রে ফল আরও মারাত্মক। ৩ শতাংশের বেশি পজিটিভিটি রেট, এমন জেলার সংখ্যাই রয়েছে চার। কলকাতার পরই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত সংখ্যা দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়ায়। কিছুটা ভাল রয়েছে বাঁকুড়া। উল্লেখ্য, ৮ জুলাইয়ের পর থেকে পরীক্ষিত নমুনার পজিটিভিটি রেট আসার অনুমাপ ২ শতাংশের নীচে নেমে গিয়েছিল। তাতে কিছুটা আশার আলো দেখছিলেন চিকিত্সকরা। কিন্তু এখন তাঁরাই দেখছেন অশনিসঙ্কেত।
We hate spam as much as you do