Tranding

06:11 PM - 01 Dec 2025

Home / Opinion / "সিটি অব জয়"তেই বুলডোজারে গুঁড়ো হল ‘রুজি -রুটি, চিড়িয়াখানার সামনে থেকে শুরু করে ট্রায়াঙ্গুলার পার্ক,

"সিটি অব জয়"তেই বুলডোজারে গুঁড়ো হল ‘রুজি -রুটি, চিড়িয়াখানার সামনে থেকে শুরু করে ট্রায়াঙ্গুলার পার্ক,

চোখের সামনে রুজি রুটি হারাতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন ব্যবসায়ীরা। এক ব্যবসায়ী বললেন, ব্যবসায়ী বলেন, “এই বয়সে আর কোথায় যাব, ঘরে বৃদ্ধ বাবা-মা, বউ, সন্তান সব রয়েছে, এখন না খেয়ে মরতে হবে।”

"সিটি অব জয়"তেই বুলডোজারে গুঁড়ো হল ‘রুজি -রুটি, চিড়িয়াখানার সামনে থেকে শুরু করে ট্রায়াঙ্গুলার পার্ক,

"সিটি অব জয়"তেই বুলডোজারে গুঁড়ো হল ‘রুজি -রুটি, চিড়িয়াখানার সামনে থেকে শুরু করে ট্রায়াঙ্গুলার পার্ক, 
 

Jun 26, 2024 

বহুদিন আগে দমিনিক লাপিয়ের কলকাতা শহরের রাস্তার হকারদের নিয়ে লেখা তার উপন্যাস "সিটি অফ জয়" তাতে লিখেছেন রুটি রুজির জন্য সারা দেশের মানুষ চলে আসে কলকাতায়। সেই সঙ্গে আসে গ্রামের মানুষ কারণ এখানে কোন বিদ্বেষ নেই হিংসা নেই আছে শুধু গরিব মানুষের বেঁচে থাকার লড়াই। কলকাতার রাস্তায় আছে শুধু প্রাণ অনেক লড়াইয়ের সাথে বেঁচে থাকার গান আজ বুলডোজার জন্য আইনে আইনকে হাতিয়ার করে নিষ্ঠুরভাবে ভেঙে দেওয়া হলো,বিকল্প কোন ব্যবস্থা না করেই মানুষের রোজগারের জায়গা।

 

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘আল্টিমেটাম’ দিয়ে দিয়েছেন। আর তাঁর নির্দেশের পরই ফুটপাত দখল করে বসে থাকা হকারদের উচ্ছেদে অ্যাকশনে পুলিশ। বুধবার সকালে  চিড়িয়াখানার সামনে চলল উচ্ছেদ অভিযান। চিড়িয়াখানার সামনে আশেপাশে মোট ১৫০ এর বেশি দোকান রয়েছে। পুলিশের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর বারবার করে এখানকার হকারদের সরে যাওয়ার জন্য নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। যে কারণে বুধবার সকালে কলকাতা পুরসভার পে লোডার এনে সব ঝুপড়ি দোকান এবং হকারদের সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয় ঝুপড়ি দোকানগুলিকে।  চোখের সামনে রুজি রুটি হারাতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন ব্যবসায়ীরা। এক ব্যবসায়ী বললেন, ব্যবসায়ী বলেন, “এই বয়সে আর কোথায় যাব, ঘরে বৃদ্ধ বাবা-মা, বউ, সন্তান সব রয়েছে, এখন না খেয়ে মরতে হবে।”

 

আলিপুরের পাশাপাশি যদুবাবুর বাজার, ট্রায়াঙ্গুলার পার্ক, নিউটাউনেও চলছে উচ্ছেদ অভিযান। উচ্ছেদ অভিযান চলে কোল ভবন সংলগ্ন এলাকায়। অভিযানে নেমে হকারদের বিক্ষোভের মুখে এনকেডিএ আধিকারিকরা। ঘটনাস্থলে বিধাননগরের ডিসি’র নেতৃত্বে পুলিশের বিশাল বাহিনী। পুলিশ, এনকেডিএ আধিকারিকদের সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদ হকারদের। ঘনঘন মাইকিং করে বিক্ষোভকারীদের সরে যাওয়ার বার্তা দেওয়া হয়। বুলডোজার দিয়ে উচ্ছেদ অভিযানে বদ্ধপরিকর এনকেডিএ। এখানেও বুলডোজার দিয়ে ভাঙা হচ্ছে দোকান। বিক্ষোভের জেরে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। বেন্টিং স্ট্রিটেও ফুটপাত দখল মুক্ত করার কাজ চলছে।

Your Opinion

We hate spam as much as you do