সোমবার ইডি-র গোয়েন্দাদের কাছে হাজিরা দেবেন অভিষেক এবং তাঁর স্ত্রী। তার কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে অভিষেক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের কাছে আমি আত্মসমর্পণ করব না, মাথা নত করব না। যাঁদের বিরুদ্ধে প্রমাণ আছে, কাগজে মুড়িয়ে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, তাঁরাই আজ বিজেপির বড় নেতা।
কয়লা পাচার কাণ্ডে অভিষেক এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরাকে জেরার জন্য দিল্লিতে ইডির তলব
আবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কয়লা পাচার কাণ্ডে তার স্ত্রী রুজিরা এবং অভিষেককে আগামীকাল দিল্লি যাওয়ার নির্দেশ দিল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেকটোরেট এই নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিষেক।
সোমবার ইডি-র গোয়েন্দাদের কাছে হাজিরা দেবেন অভিষেক এবং তাঁর স্ত্রী।
কয়লা পাচার কাণ্ডে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করার জন্য দিল্লিতে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আগামী ২১ এবং ২২ মার্চ তাঁদের জেরা করা হবে বলে জানা গিয়েছে ইডি সূত্রে। তলব পেয়েই রবিবার দিল্লি গেলেন সস্ত্রীক অভিষেক। দিল্লি যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে।
সোমবার ইডি-র গোয়েন্দাদের কাছে হাজিরা দেবেন অভিষেক এবং তাঁর স্ত্রী। তার কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে অভিষেক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের কাছে আমি আত্মসমর্পণ করব না, মাথা নত করব না। যাঁদের বিরুদ্ধে প্রমাণ আছে, কাগজে মুড়িয়ে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, তাঁরাই আজ বিজেপির বড় নেতা। তাঁদের সিবিআই-ইডি ডাকে না। তখন ওঁদের চোখে ছানি পড়ে যাচ্ছে। এই কারণেই তদন্তকারী সংস্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “এদের গাত্রদাহ কেন, কারণ এরা বাংলায় হেরেছে। গত বছর ওদের আমরা ল্যাজে গোবরে করেছি। বাংলার মানুষ বহিরাগতদের তাড়িয়েছে। বাংলার মানুষ মেরুদণ্ড বিক্রি করেনি বলে এদের গায়ে জ্বালা। আমরা আত্মসমর্পণ করব না, এর শেষ দেখে ছাড়ব।”
অভিষেক এদিন দাবি করেছেন, তিনি দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। “দীর্ঘদিন শুনানির পর রায় স্থগিত রাখা হয়েছিল। কিন্তু গত ১০ মার্চ চার রাজ্যে বিজেপি জেতার পর সেই পিটিশন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। দেশের আইন ব্যবস্থার উপর আস্থা রেখেই তিনি বলেছেন, আমি বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা রাখি। কলকাতার মামলায় আমায় দিল্লি ডেকে পাঠাবে কেন! কলকাতায় ইডি-র অফিস আছে। যতবার খুশি ডাকুন। আমি তো যাব না বলিনি।”
অভিষেক এদিন বলেছেন, “চারদিন আগে আমার চোখে অস্ত্রোপচার হয়েছে। ডাক্তার আমাকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে বলেছেন। তাও আমি যাচ্ছি।”
এদিকে বামনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন যদি অকারনে কাউকে সিবিআই ডাকে আমরা তার নিশ্চয়ই বিরোধিতা করব। কিন্তু এটা প্রমানিত যে তৃণমূলের নেতারা বিভিন্ন দূর্নীতির সাথে যুক্ত। বিভিন্ন ক্ষেত্রে গরু পাচার কয়লা পাচার সোনা পাচার নানা জায়গায় নাম শোনা যায় নিশ্চিত ভাবেই অভিষেক বাউল উচিত তদন্তে সহযোগিতা করা এবং নিজেকে নির্দোষ প্রমান করা। কিন্তু তিনি কেন বারবার সুদীপ্ত সেনের তালিকার কথা বলছেন তা বিচার্য।
We hate spam as much as you do