তিনি হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, “যদি সিপিএম বেশি বাড়াবাড়ি করে, তবে ওদেরকে ঠান্ডা করে দেব। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে উল্টোপাল্টা কিছু কথা বললে ‘ডাণ্ডা মেরে ঠান্ডা করব’। আমার নাম আফরোজ সরকার। আমি এলাকার সভাপতি থাকবো কি থাকবোনা, সে বিষয়ে আমারও কোনরকম মাথাব্যথা নেই।”
‘ধর্ষণের প্রমাণ দিক! মিছিল করলে ডাণ্ডা মেরে ঠান্ডা করে দেব’, তৃণমূল নেতার হুমকিতে চাঞ্চল্য রাজ্যজুড়ে
হাঁসখালি কাণ্ডে নাবালিকা ধর্ষণ ও মৃত্যুর পর গোটা রাজ্য জুড়ে সর্বত্র বিতর্ক ছড়িয়েছে। শুধু তাই নয়, এছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি নাবালিকা ধর্ষণের কাণ্ড বর্তমানে উঠে এসেছে, যার ফলে বিরোধীদের একের পর এক আক্রমণের ফলে জেরবার রাজ্যের শাসক দল। বর্তমানে হাইকোর্টের পক্ষ থেকে চারটি ধর্ষণ মামলার দায়িত্বভার তুলে দেওয়া হয় প্রাক্তন আইপিএস অফিসার দময়ন্তী সেনকে এবং হাঁসখালি কাণ্ডের দায়িত্ব সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার পর বিতর্ক আরো বৃদ্ধি পায়। এরমাঝেই মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আফরোজ সরকারের করা এক মন্তব্যে সেই পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত করে তুলেছে।
আফরোজের দাবি, ধর্ষণ হলে তার সর্বপ্রথম প্রমাণ দিতে হবে। তারপরেই তারা পুলিশকে খবর দিতে পারবে। এছাড়া যারা কোন প্রমাণ ছাড়া প্রতিবাদ করবে, তাদের উদ্দেশ্যে এদিন ‘ডাণ্ডা মেরে ঠান্ডা করে’ দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন এই তৃণমূল নেতা। বর্তমানে হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জায়গায় প্রতিবাদ মিছিল করে চলেছে বিরোধী দলগুলি। সম্প্রতি, মুর্শিদাবাদে সিপিএম দলের পক্ষ থেকে একটি মিছিলের আয়োজন করা হয় আর এরপরেই এদিন সিপিএম দলের সমালোচনায় মুখর হন আফরোজ। তিনি বলেন, “যদি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে থাকে তবে তার আগে প্রমাণ দিক। তারপরে আমরা ইন্সপেক্টর এবং ওসি সাহেবকে সব বলব। কিন্তু তার আগে এসব মিছিল করা যাবে না। বিরোধীদের মমতা ব্যানার্জিকে সরানোর এই কৌশল কখনোই সফল হবে না।”
এরপর তিনি হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, “যদি সিপিএম বেশি বাড়াবাড়ি করে, তবে ওদেরকে ঠান্ডা করে দেব। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে উল্টোপাল্টা কিছু কথা বললে ‘ডাণ্ডা মেরে ঠান্ডা করব’। আমার নাম আফরোজ সরকার। আমি এলাকার সভাপতি থাকবো কি থাকবোনা, সে বিষয়ে আমারও কোনরকম মাথাব্যথা নেই।”
তৃণমূল নেতা আফরোজের এই মন্তব্যের পর আরো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। ধর্ষণের প্রমাণ প্রসঙ্গে তার মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সিপিএম দলের তরফ থেকে বলা হয়, “এটাই তৃণমূল দলের সংস্কৃতি। তৃণমূলের নেতা থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত একই মন্তব্য করে যাচ্ছেন। এখন সবাই জেনে গেছে, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মানেই হল থানা। আমরা এতদিন ধরে যা প্রমাণ করার চেষ্টা করছিলাম, আফরোজ সরকার এদিন ঠিক সেটাই প্রমাণ করলেন।”
We hate spam as much as you do