Tranding

05:05 PM - 01 Dec 2025

Home / Other Districts / বহরমপুরে ভরসন্ধ্যেবেলা প্রেমিকাকে গুলি, এলোপাথাড়ি ছুরির কোপ! পলাতক অভিযুক্ত প্রেমিক

বহরমপুরে ভরসন্ধ্যেবেলা প্রেমিকাকে গুলি, এলোপাথাড়ি ছুরির কোপ! পলাতক অভিযুক্ত প্রেমিক

ভরসন্ধ্যেবেলা ঘর থেকে ডেকে এনে প্রেমিকাকে এলোপাথাড়ি ধারালো অস্ত্রের কোপ। চালানো হয় গুলিও। এরপরই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত যুবক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় যুবতীকে ভর্তি করা হয় স্থানীয় হাসপাতালে। এই নৃশংস ঘটনার সাক্ষী বহরমপুরের শহীদ সূর্যসেন লেন।

বহরমপুরে ভরসন্ধ্যেবেলা প্রেমিকাকে গুলি, এলোপাথাড়ি ছুরির কোপ! পলাতক অভিযুক্ত প্রেমিক

বহরমপুরে ভরসন্ধ্যেবেলা প্রেমিকাকে গুলি, এলোপাথাড়ি ছুরির কোপ! পলাতক অভিযুক্ত প্রেমিক


নৃশংস হত্যাকান্ড! ভরসন্ধ্যেবেলা প্রেমিকাকে গুলি, এলোপাথাড়ি ছুরির কোপ! পলাতক অভিযুক্ত প্রেমিক
নৃশংস হত্যাকান্ড! ভরসন্ধ্যেবেলা প্রেমিকাকে গুলি, এলোপাথাড়ি ছুরির কোপ! পলাতক অভিযুক্ত প্রেমিক / 

 
 ভরসন্ধ্যেবেলা ঘর থেকে ডেকে এনে প্রেমিকাকে এলোপাথাড়ি ধারালো অস্ত্রের কোপ। চালানো হয় গুলিও। এরপরই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত যুবক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় যুবতীকে ভর্তি করা হয় স্থানীয় হাসপাতালে। এই নৃশংস ঘটনার সাক্ষী বহরমপুরের শহীদ সূর্যসেন লেন।


 
জানা গিয়েছে, আক্রান্ত যুবতী মালদহের বাসিন্দা। বহরমপুরের কৃষ্ণনাথ কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী তিনি। পড়াশোনার সূত্রেই মালদহ থেকে বহরমপুরের কাত্যায়নী এলাকায় একটি মেস ভাড়া নিয়ে থাকেন। অভিযোগ, সোমবার ভরসন্ধ্যেবেলা হঠাৎই তাঁকে মেসের ঘর থেকে বাইরে ডেকে নিয়ে আসেন এক যুবক। এরপরই ঘটে সেই ভয়াবহ নৃশংস ঘটনা।


 
যুবতী মেসের বাইরে বেরিয়ে আসতেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে যুবকের বিরুদ্ধে। এরপর তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করতে মারা হয় লাগাতার ছুরির কোপ। জানা যায়, স্থানীয় বাসিন্দারা যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছন তখনও পর্যন্ত এক হাতে ছুরি আর অন্য হাতে বন্দুক নিয়ে দাঁড়িয়েছিল অভিযুক্ত। হাতে বন্দুক দেখে স্বাভাবিকভাবেই ভয়ে এগোতে পারেননি কেউ। এভাবে কেটে যায় প্রায় মিনিট দশেক সময়।


এরপর স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে থেকেই কেউ একজন থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিশ। ততক্ষণে অবশ্য ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত যুবক। সময় নষ্ট না করে আহত যুবতীকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তরুণী।


 
এখন প্রশ্ন উঠছে হঠাৎ এই নৃশংস হামলার পেছনে কী কারণ রয়েছে? এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই অভিযুক্ত যুবককে আগে কখনও এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখেননি তাঁরা। তবে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই নাকি অভিযুক্তর সঙ্গে ওই তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু তাঁদের সম্পর্কে সায় দেয়নি প্রেমিকার পরিবার। এমনকি মেয়ের অন্যত্র বিয়েও ঠিক করে ফেলেছিলেন তাঁরা। এরপর থেকেই যুবকের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে যুবতীর।


 
এই বিষয় নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরেই তাঁদের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। তবে কি এই কারণেই এই নৃশংস হামলা চালায় অভিযুক্ত? নাকি এর পেছনে রয়েছে অন্য কোনও কারণ? সবটাই এখন ধোঁয়াশা। এই সকল প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। অন্যদিকে পলাতক যুবকের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।

Your Opinion

We hate spam as much as you do