হাসপাতাল সূত্রে খবর, রবিবার সকাল ৮টার দিকে এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ারের সামনে ওই দুষ্কৃতী মোটরবাইকে করে ঢুকে পড়ে। সকলের হাতে হকি স্টিক, উইকেট। জানা যাচ্ছে, দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের জেরেই এই ঘটনা। বাইরে কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে অনুমান। তারপরই একটি দল হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এলে অপর দল এসে তাদের উপর চড়াও হয়। হাসপাতালের মধ্যেই চলে তাণ্ডব।
এবার SSKM এ ভয়ঙ্কর দুষ্কৃতী হামলা, আহত রোগীর আত্মীয়রা
October 13, 2024
আর জি কর (RG Kar) আবহেই ফের প্রশ্নের মুখে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে নিরাপত্তা। ফের SSKM হাসপাতালে ভয়ঙ্কর হামলা। ট্রমা কেয়ারের সামনে হকি স্টিক, উইকেট নিয়ে তাণ্ডব চালালো দুষ্কৃতীরা। এমনটাই অভিযোগ সামনে আসছে। সূত্রের খবর, দুষ্কৃতীদের আঘাতে মাথা ফেটেছে এক রোগীর আত্মীয়র। পুজোর মধ্যেই খাস কলকাতার বুকে ভয়ঙ্কর ঘটনা।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, রবিবার সকাল ৮টার দিকে এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ারের সামনে ওই দুষ্কৃতী মোটরবাইকে করে ঢুকে পড়ে। সকলের হাতে হকি স্টিক, উইকেট। জানা যাচ্ছে, দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের জেরেই এই ঘটনা। বাইরে কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে অনুমান। তারপরই একটি দল হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এলে অপর দল এসে তাদের উপর চড়াও হয়। হাসপাতালের মধ্যেই চলে তাণ্ডব।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, এদিন সকালে প্রায় ১৫ জনের একটি দল হঠাৎই হাসপাতালে ঢুকে পড়ে। এরপরই শুরু হয় মারধর। অপর দলের রোগীর পরিবারের সদস্যদেরও মারধর করা হয়। মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা শুরু হয়েছে।
আর জি কর আবহেই খাস কলকাতার এই হাসপাতালে এভাবে দুষ্কৃতীহানার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে চিকিৎসক, অন্য রোগীদের পরিজনদের মধ্যেও। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তারা। হাসপাতালের ভিতরে নিরাপত্তা নিয়ে বারবার উঠছে প্রশ্ন। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, এদিন ঘটনার সময় কোনো পুলিশ ছিল না হাসপাতালে। ঘটনার পর খবর পেয়ে তারা আসেন। তবে ততক্ষণে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।
প্রসঙ্গত, গত ৯ অগস্ট আর জি কর-এ চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পর থেকেই প্রশ্নের মুখে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে নিরাপত্তা। তারপর থেকেই হাসপাতালে নিরাপত্তার দাবি তুলে অনবরত আন্দোলন-অনশন চালাচ্ছেন চিকিৎসক-স্বাস্থ্য কর্মীরা। সম্প্রতি আর জি কর নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে বলে দাবি রাজ্যের। তবে এরই মধ্যে খাস কলকাতার বুকে এসএসকেএম- হাসপাতালের আজকের এই ঘটনা ফের নতুন করে প্রশ্ন তুলে দিল।
We hate spam as much as you do