Tranding

12:32 PM - 01 Dec 2025

Home / Other Districts / কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হবে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল সুপ্রিম কোর্টে

কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হবে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল সুপ্রিম কোর্টে

আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও সরকার। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি শুরু হতেই শীর্ষ আদালতের একের পর এক প্রশ্নের মুখে পড়ল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন হলে সমস্যা কোথায়?’

কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হবে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল সুপ্রিম কোর্টে

কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হবে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল সুপ্রিম কোর্টে


 Jun 20, 2023 
 


পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নির্দেশ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্য জুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন পরিচালনা করতে কেন্দ্রীয় মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্যের আবেদন খারিজ করে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রাখল শীর্ষ আদালত। হাইকোর্টের রায়ে হস্তক্ষেপ নয়। রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করে কলকাতা হাইকোর্টের মূল উদ্দেশ্য, এদিন এমনটাই জানিয়েছে সুপ্রিমকোর্ট। 


আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে  কেন্দ্রীয় বাহিনী  মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে  মামলা করেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও সরকার। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি শুরু হতেই শীর্ষ আদালতের একের পর এক প্রশ্নের মুখে পড়ল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন হলে সমস্যা কোথায়?’

অন্যদিকে, 'ভোটকর্মীদের নিরাপত্তা দরকার। আতঙ্কে কাজ করা যায় না'। পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় সংগ্রামী যৌথমঞ্চও।


শুধু তাই নয়, সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্য সরকারও। বিচারপতি রাজ্য সরকারের থেকে জানতে চান, ‘আপনারা এই নির্বাচনে পাঁচ রাজ্যের থেকে পুলিশ বাহিনী চেয়েছেন। হাইকোর্ট যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার কথা বলেছে, তার খরচ কেন্দ্রের তা হলে অসুবিধা কোথায়?’

 

রাজ্যের তরফে বলা হয়, ‘১৩ জুন হাইকোর্ট প্রথম নির্দেশ নেওয়ার পর ১৫ জুন ফের কেন্দ্রীয় বাহিনীর নির্দেশ দিয়েছে।’ রাজ্যের এই বক্তব্যের পরই বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘এই ৪৮ ঘণ্টায় কি রাজ্যে পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে?’


রাজ্য সওয়াল করতে গিয়ে বলে, ‘৫ রাজ্য থেকে পুলিশ বাহিনী চাওয়া হয়েছে। সেইমতো প্রস্তুতি নেওয়া চলছে। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হলে পরিকল্পনা বদল করতে হবে। নির্বাচনের মুখে তা সমস্যার কারণ।’


শীর্ষ আদালত এই মামলার পর্যবেক্ষণে আরও বলে, ‘নির্বাচন করানো মানে হিংসার লাইসেন্স দেওয়া নয়। নির্বাচন ও হিংসা একসঙ্গে চলতে পারে না। রাজ্যে ২০১৩ ও ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে গন্ডগোলের উদাহরণ আছে। প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা করতে পারছেন না। করলেও হিংসার সম্মুখীন হচ্ছেন।’


রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী জানান, ‘নির্বাচন ঘোষণার পরেরদিনই হাইকোর্টে মামলা করা হয়েছে। মনোনয়ন পর্বে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কেন্দ্রের ১ কিলোমিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল।’ কিন্তু তারপরও কি হিংসার ঘটনা আটকানো গেছে, কমিশনের আইনজীবীর উদ্দেশে প্রশ্ন করেন বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে কোনও অশান্তি হবে, সেটা কাম্য নয়। হাইকোর্ট যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে, তাতে অসুবিধার কিছু দেখছি না।’ 

Your Opinion

We hate spam as much as you do