Tranding

02:43 PM - 01 Dec 2025

Home / World / অর্থনৈতিক সঙ্কটে শ্রীলঙ্কার স্বাস্থ্য পরিষেবা স্তব্ধ, চারিদিকে হাহাকার চিকিৎসা বন্ধ

অর্থনৈতিক সঙ্কটে শ্রীলঙ্কার স্বাস্থ্য পরিষেবা স্তব্ধ, চারিদিকে হাহাকার চিকিৎসা বন্ধ

কলম্বোর এই হাসপাতাল পুরো দেশের লোকদের সেবা দিয়ে থাকে কিন্তু অর্থাভাবের কারণে এই হাসপাতালের কর্মীর সংখ্যা কমানো হয়েছে। বর্তমানে এই হাসপাতালের তিন হাজার ৪০০ বেড খালি পড়ে আছে। সার্জারি করার মতো সরঞ্জাম নেই, নেই তেমন কোনও ওষুধ।

অর্থনৈতিক সঙ্কটে শ্রীলঙ্কার স্বাস্থ্য পরিষেবা স্তব্ধ, চারিদিকে হাহাকার  চিকিৎসা বন্ধ

অর্থনৈতিক সঙ্কটে শ্রীলঙ্কার স্বাস্থ্য পরিষেবা স্তব্ধ, চারিদিকে হাহাকার  চিকিৎসা বন্ধ 

২৬ জুলাই ২০২২  

শ্রীলঙ্কায় চরম অর্থনৈতিক ও জ্বালানি সঙ্কটের কবলে পড়ে দেশটির স্বাস্থ্যপরিষেবা সম্পূর্ণ ভাবে ভেঙে পড়েছে।

শ্রীলঙ্কার বৃহৎ এক হাসপাতালের পুরো ওয়ার্ড অন্ধকারে। যদিও সেখানে তেমন কোনও রোগী নেই। যে কয়েকজন আছেন তাঁরা কোনও সেবা পাচ্ছেন না। যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। 

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কলম্বোর এই হাসপাতাল পুরো দেশের লোকদের সেবা দিয়ে থাকে কিন্তু অর্থাভাবের কারণে এই হাসপাতালের কর্মীর সংখ্যা কমানো হয়েছে। বর্তমানে এই হাসপাতালের তিন হাজার ৪০০ বেড খালি পড়ে আছে। সার্জারি করার মতো সরঞ্জাম নেই, নেই তেমন কোনও ওষুধ।

৭০ বছর বয়সি থেরেসা ম্যারি নামে ডায়াবেটিস ও ব্লাড প্রেসারে আক্রান্ত এক রোগী বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, তিনি চিকিৎসা নিতে রাজধানী কলম্বোর ন্যাশনাল হাসপাতালে আসেন। কিন্তু হাসপাতালে আসার আগে তিনি কোনও যানবাহন পাননি। প্রায় ৫ কিলোমিটার তাঁকে হেঁটে আসতে হয়েছে।

তিনি বলেন, 'চারদিন হাসপাতালে থাকার পর আমাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু আমার স্বাস্থ্যের কোনও উন্নতি হয়নি। আমি এখনও ঠিকমতো দাঁড়াতে পারছি না, ডিসপেনসারিতে ব্যথা কমানোর কোনও ওষুধ নেই। চিকিৎসকেরা আমাকে প্রাইভেট ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনতে বলেন, কিন্তু আমার কাছে কোনও অর্থ নেই।'

দেশটির সরকারি মেডিক্যাল অফিসার সমিতির এক সদস্য এএফপিকে বলেন, কিছু মেডিক্যাল স্টাফ দুই দফায় কাজ করছেন, অন্যরা আসতে পারছেন না, কারণ তাঁদের গাড়ি আছে কিন্তু জ্বালানি নেই।

দেশটি ৮৫ শতাংশ মেডিসিন এবং মেডিক্যাল সরঞ্জাম বাইরে থেকে আমদানি করে, কিন্তু অর্থাভাবে দেশটি তা আমদানি করতে ব্যর্থ।

কে. মাথিয়ালাগান নামে এক ফার্মেসি দোকানদার  বলেন, সাধারণ অ্যান্টিবায়োটিক ও শিশুর ওষুধের সরবরাহ খুবই কম। এছাড়া গত তিন মাসে অন্যান্য ওষুধের দাম চার গুণ বেড়েছে। 

Your Opinion

We hate spam as much as you do