এদিকে শুক্রবার রাতে কম্পনের ক্ষয়ক্ষতি সামাল দিতে নাভিশ্বাস উঠেছে নেপালের। মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যে দেড়শো পার করেছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও অনেকে আটকে রয়েছে বলে মনে করছে উদ্ধারকারী দল। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দাহাল। নেপাল সেনা, পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী একসঙ্গে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।
৩৬ ঘণ্টার মধ্যে নেপালে ফের ভূমিকম্প ১৫০ এর বেশি মৃতের আশঙ্কা
০৫ নভেম্বর ২০২৩
৩৬ ঘণ্টার মধ্যে ফের কাঁপল নেপাল। রোববার ভোররাতে ফের কম্পন অনুভূত হয় হিমালয়ের কোলের দেশটিতে। যদিও কম্পনের তীব্রতা কম থাকায় নতুন করে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। তবে শুক্রবার রাতের ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫৭। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকার্য।
ন্য়াশনাল সেন্টার ফর সেসমোলজির তরফে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, রোববার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ৪০ মিনিট নাগাদ ফের কেঁপে ওঠে নেপাল। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল কাঠমান্ডু থেকে ১৬৯ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে। উৎসস্থলের গভীরতা ছিল ভূস্তর থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৩.৬। কয়েক সেকেন্ডের জন্য স্থায়ী হয় কম্পন। তবে ভূমিকম্পের ফলে বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি।
এদিকে শুক্রবার রাতে কম্পনের ক্ষয়ক্ষতি সামাল দিতে নাভিশ্বাস উঠেছে নেপালের। মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যে দেড়শো পার করেছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও অনেকে আটকে রয়েছে বলে মনে করছে উদ্ধারকারী দল। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দাহাল। নেপাল সেনা, পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী একসঙ্গে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ভয়াবহ স্মৃতি উসকে শুক্রবার রাতে প্রবল ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে চীন ও ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র নেপাল। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৪। আফটার শকের তীব্রতাও ছিল ৩.৩। নেপাল প্রশাসন সূত্রে খবর, রুকুম জেলা এবং জাজারকোট এই প্রবল ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
We hate spam as much as you do