পাশবিক ও বর্বরোচিত পুলিশী হামলার বিরুদ্ধে শনিবার ২১ সে আগস্ট সেভ ডেমোক্রেসি, এপিডিআর, একুশে মঞ্চ সহ বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনের পক্ষ থেকে সোনারপুর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরে স্মারকলিপিও জমা দেওয়া হয়।প্রায় এক ঘন্টা ধরে থানার প্রধান গেটে সভা চলে
পুলিশের হাতে পুলিশ ও তাঁর পরিবার আক্রান্ত। সেফ ডেমোক্রসির অভিযোগ
পুলিশের হাতে পুলিশ ও তাঁর পরিবার আক্রান্ত। এই ঘটনা নজিরবিহীন। এই ঘটনা ঘটেছে ৬ আগস্ট সকাল ১০ টার সময়ে।১৪ই আগস্ট সেভ ডেমোক্রেসির এক প্রতিনিধি দল আক্রান্ত পুলিশ কর্মী সুরাফ হোসেনের বাড়িতে গিয়ে তথ্য অনুসন্ধান করেন। তাতে যা জানা যায় তা ভয়াবহ। ঘটনার বিবরণ থেকে জানা যায় সোনারপুর থানার এস আই সোমনাথ দাসের নেতৃত্বে একদল পুলিশ বেনিয়া বউ গ্রামে যায় জনৈক হোসেন আলি মন্ডল কে গ্রেফতার করতে। তার নামে ওয়ারেন্ট ছিল বলে পুলিশের দাবী। কিন্তু তারা চলে যান সুরাফ হোসেনের বাড়ি। সুরাফ নিজে একজন পুলিশ কনস্টেবল। অসকনগর থানায় তিনি কাজ করেন। সেখানে সুরাফের সঙ্গে সোনারপুর থানার পুলিশ বচসায় জড়িয়ে পড়ে। বচসা থেকে ধাক্কাধাক্কি এবং তারপরই পুলিশ বাহিনী সুরাফ ও তার পরিবারের লোকদের বেধড়ক মারতে আরম্ভ করে। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে চলে এই আক্রমণ। সুরাফের গর্ভবতী স্ত্রী সহ পরিবারের কেউই বাদ যায়নি এই মারের হাত থেকে। সুরাফের বাড়ির সামনের মাঠে তাড়া করে করে মারা হয় সুরাফকে। শেষে সুরাফ যখন নেতিয়ে পড়ে তখন তাকে হাতে পায়ে দড়ি বেঁধে ভ্যানে তুলে নিয়ে যায়। গ্রেফতার করা হয় তার স্ত্রী সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ও। ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে সুরাফের স্ত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা হয়। তার থেকে জানা যায় তার গর্ভস্থ ভ্রূণ নষ্ট হয়ে গেছে।
এই পাশবিক ও বর্বরোচিত পুলিশী হামলার বিরুদ্ধে শনিবার ২১ সে আগস্ট সেভ ডেমোক্রেসি, এপিডিআর, একুশে মঞ্চ সহ বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনের পক্ষ থেকে সোনারপুর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরে স্মারকলিপিও জমা দেওয়া হয়।প্রায় এক ঘন্টা ধরে থানার প্রধান গেটে সভা চলে। চঞ্চল চক্রবর্তী, দিপালী ভট্টাচার্য, নব বিশ্বাস, আনিসুর রহমান সহ ছয় জনের প্রতিনিধি দল থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসারের সঙ্গে আলোচনা করে এই আশ্বাস আদায় করেন যে স্মারকলিপিতে যে দাবি করা হয়েছে সে সম্পর্কে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতিনিধি দলের পক্ষে চঞ্চল চক্রবর্তী বলেন, " এই ধরনের পুলিশি হিংসা অমার্জনীয়। এই ঘটনা প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের সমান। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সঙ্গে মোটেই মানানসই নয়। নির্বাচনে জিতে আসলেই সরকারের যা খুশি তাই করার অধিকার জন্মায় না।
তিনি আরও বলেন, সোনারপুর থানার পুলিশ সংবিধান প্রদত্ত নাগরিকদের মৌলিক অধিকার ভঙ্গ করেছে। এই বিষয়ে দোষী পুলিশদের অবিলম্বে সাসপেন্ড করে তদন্ত করতে হবে। অন্যথায় আরও বৃহত্তর আন্দোলন হবে। এস পি র অফিস ঘেরাও করা হবে। যতদিন দোষী পুলিশদের শাস্তির ব্যবস্থা না হচ্ছে ততদিন এই আন্দোলন চলবে
We hate spam as much as you do