রূপাহারের স্থানীয় বাসিন্দারাও দুর্ঘটনার রাতে জাতীয় সড়কের বেহাল দশাকেই দায়ী করেছিলেন। জেলা প্রশাসনও মনে করছে যে জাতীয় সড়কের বেহাল দশা বর্ষাকালে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে। আর এই কারনেই জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে বুধবার রাতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন জেলাশাসক অরবিন্দ মীনা।
পরিযায়ী শ্রমিক বোঝাই বাস উল্টে নয়ানজুলিতে! মৃত ৬ , আহত বহু...দুর্ঘটনা রায়গঞ্জে,
newscopes.in নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়ানজুলিতে উল্টে গেল বাস। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের রূপাহারের সারাই এলাকার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে নয়নজুলিতে পড়ে যায় বাসটি। মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আশঙ্কাজনক দুই জন যাত্রী। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে । এঁদের মধ্যে দু'জনের অবস্থা আশংকাজনক।
জানা গেছে, ঝাড়খণ্ড থেকে লক্ষ্মৌগামী পরিযায়ী শ্রমিক Migrated Labour বোঝাই বেসরকারি বাস নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে নয়নজলিতে উল্টে যায়। মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ থানার রূপাহারে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে। চালক, খালাসি পলাতক। এখনও পর্যন্ত তাঁদের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার পরেই স্থানীয়দের খবরে ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছয় রায়গঞ্জ থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ও রায়গঞ্জ (Raiganj News) দমকল বাহিনী। নয়নজুলিতে পড়ে থাকা বাসে আটকে পরা পরিযায়ী শ্রমিকদের উদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা এবং দমকল বাহিনীর কর্মীরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরাও। জেলা পুলিশ সুপার সহ জেলা প্রশাসনের কর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছন।
বেশ কয়েকজন যাত্রীকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা গিয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসনিক সূত্র। গুরুতর জখম দুই জন এবং মৃত একজনকে উদ্ধার করে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়।বেশ কিছু যাত্রী বাসের তলায় চাপা পড়ে যায়। আটকে থাকা যাত্রীদের উদ্ধার করতে দুটি ক্রেন এবং একটি হাইড্রোলিক ক্রেন এনে গাড়িটিকে জল থেকে উপড়ে তোলা হয় গাড়িতেই চাপা পড়ে মৃত্যু হয় পাচজনের। তাদের উদ্ধার করে রায়গঞ্জ গভঃ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়।
গাড়ির চালক ও খালাসি পালিয়ে গেছে (newscopes.in) । বাসের যাত্রীরা জানিয়েছেন, চালক মদ্যপান করে গাড়ি চালানোয় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। রায়গঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় উদ্ধারকাজ এখনও চলছে। আরও কতজনের প্রাণ গিয়েছে তা নিয়ে এখনও সঠিক কিছু বোঝা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে আহত ও নিহতদের অধিকাংশের পরিচয় জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।রূপাহারের স্থানীয় বাসিন্দারাও দুর্ঘটনার রাতে জাতীয় সড়কের বেহাল দশাকেই দায়ী করেছিলেন। জেলা প্রশাসনও মনে করছে যে জাতীয় সড়কের বেহাল দশা বর্ষাকালে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে। আর এই কারনেই জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে বুধবার রাতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন জেলাশাসক অরবিন্দ মীনা। এদিকে,জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করা হয়েছে । মৃতদের মধ্যে দুজন নাবালক রয়েছেন বলেও জানা গেছে।
We hate spam as much as you do