রাশিয়া ও ইউক্রেনের চুক্তির পর গুতেরেস বলেন, ‘আজ কৃষ্ণসাগরে আলো দেখা যাচ্ছে। একটা আশার আলো, একটা সম্ভাবনার আলো, স্বস্তির আলো।’ কিয়েভ এবং মস্কো, দুই শিবিরের সঙ্গেই সুসম্পর্ক থাকা এরদোগান বলেছেন, আশা করা যায়, এই চুক্তি শান্তির পথ সুগম করবে।
খাদ্যসঙ্কট মোচনে স্বাক্ষর রাশিয়া -ইউক্রেনের! যুদ্ধের আবহে চুক্তি
২৪ জুলাই ২০২২
যুদ্ধের আবহেও ঐতিহাসিক চুক্তি করল রাশিয়া এবং ইউক্রেন।
দুনিয়াজুড়ে খাদ্যসঙ্কট থেকে মুক্তি পেতেই স্বাক্ষরিত হল এই চুক্তি। দুই দেশের মধ্যে অশান্তির জেরে কৃষ্ণসাগরে খাদ্যশস্য ডেলিভারি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এর ফলে বিশেষ করে গমের দাম চড়তে থাকে। তবে বিষয়টা এত সহজে সম্পন্ন হয়নি। রাষ্ট্রসঙ্ঘের স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উত্তেজনা ছড়ায় দুই দেশের সম্পর্ক। রাশিয়ার সঙ্গে একই নথিতে নাম রাখতে চায়নি ইউক্রেন। শুক্রবার দুই দেশই দুটি পৃথক চুক্তিতে স্বাক্ষর করে যে দুটির বক্তব্য একই।
ইস্তানবুলের ডোলমাবাচে প্যালেসের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্টনিও গুতেরেস এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসেপ তাইপ এরদোগান। রাশিয়া ও ইউক্রেনের চুক্তির পর গুতেরেস বলেন, ‘আজ কৃষ্ণসাগরে আলো দেখা যাচ্ছে। একটা আশার আলো, একটা সম্ভাবনার আলো, স্বস্তির আলো।’ কিয়েভ এবং মস্কো, দুই শিবিরের সঙ্গেই সুসম্পর্ক থাকা এরদোগান বলেছেন, আশা করা যায়, এই চুক্তি শান্তির পথ সুগম করবে।
অবশ্য ইউক্রেনের তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে রাশিয়া চুক্তি ভঙ্গ করলে সঙ্গে সঙ্গে সামরিকভাবে জবাব দেওয়া হবে। পরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, এই চুক্তি ঠিকমতো পালিত হচ্ছে কি না তা দেখার ভার রাষ্ট্রসঙ্ঘের।
We hate spam as much as you do