সর্বত্র মাইকে প্রচার করে ‘নিজের দোকান নিজে ভেঙে দাও নাহলে পুরসভা থেকে ভেঙে ফেলা হবে’ এই হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই সংগঠনগুলির বক্তব্য, ‘বুলডোজার রাজ’ চলে ২৬ জুনের পর থেকে, এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর ১ মাসের জন্য সব বন্ধ রাখার ঘোষণা সত্ত্বেও। উচ্ছেদকে বাস্তবায়িত এবং ত্বরান্বিত করেছে অতিরিক্ত শাসকদল নির্ভরতা।
নির্বিচারে হকার উচ্ছেদ বন্ধের দাবীতে সোচ্চার কলকাতা পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ চাই
July 29, 2024
হকার উচ্ছেদ নিয়ে কলকাতা সহ সারা বাংলা তোলপাড়। চলেছে বুলডোজার ও জেসিবি অভিযান। রাজ্যের মোট ১২টি মিউনিসিপ্যালিটি ও মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশানে যৌথ তথ্যানুসন্ধান ও সমীক্ষা করেছে পশ্চিমবঙ্গ ক্ষেত মজুর সমিতি, রাইট টু ফুড এণ্ড ওয়ার্ক ক্যাম্পেইন-সহ পাঁচটি সংগঠন। তাঁরা কথা বলেছে হকার, সাধারণ মানুষ, হকার ইউনিয়নের নেতৃত্বর সঙ্গে। রাজ্যে হকার উচ্ছেদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ক্ষেত মজুর সমিতি, রাইট টু ফুড এণ্ড ওয়ার্ক ক্যাম্পেইন, অসংগঠিত ক্ষেত্র শ্রমিক সংগ্রামী মঞ্চ, পিপলস ইউনিয়ন ফর সিভিল লিবার্টি ও আমরা এক সচেতন প্রয়াস। এই পাঁচটি সংস্থার প্রধান দাবি, অবিলম্বে হকার উচ্ছেদ এবং উচ্ছেদের যাবতীয় পরিকল্পনা বাতিল করতে হবে।
যৌথ উদ্যোগে এই অনুসন্ধানে একধিক তথ্য উঠে এসেছে। তাঁরা জানিয়েছে, উচ্ছেদের নোটিসও ঠিক ভাবে দেওয়া হয়নি। কোথাও নোটিস দেওয়ালে বা পাশের লাইট পোস্টে লটকে দেওয়া হয়েছে, কোনও কোনও পুরসভায় তো নোটিসই দেওয়া হয়নি। কৃষ্ণনগর, বোলপুর শহরে নোটিশ না করে উচ্ছেদ করা হয়েছে।
সর্বত্র মাইকে প্রচার করে ‘নিজের দোকান নিজে ভেঙে দাও নাহলে পুরসভা থেকে ভেঙে ফেলা হবে’ এই হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই সংগঠনগুলির বক্তব্য, ‘বুলডোজার রাজ’ চলে ২৬ জুনের পর থেকে, এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর ১ মাসের জন্য সব বন্ধ রাখার ঘোষণা সত্ত্বেও। উচ্ছেদকে বাস্তবায়িত এবং ত্বরান্বিত করেছে অতিরিক্ত শাসকদল নির্ভরতা।
তাঁদের দাবি, উচ্ছেদ পর্বে কাউকে পুনর্বাসন দেওয়া হয়নি। বহু হকার বাধ্য হয়ে হকিং স্থান ত্যাগ করে অন্যত্র ফিরে গিয়েছে। এই সংগঠনগুলির বক্তব্য, হকারদের উচ্ছেদ করে কোথাও কার পার্কিং কোথাও বা সৌন্দর্যায়নের কাজ উচ্ছেদের পরেপরেই শুরু হয়েছে। উচ্ছেদ পর্বে বুলডোজার বা জেসিবি ব্যবহার হয় রামপুরহাট, বোলপুর, বর্ধমান, দুর্গাপুর, ইংরেজবাজার সহ আরও শহরে।
পশ্চিমবঙ্গ ক্ষেত মজুর সমিতি সহ পাঁচটি সংগঠনের প্রধান দাবি, হকারদের উচ্ছেদ করা যাবে না। রাস্তার বিক্রেতা বা স্ট্রিট ভেন্ডার (প্রটেকশন অফ লিভলিহুড অ্যান্ড রেগুলেশন অফ স্ট্রিট ভেন্ডিং) অ্যাক্ট, ২০১৪ বলবৎ করতে হবে। উচ্ছেদ করা সব হকারদের জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আইনের পরিপন্থী ও শহর সৌন্দর্যায়নের পরিপন্থী এই অজুহাতে হকার উচ্ছেদ চলবে না। শহর সৌন্দর্যায়নের জন্য হকারদের জীবিকায় আঘাত চলবে না। প্রয়োজনে হকারদের জীবিকার সুরক্ষার জন্য নতুন আইন আনতে হবে। হকার সহ অন্য নাগরিকদের জীবিকার গ্যারান্টি প্রদানে সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে।
We hate spam as much as you do