Tranding

06:19 PM - 01 Dec 2025

Home / World / ইন্দোনেশিয়ায় ফুটবল ম্যাচে দাঙ্গা, মৃত ১২৯, আহতের সংখ্যা ১৮০

ইন্দোনেশিয়ায় ফুটবল ম্যাচে দাঙ্গা, মৃত ১২৯, আহতের সংখ্যা ১৮০

ঘটনায় দু'জন পুলিশ অফিসার প্রাণ হারানোর পর টিয়ার গ্যাস ছোড়া শুরু হয়। পূর্ব জাভা পুলিশ প্রধান নিকো আফিন্তা জানান, 'ঘটনায় ১২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে দু'জন পুলিশ অফিসার। ৩৪ জন স্টেডিয়ামেই মারা গিয়েছে। বাকিদের মৃত্যু হাসপাতালে হয়।'

ইন্দোনেশিয়ায় ফুটবল ম্যাচে দাঙ্গা, মৃত ১২৯, আহতের সংখ্যা ১৮০

ইন্দোনেশিয়ায় ফুটবল ম্যাচে দাঙ্গা, মৃত ১২৯, আহতের সংখ্যা ১৮০

২ অক্টোবর ২০২২ 

 

মালাংয়ের একটি ফুটবল স্টেডিয়ামে দাঙ্গায় পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারালেন ১২৯ জন। আহত অন্তত ১৮০। দুই দশকেরও বেশি সময় পর আরেমা ফুটবল ক্লাব চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পার্সিবায়া সুরাবায়ার কাছে ৩-২ গোলে হারায় পর আরেমার হোমগ্রাউন্ড কাঞ্জুরুহান স্টেডিয়ামের মাঠে নেমে পড়ে একাধিক সমর্থক। স্থানীয় টিভি চ্যানেলের ফুটেজে সেই ছবি দেখা গিয়েছে। আরেমার সমর্থকরা মাঠে ঢুকে পড়ায় পরিস্থিতি সামলাতে টিয়ার গ্যাস ছুড়তে আরম্ভ করে পুলিশ। তাতেই আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। টিয়ার গ্যাস থেকে বাঁচতে শয়ে শয়ে সমর্থক এক্সিট গেটের দিকে দৌড়তে শুরু করে। তাতেই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। শ্বাসরোধ এবং পদদলিত হয়ে স্টেডিয়ামেই ৩৪ জনের মৃত্যু হয়। পুলিশের দাবি, প্রথমে তাঁরা সমর্থকদের গ্যালারিতে ফেরার অনুরোধ করে। কিন্তু পরিস্থিতি আয়ত্বের বাইরে চলে যায়। ঘটনায় দু'জন পুলিশ অফিসার প্রাণ হারানোর পর টিয়ার গ্যাস ছোড়া শুরু হয়। পূর্ব জাভা পুলিশ প্রধান নিকো আফিন্তা জানান, 'ঘটনায় ১২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে দু'জন পুলিশ অফিসার। ৩৪ জন স্টেডিয়ামেই মারা গিয়েছে। বাকিদের মৃত্যু হাসপাতালে হয়।'

এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছে ইন্দোনেশিয়া সরকার এবং তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার ক্রীড়া এবং যুব উন্নয়ন মন্ত্রী জাইনুদিন আমালি বলেন, 'এই ঘটনার জন্য আমরা দুঃখিত। এতে দেশের ফুটবল ক্ষতিগ্রস্ত হল। ম্যাচের সাংগঠনিক ব্যবস্থায় কোনও ভুলত্রুটি ছিল কিনা খতিয়ে দেখা হবে। কত সমর্থক স্টেডিয়ামে হাজির ছিল সেটাও দেখা হবে। স্টেডিয়ামে খেলা দেখা থেকে সমর্থকদের বিরত রাখা হবে কিনা সেটাও আলোচনা করা হবে।' এই ঘটনার জেরে এক সপ্তাহের জন্য সমস্ত ফুটবল ম্যাচ বাতিল করেছে ইন্দোনেশিয়ার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। বাকি মরশুম ঘরের মাঠে ম্যাচ আয়োজনের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে আরেমা এফসির থেকে। এই দাঙ্গার আসল কারণ খতিয়ে দেখার জন্য মালাংয়ে একটি তদন্তকারী দল পাঠানো হবে। ইন্দোনেশিয়া ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মোচামাদ ইরিয়াওয়ান বলেন, 'আমরা দুঃখিত। মৃতদের পরিবারের কাছে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।' প্রসঙ্গ, ফুটবল মাঠে দাঙ্গা এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিকবার হয়েছে। ১৯৬৪ সালের ২৪ মে লিমার ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে পেরু-আর্জেন্টিনার অলিম্পিক কোয়ালিফায়ারের ম্যাচে পদপিষ্ট হয়ে ৩২০ জন মারা যায়, ১০০০ জনের বেশি আহত হয়েছিল। ফুটবল মাঠে এটাই সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা। এছাড়াও অতীতে বেশ কয়েকবার ফুটবল মাঠে এইধরনের ঘটনা ঘটেছে। 

Your Opinion

We hate spam as much as you do