Tranding

03:19 PM - 01 Dec 2025

Home / Others / ৫২ বছর পর বিধান পরিষদ গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত বিধানসভায়

৫২ বছর পর বিধান পরিষদ গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত বিধানসভায়

১৯৫২ সালে বিধানসভার পাশাপাশি বিধান পরিষদও গঠিত হয়। কিন্তু ১৯৬৯ সালে বিধানসভা ও সংসদে আইন পাস করে তার অবলুপ্তি হয়। সেই বিধান পরিষদের অভিজ্ঞতা খুব একট সুখের ছিল না। সিংহভাগ বিলই আলোচনা না করে পাস করে দেয়া হয়েছিল।

৫২ বছর পর বিধান পরিষদ গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত বিধানসভায়

৫২ বছর পর বিধান পরিষদ গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত বিধানসভায়

পশ্চিমবঙ্গে আবার ৫২ বছর পর বিধানপরিষদ গঠন হতে চলেছে। অন্তত সেই সিদ্ধান্ত মন্ত্রী পরিষদ থেকে পাশ হয়ে 
এবার বিধানসভায় ভোটাভুটিতে পাশ হয়ে গেল বিধান পরিষদ বিল। মঙ্গলবার বিধানসভা অধিবেশনের দ্বিতীয় অর্ধে এই বিল পেশ করে তৃণমূল। এরপরই বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদ বাঁধে। পরে অবশ্য ভোটাভুটিতে বিলটি পাশ হয়ে যায়।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বে তৃতীয় দফার তৃণমূল সরকারের দ্বিতীয় মন্ত্রীসভার মিটিং (Cabinet Meeting) ছিল সোমবার।
২০১১ সালে রাজ্যে প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর বিধানসভায় এই রিপোর্ট আনে তৃণমূল। গড়া হয়েছিল অ্যাডহক কমিটি। প্রস্তাব পেশ করার পরই ভোটাভুটি চান বিজেপি বিধায়করা। মোট ২৬৫ বিধায়ক ভোট দেন। এর মধ্যে ১৯৬ ভোট পড়ে বিলের পক্ষে।
 এদিন রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে গৃহীত হল রাজ্যে বিধান পরিষদ (Bidhan Parishad) গঠনের প্রস্তাব। এছাড়া এদিনের বৈঠকে আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে নবান্ন সূত্রে। যার মধ্যে রয়েছে কর্মীনিয়োগ সংক্রান্ত নীতিগত সিদ্ধান্তও। 
বিধানসভার সিদ্ধান্তের পর এরপর রাজ্যপাল অনুমোদন করলে বিলটি যাবে রাষ্ট্রপতির কাছে। ভারতীয় সংসদ এটিকে অনুমোদন করলে তারপর রাষ্ট্রপতি তাতে সই করলে পশ্চিমবঙ্গে বিধান পরিষদ হবে। এককথায়, দীর্ঘ প্রক্রিয়া। আর বিজেপি এই বিলের তীব্র বিরোধিতা করছে। তাই ধরেই নেয়া যায়, পশ্চিমবঙ্গে বিধান পরিষদ গঠনের আশা করলেও তা বেশ কঠিন ।

১৯৫২ সালে বিধানসভার পাশাপাশি বিধান পরিষদও গঠিত হয়। কিন্তু ১৯৬৯ সালে বিধানসভা ও সংসদে আইন পাস করে তার অবলুপ্তি হয়। সেই বিধান পরিষদের অভিজ্ঞতা খুব একট সুখের ছিল না। সিংহভাগ বিলই আলোচনা না করে পাস করে দেয়া হয়েছিল। এখনো উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, বিহার, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্র ও কর্ণাটকে বিধান পরিষদ আছে। কিন্তু বিধান পরিষদে আলোচনা নিয়ে খবর হয়েছে এমন দুর্নাম কেউ দিতে পারবেন না। উদ্ধব ঠাকর বিধানসভায় প্রার্থী ছিলেন না। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি বিধান পরিষদ সদস্য হয়েছেন। ফলে তাকে আর ভোটে দাঁড়াতে হয়নি। উত্তর প্রদেশে যোগী আদিত্যনাথ বিধান পরিষদ সদস্য। তিনিও বিধানসভার ভোটে দাঁড়াননি। বিহারে নীতীশ কুমারও বিধান পরিষদের সদস্য।  তিনজনেই দাঁড়ালে হেসে-খেলে জিততেন। তাও দাঁড়াননি। বিধান পরিষদ থাকার সুবিধাটা নিয়েছেন।  বিধান পরিষদ না থাকায় সেই সুবিধা মমতা সহ অন্য মুখ্যমন্ত্রীরা নিতে পারছেন না। পশ্চিমবঙ্গে বা কোনো অঙ্গরাজ্যে বিধান পরিষদের কোনো প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা তা বিচার্য বিষয়।তবে এই ৯৮ সদস্যের হাউসের জন্য এক বিপুল খরচ বরাদ্দ করতে হবে তা অবশ্যই আলোচ্য বিষয় হবে।

Your Opinion

We hate spam as much as you do